Inqilab Logo

সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১, ২৪ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

পাহাড়ে সেনাবাহিনীর মানবতা

চট্টগ্রাম ব্যুরো : | প্রকাশের সময় : ৩০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাঙ্গামাটির সীমান্তবর্তী উপজেলার নাম জুড়াছড়ি, তার চেয়ে দুর্গম আরেকটি গ্রামের নাম বগাখালী। রাঙ্গামাটি সদর থেকে ৯০ কিলোমিটার দূরের ওই এলাকায় যেতে নেই সরাসরি নৌ ও সড়ক যোগাযোগ। হেঁটে, পাহাড় ডিঙ্গিয়ে যেতে লাগে প্রায় ৬ দিন। এই গাঁয়েরই মেয়ে জতনি তংচঙ্গা চারদিন ধরে প্রসবজনিত জটিলতায় কাতরাচ্ছিলেন ঘরে। স্বামী ইশ্বরচন্দ্র তংচঙ্গা কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে গুনছিলেন স্ত্রীর মৃত্যুর প্রহর। ঠিক তখনই জতনি তংচঙ্গার কষ্টের খবর টহল টিমের মাধ্যমে আসে সেনাবাহিনীর ২৪ পদাতিক ডিভিশনে। সঙ্গে সঙ্গেই সাড়া দিলেন তারা মানবতার ডাকে। বিমান বাহিনীর সহায়তা নিয়ে হেলিকপ্টারে করেই গতকাল সোমবার জতনিকে উড়িয়ে আনা হলো চট্টগ্রামের সামরিক হাসপাতালে। ভর্তির পর অবস্থার উন্নতি হতে থাকে তার। নতুন শিশুর মুখ দেখতে এখন মুখিয়ে আছে তার পরিবার। বগাখালি ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার তালাচোগা তংচঙ্গা জানান, চরম দুঃসময়ে সেনাবাহিনী দ্রুত হেলিকপ্টারে করে জতনিকে নিয়ে আসে হাসপাতালে। হেলিকপ্টার থেকে স্ট্রেচারে করে যখন জতনিকে নামানো হচ্ছিল তখন প্রায় মুমূর্ষ অবস্থা তার। ২৪ পদাতিক ডিভিশনের মেজর তানভী আহমাদ বলেন, জতনি তংচঙ্গা এখনো শঙ্কামুক্ত নন। তবে আগের চেয়ে তার অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়েছে। ২৪ পদাতিক ডিভিশনের জিওসির নির্দেশনায় দুর্গম এ এলাকা থেকে উদ্ধার করে তাকে সামরিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
দুর্গম ওই এলাকায় আকাশ পথই যোগাযোগের সবচেয়ে সহজ পথ। তাই হেলিকপ্টার ব্যবহার করে জতনিকে চট্টগ্রাম নিয়ে আসা হয়েছে



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: পাহাড়ে সেনাবাহিনী
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ