Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

সবকিছু হারিয়ে ছাড়া পাচ্ছেন উইঘুর নারীরা

আলজিয়ার্সে সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণ করলো চীনা প্রতিষ্ঠান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১ মে, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

বছর তিনেক আগে হঠাৎ করে উধাও হয়ে যান এক উইঘুর নারী। পরে জানা গেছে, ইসলামী উগ্রপন্থার মোকাবেলায় চীনা ধরপাকড় অভিযানে তাকে আটক করা হয়েছে। অনেক ধকল ও খেসারতের পর এবার তিনি ছাড়া পেয়েছেন। তার পাকিস্তানি স্বামী বলেন, মুক্তি পেয়েছে, তবে অনেক খেসারত দিতে হয়েছে আমাদের। পশ্চিমাঞ্চলীয় চীনা প্রদেশ জিনজিয়াংয়ের ৪০ উইঘুর নারী, যারা প্রতিবেশী পাকিস্তানি ব্যবসায়ীদের বিয়ে করেছেন, দেশটিতে অন্তরীণ ক্যাম্পে তাদেরও আটক করে রাখা হয়েছিল। পরবর্তী সময় ছাড়া পেয়েছেন। যদিও এই অন্তরীণ ক্যাম্পকে চীন সরকার বৃত্তিমূলক শিক্ষাকেন্দ্র হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ইসলামে নিষিদ্ধ এমন কার্যক্রম করতে ক্যাম্পের ভেতর তাদের বাধ্য করা হয়েছে বলে খবরে জানা গেছে। স¤প্রতি জিনজিয়াংয়ে নিজের স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাকিস্তানি ব্যবসায়ী বলেন, ক্যাম্পে তাদের শূকরের মাংস ও অ্যালকোহল খেতে বাধ্য করা হচ্ছে। কাজেই তার স্ত্রী এখন সেই নিষিদ্ধ বস্তু খাচ্ছেন। তিনি বলেন, তার স্ত্রী তাকে জানিয়েছেন- সে যদি কর্তৃপক্ষকে খুশি করতে পারে যে তার ভেতরে কোনো উগ্রপন্থী চেতনা নেই, তবে তিনি বাড়িতে ফিরে আসার সুযোগ পাবেন। ‘ক্যাম্পে তাকে কোরআন ও নামাজ পড়তে নিষেধ করা হয়েছে; তার বদলে ঘরে বিভিন্ন চীনা বই রাখতে হচ্ছে,’ বললেন এই পাকিস্তানি ব্যবসায়ী। কিছু কিছু ব্যবসায়ী কয়েক সপ্তাহ কিংবা মাস তাদের স্ত্রীকে জিনজিয়াংয়ে রেখে নিজ দেশে ব্যবসায়িক কাজে যান। কেবল ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায়ও তাদের আটক করে ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর আগে আটক হওয়া কয়েকজন বলেন, বোরকাপরা ও দাড়ি রাখার মতো ইসলামী ঐতিহ্য মেনে চলার কারণে তাদের ধরে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু নৃতাত্তি¡ক উইঘুরসহ মুসলমানদের বিরুদ্ধে ব্যাপক নিরাপত্তা ধরপাকড়ে তাদের আটক করা হলেও আন্তর্জাতিক নিন্দা ও পাকিস্তানের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করার স্বার্থে তাদের ছেড়ে দেয়া হয়েছে। গত দুই মাস ধরে ধীরগতিতে তারা একে একে ছাড়া পাচ্ছেন। অপর এক খবরে বলা হয়, চীনে যেখানে উইঘুর স¤প্রদায়ের মুসলিমদের বন্দিশিবিরে রেখে নির্যাতনের খবর বিশ্বকে নাড়িয়ে দিচ্ছে, ঠিক তখনই একটি চীনা প্রতিষ্ঠান আফ্রিকার সবচেয়ে বড় মসজিদ নির্মাণে কাজ করেছে। আলজেরিয়ার রাজধানী আলজিয়ার্সে চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষায় থাকা ওই মসজিদটি নির্মাণে সময় লেগেছে সাত বছর। দ্য গ্রেট মস্ক অব আলজিয়ার্স বা জামা আল জাজেইর নামের এই মসজিদটি নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ১০০ কোটি ডলারের বেশি। চার লাখ স্কয়ার মিটার এলাকার ওপর নির্মিত মসজিদটিতে একটি ২৬৫ মিটার (৮৭০ ফুট) মিনার রয়েছে। ওই মিনারের ভেতর একটি পর্যবেক্ষণ ডেকও রয়েছে। আলজিয়ার্স উপকূলের কাছে অবস্থিত যৌগিক গম্বুজ বিশিষ্ট এই মসজিদে একসাথে ১২ লাখ মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। এছাড়া মসজিদে যে ভূগর্ভস্থ পার্কিং রয়েছে সেখানে সাত হাজার গাড়ি রাখার ব্যবস্থা আছে। মসজিদ কমপ্লেক্সে কুরআনিক স্কুল, লাইব্রেরি, রেস্টুরেন্ট, অ্যাম্ফিথিয়েটার এবং আলজেরিয়ার ইতিহাসের জন্য নিবেদিত একটি গবেষণা কেন্দ্র রয়েছে। নিউজ রিপাবলিক, এএফপি।



 

Show all comments
  • Kazi Abushaleh ১ মে, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 1
    ওদের ধ্বংস অনিবার্য। চায়নিজরা মার্কিনীদের চেয়েও হাজারগুন খারাপ।কমিউনিস্ট জাতটা খুব খারাপ।বামপন্থীরা নিপাত যাক।
    Total Reply(0) Reply
  • Tanveer Ahmed Liton ১ মে, ২০১৯, ১:৩২ এএম says : 1
    ঈমান পরিক্ষা চলছে বোন, আল্লাহ কে স্বরন রেখো মায়ার নবী কে স্বরণে রেখো।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Jahangir Alam ১ মে, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    আজ থেকে চীনা পণ্য বর্জন করলাম
    Total Reply(0) Reply
  • Md Jahangir Alam ১ মে, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    আজ থেকে চীনা পণ্য বর্জন করলাম
    Total Reply(0) Reply
  • সাইফুল ইসলাম ১ মে, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    কাফেরের বাচ্চা গুলা পুরা উইঘুর জনগোষ্ঠীকে ধ্বংস করে দিলো
    Total Reply(0) Reply
  • Faisal Moolla ১ মে, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    চিন ভারত আমেরিকা ও ইজরায়েলের সময় ঘনিয়ে আসছে।ইনশাআল্লাহ মুসলমান এই নির্যাতনের উপযুক্ত জবাব দেবে।খুব তাড়াতাড়ি এইসব দেশগুলো সহ তাদের সমমনা দেশগুলো কে আল্লাহ তাআলা নিশ্চিতরূপে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিবেন।
    Total Reply(0) Reply
  • Muhammad Bilal Husayn Quraysh ১ মে, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    আরব বিশ্ব পাকিস্তান এবং ফিলিস্তিনিদের মতে চীন নাকি মুসলমান এর আসল বন্ধু।
    Total Reply(0) Reply
  • Mir Hossain ১ মে, ২০১৯, ১:৩৩ এএম says : 1
    বিশ্ব দেখেছে বারে বারে মুমিন কবু হারেনা, জীবন দিতে পারে মুমিন ঈমান দিতে পারেনা।
    Total Reply(0) Reply
  • Komored Komander ১ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 1
    মহানবী সা: এর ভবিষ্যৎবানী ছিল কিয়ামত এর আগে মুসলিমদের ইমান ধরে রাখা হাতে আগুন কুন্ডলি ধরে রাখার চেয়েও কঠিন হবে। সে ভবিষ্যৎবানি চীন থাকেই শুরু হচ্ছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Md Sumon Rana ১ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 1
    আমি জালিমকে সুযোগ দিই তাদের পাপকে পাকাপোক্ত করার জন্য। অতঃপর তাদের জন্য রয়েছে কঠিন অপমানকর শাস্তি। (সূরা আল ইমরানঃ১৭৮)
    Total Reply(0) Reply
  • Ulama Forum BD ১ মে, ২০১৯, ১:৩৪ এএম says : 1
    মুসলিম নারীদের সাথে ওরা যা করছে এগুলো পড়লে হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। হয়তো এরূপ নির্যাতনের ফলেই উত্থান হয় প্রতিবাদ, প্রতিরোধ, রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ (!) যেটাকে পরবর্তীতে সন্ত্রাসবাদের অপবাদ দিয়ে সমগ্র গোষ্ঠীর উপর নিপীড়ন চালানোর লাইসেন্স পায় বিশ্ব।
    Total Reply(1) Reply
    • tik ২ মে, ২০১৯, ১০:০৩ পিএম says : 4
      মুসলিমরা পাল্টা হামলা করলেই সন্ত্রাসী হয়।কিন্তু মুসলিমদের অপর হামলা করলে সেটা কোন ব্যাপার না।পুরা বিসশে এখন এই অবস্তা।সকল সুন্নি মুসলিম দেশ গুলোকে এক হতে হবে।উন্নত প্রজুক্তি অর্জন করতে হবে নাহলে কাফিরদের গোলামি করতে হবে।
  • NASIR ১ মে, ২০১৯, ২:০৫ এএম says : 1
    ALLAH ODER BICHAR KORUN.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ