পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
আর্থিক প্রতিবেদনে কারসাজি করে দুর্বল কোম্পানি দেশের পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হচ্ছে। এতে শেয়ারবাজারে দেখা দিচ্ছে অস্বাভাবিক পরিস্থিতি। এ জন্য কোম্পানির দুর্বল ব্যালেন্স শিটকে বর্তমান শেয়ারবাজারের জন্য সব থেকে বড় সমস্যা হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন হিসাববিদ ও পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্ট সম্পর্কে শেয়ারবাজারের বিনিয়োগকারীদের পর্যাপ্ত জ্ঞান নেই, যে কারণে হঠাৎ হঠাৎ শেয়ারবাজারে অস্বাভাবিক উত্থান-পতন ঘটে। বিনিয়োগকারীরা জ্ঞাননির্ভর বিনিয়োগ করলে শেয়ারবাজারের এসব সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়ে যাবে।
‘ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং অ্যাক্ট, ২০১৫’ নিয়ে গতকাল ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং ক্যাপিটাল মার্কেট জার্নালিস্টস ফোরামের (সিএমজেএফ) আয়োজিত এক কর্মশালায় তারা এসব কথা বলেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন ফাইন্যান্সিয়াল রিপোর্টিং কাউন্সিলের (এফআরসি) চেয়ারম্যান সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদ। এ ছাড়া বক্তব্য দেন ডিএসইর চেয়ারম্যান প্রফেসর আবুল হাশেম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, শেয়ারহোল্ডার পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন, সিএমজেএফ’র সভাপতি হাসান ইমাম রুবেল ও সাধারণ সম্পাদক মনির হোসেন। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন এফআরসি’র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ মহিউদ্দিন আহমেদ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে এফআরসির চেয়ারম্যান সি কিউ কে মোস্তাক আহমেদ বলেন, ভালো ব্যালেন্স শিটের জন্য যারা অডিট করেন তাদের দায়বদ্ধতা আছে। তবে যারা শেয়ারবাজারে লেনদেন করেন তাদের সতর্ক হতে হবে, যারা লেনদেন করেন তারা সচেতন হলে কারসাজি হয়তো থাকবে না। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের পরিচালক মিনহাজ মান্নান ইমন বলেন, এ মুহূর্তে বাজারের সব থেকে বড় সমস্যা সৎ ও শক্তিশালী ব্যালেন্স শিট। এ কারণেই দুর্বল কোম্পানি তালিকাভুক্ত হচ্ছে। ব্যালেন্স শিট ঠিক থাকলে অনেক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
লাভ-লোকসানের বিষয়ে কোম্পানির ব্যালেন্স শিটে ছন্দ থাকা উচিত এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, আমরা দেখতে পাই, এক বছর কোম্পানির বড় লাভ হচ্ছে। পরের বছরই লোকসান।এদিকে বড় দরপতনের পর গতকাল দেশের শেয়ারবাজারে ঊর্ধ্বমুখীতার দেখা মিলেছে। প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি সূচক বেড়েছে। সেই সঙ্গে বেড়েছে লনদেনের পরিমাণ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।