Inqilab Logo

বুধবার, ০৩ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১, ২৬ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

প্রধানমন্ত্রীর কাছে কমিটির প্রতিবেদন

নিরাপদ সড়ক

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২৯ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদার এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণের জন্য সুপারিশ প্রণয়নে গঠিত কমিটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। গতকাল রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে এ রিপোর্ট হস্তান্তর করেন কমিটি’র চেয়ারম্যান ও সাবেক নৌ পরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান।
জাতীয় সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব মশিউর রহমান রাঙা, প্রখ্যাত কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ, ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর চেয়ারম্যান অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন।
সরকার সড়ক ও জনপথে যথাযথ নির্দেশনা ও শৃঙ্খলা আনয়নে সেই সঙ্গে সারা দেশের সড়ক দুর্ঘটনা যাচাইয়ের জন্য ১৭ ফেব্রুয়ারি ১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে সরকার। বিআরটিএর জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের ২৬তম সভার সিদ্ধান্তও এ ওয়েবসাইটে তুলে দেওয়া হয়। সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারকরণ এবং দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে সুপারিশ প্রণয়নের লক্ষ্যে গঠিত কমিটির খসড়া প্রতিবেদনের ওপর সবার মতামত বিআরটিএর চেয়ারম্যান বরাবর ইমেইলে অথবা লিখিত আকারে পাঠানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
এ বিষয়ে বিআরটিএর ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল রব্বানি বলেন, আমাদের যেকোনো জরিপ বা আইন চূড়ান্ত করার আগে জনসাধারণের মতামতের জন্য খসড়া কপি ওয়েবসাইটে দেওয়া হয়। পরবর্তীকালে জনসাধারণের মতামতের জন্য দেওয়া হয়। সেই সব মতামতের ভিত্তিতে এবং আমাদের কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্তে যেকোনো আইন বা নীতিমালা চূড়ান্ত করা হয়।
কমিটির প্রতিবেদনে ১১১টা সুপারিশ করা হয়। সেখানে সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনার জন্য উন্নত বিশ্বের সাথে তুলনা করে বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কোনটি সঠিক সেই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। ঢাকার যানজট নিরসনে অবৈধ পার্কিং বন্ধের কথা বলা হয় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে। নগরীতে শতাধিক সড়কে পার্কিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানীর ১৩০টি স্থানকে বাস স্টপেজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। কিন্তু এসব স্থানে না থেমে যত্রতত্র বাস থামছে। যেখানে- সেখানে যাত্রী ওঠানামা করছে। তাই যেসব স্থানকে বাস স্টপেজ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সেখানে যাত্রী ছাউনি নির্মাণ করবে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন। কাউন্সিলের সভায় মহাসড়কে দুর্ঘটনার জন্য স্থানীয় সরকারের শাখা সড়ককে একটি কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। বলা হয়, মহাসড়কে সরাসরি যুক্ত হয়েছে শাখা সড়কগুলো। এ সড়কের ছোট গাড়িগুলো বিনা বাধায় মহাসড়কে উঠে যায়। ফলে দুর্ঘটনায় পড়ে। তাই মহাসড়কের সঙ্গে শাখা সড়কগুলো যুক্ত হওয়ার মুখে মোড় সৃষ্টি করা হবে। যাতে গাড়ি শাখা সড়ক থেকে সরাসরি মহাসড়কে উঠতে না পারে।
উল্লেখ্য সারাদেশে সড়ক পরিবহন সেক্টরে শৃঙ্খলা জোরদারের পাশাপাশি দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি সাবেক মন্ত্রী শাজাহান খানকে প্রধান করে ১৫ সদস্যবিশিষ্ট সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী পরিবহন মালিক নেতা মশিউর রহমান রাঙ্গাঁ, সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খন্দকার এনায়েত উল্লাহ, গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ, নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়াস কাঞ্চন, সভাপতি বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক ওসমান আলী, ট্রাক কাভার্ডভ্যান মালিক সমিতির প্রতিনিধি, বিআরটিএ প্রতিনিধি, হাইওয়ে পুলিশের দু’জন ডিআইজি, বুয়েটের দুর্ঘটনা গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ডিএমপির একজন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: সড়ক


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ