প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
২০১৪ সালে ভারতের লোকসভা নির্বাচনে টলিউড এবং বলিউডের একাধিক জনপ্রিয় তারকা বিজয়ী হয়েছিলেন। বর্তমান ক্ষমতাসীন বিজেপি থেকে নির্বাচন করেছিলেন অনেক তারকা। ২০১৯ সালের নির্বাচন এখন চলছে। এ নির্বাচনেও অনেক নতুন ও পুরাতন তারকারা অংশগ্রহণ করছেন। তাৎপর্যের বিষয়, আগের নির্বাচনের চেয়ে এবারের নির্বাচনে তারকাদের উপস্থিতি উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
নির্বাচনের আগে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছিল, ক্ষমতাসীন দল বিজেপি থেকে এবারও বেশ কয়েকজন তারকাকে মনোনয়ন দেয়া হতে পারে। আর পুরো বিষয়টি দেখভাল করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নিজেই। তবে কয়েকজন তারকা বিজেপি ছেড়ে চলে যাবারও আভাস পাওয়া গিয়েছিল। ইতোমধ্যে প্রখ্যাত অভিনেতা শক্রঘ্ন সিনহা বিজেপি ত্যাগ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে বলিউডের তারকাদের মধ্যে অক্ষয় কুমার, কঙ্গনা রানাওয়াত, প্রীতি জিনতা, নানা পাটেকর, রবিনা ট্যান্ডন, পল্লবী যোশির নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার কথা শোনা গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত তাদের কাউকে নির্বাচনী মাঠে দেখা যায়নি। এরপরও কোনো কোনো তারকাকে বিজেপির হয়ে নির্বাচনী ময়দানে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেখা যাচ্ছে। অন্যদিকে বিরোধী দল কংগ্রেস থেকেও প্রকাশ করা হয়েছিল একাধিক তারকার নাম। সে অনুযায়ী নির্বাচনী মাঠে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকজন তারকা সরব রয়েছেন। তৃণমূল কংগ্রেসও এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। নির্বাচনের আগে দলটির কেন্দ্র থেকে তারকাদের প্রার্থী করা নিয়ে যে বার্তা দেয়া হয়েছিল বাস্তবেও মাঠ পর্যায়ে তা দেখা গিয়েছে।
বিভিন্ন দল থেকে এবার বলিউড ও টলিউড থেকে নির্বাচনী মাঠে আছেন হেমা মালিনী, স্মৃতি ইরানি, উর্মিলা মাতন্ডকর, পরেশ রাওয়াল, রাজ রাব্বর, শক্রঘ্ন সিনহা, জয়া প্রদা, প্রিয় দত্ত, মৌসুমী চ্যাটার্জী, রাজপাল যাদব, বাবুল সুপ্রিয়, মুনমুন সেন, শতাব্দী রায়, লকেট চ্যাটার্জী, দেব, মিমি চক্রবর্তী, নুসরাত জাহানরা।
এছাড়া নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করেও অসংখ্য তারকা নানা সময় নানা ভাবে সাধারণ মানুষদের ভোট দিতে উৎসাহ দিয়েছেন। কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা পাঠিয়ে ভোট কেন্দ্রে ডেকেছেন জনগণকে, কেউবা আবার ডেকেছেন র্যাপ গেয়ে। এই তালিকায় আছেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান, আমির খান, সালমান খান, কাজল, অজয় দেবগন, অক্ষয় কুমার, রণবীর কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, কারিনা কাপুর খান, প্রিয়াঙ্কা, ঐশ্বরিয়া সহ অনেকে। ইতোমধ্যেই এ বিষয়গুলি কম বেশি সবারই জানা। তবে আপনি কি জানেন, যে সব তারকা সাধারণ মানুষদের ভোট দানে উৎসাহ দিয়েছেন। তাদের মধ্যে কে কে হাজির হয়েছেন ভোট কেন্দ্রে? দিয়েছেন ভোট? ছবিতে একনজরে দেখে নিন সেই তালিকা।
জয়া বচ্চনকে সঙ্গে নিয়েই ভোট দিয়েছেন অমিতাভ বচ্চন। ছেলে যুগকে নিয়ে ভোট দিতে যান কাজল ও অজয়। ছেলে তৈমুরকে নিয়েই ভোট দিতে যান করিনা কাপুর খান। দুই মেয়ে ইশা ও এষাকে নিয়ে ভোট দিতে যান হেমা মালিনী। এক সঙ্গে ভোট দেন ঐশ্বর্য রাই বচ্চন ও অভিষেক বচ্চন। পরিচালক ডেভিড ধাওয়ানের সঙ্গে ভোট দিয়েছেন বরুণ ধাওয়ান। ভোট দিতে যান আরবাজ খান ও সোহেল খান। এক সঙ্গে ভোট দেন জাভেদ আখতার ও শাবানা আজমি। এক সঙ্গে ভোট কেন্দ্রে গিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত ও তার স্ত্রী মান্যতা দত্ত। মায়ের সঙ্গে ভোট দিতে যান শিল্পা শেঠি। সেন্ট অ্য়ান গির্জা সংলগ্ন একটি ভোটকেন্দ্রে এক সঙ্গে ভোট দিতে যান আমির খান ও তার স্ত্রী কিরণ রাও। স্বামী গোল্ডি বেহেলের সঙ্গে ভোট দিতে যান অভিনেত্রী সোনালি বেন্দ্রে।
এছাড়া নিজ এলাকার ভোট কেন্দ্রে ছুটে যান সালমান খান, শাহরুখ খান, অভিনেত্রী বিদ্যা বালান, টাইগার শ্রফ, রণবীর সিং, অনুপম খের, কঙ্গনা রানাওয়াত, দিয়া মির্জা, সোনু সুদ, অর্জুন রামপাল, মালাইকা অরোরা ও সোহা আলি খানও। শুধু তাই নয়, ভোট দিয়েছেন এ নির্বাচনের অন্যতম আলোচিত-সমালোচিত প্রার্থী ও নন্দিত অভিনেত্রী উর্মিলা মাতন্ডকরও।
আরো ভোট দিয়েছেন পরিচালক মহেশ ভাট, গায়ক কৈলাস খের, খ্যাতনামা কবি তথা গীতিকার গুলজার, ভোটকেন্দ্রে ভোট দিতে যান নবাগতা অভিনেত্রী তথ গায়িকা তারা সুতারিয়া ও রাজপাল যাদব। এছাড়াও স্ত্রীকে নিয়ে ভোট দিতে যান গায়ক শঙ্কর মহাদেবন। সালমান খানের বোন অলভিরা খান অগ্নিহোত্রী ও তার স্বামী অতুন অগ্নিহোত্রীও ভোট দিতে ভোলেননি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।