পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শেষ হচ্ছে ছাত্রলীগের পদ-প্রত্যাশীদের অপেক্ষার প্রহর। নানা জল্পনা-কল্পনা ও বির্তকের অবসান ঘটিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি চূড়ান্ত করতে যাচ্ছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আজই পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা হতে পারে। গণভবন ও আওয়ামী লীগ সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
সূত্র জানায়, শুক্রবার ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্য বিষিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির খসড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিলে আজই সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে তা প্রকাশ করা হবে। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটিও ঘোষণা হতে পারে।
এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের সম্পাদকমন্ডলীর একজন সদস্য ইনকিলাবকে জানিয়েছেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটির সবকিছু মোটামুটি চূড়ান্ত। আজ তা সংবাদ বিজ্ঞপ্তি আকারে ঘোষণা করা হতে পারে।
গত বছরের ১১-১২ মে ছাত্রলীগের জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনের আড়াই মাস পর (৩১ জুলাই) সভাপতির পদে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক পদে গোলাম রাব্বানীর নাম ঘোষণা করা হয়। একই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখার সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়। তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার পথে থাকলেও তারা নিজেদের কমিটি এখনও পূর্ণাঙ্গ করতে পারেনি। ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কেন্দ্রীয় কমিটি ৩০১ সদস্যবিশিষ্ট আর জেলা কমিটি ১০১ সদস্যবিশিষ্ট হওয়ার কথা।
রীতি অনুযায়ী সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণার পর দ্রুততম সময়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করার কথা। কিন্তু দুই সদস্যের এ কমিটির মেয়াদ ১০ মাস পার হতে চললেও পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কোনও উদ্যোগই নিতে পারেননি শোভন-রাব্বানী।
জানা যায়, বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীর দ্ব›েদ্ব দীর্ঘদিন ধরেই আটকে রয়েছে ছাত্রলীগের কমিটি। এরমধ্যে সংগঠনটির সাবেক নেতাদের সঙ্গেও দ্ব›দ্ব ও ভুল বোঝাবুঝিতে জড়িয়ে পড়েন এই দুই নেতা। এছাড়া জাতীয় নির্বাচন ও ডাকসুর নির্বাচনে ব্যস্ত ছিল ছাত্রলীগ। কিন্তু তাদের দ্ব›েদ্বর প্রভাব ডাকসু নির্বাচনেও পড়ে ফলে পরাজিত হয় ভিপি প্রার্থী ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন।
এই দুই নেতার কর্মকান্ডে নাখোশ হন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছাত্রলীগের সাম্প্রতিক কর্মকান্ড ও পূর্ণাঙ্গ কমিটি না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। দুই সদস্যের এই কমিটি ভেঙ্গে দিতেও বলেন। প্রধানমন্ত্রী গত ১৮ এপ্রিল ৭ দিনের মধ্যে ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের তাগিদ দেন।
ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে দায়িত্ব পান আওয়ামী লীগের ৪ নেতা। তারা হলেন, আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম। এই নেতারা ছাত্রলীগের বিদায়ী কমিটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ, সাধারণ সম্পাদক এসএম জাকির হোসেনসহ বর্তমান সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক রাব্বানির সঙ্গে কয়েক দফা বৈঠক করার পর এ সমঝোতা ও সমন্বয় করেন। এরপর ছাত্রলীগের একটি খসড়া পূর্ণাঙ্গ কমিটি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে জমা দিয়েছেন।
এদিকে দীর্ঘ সময় ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি না থাকায় থমকে দাঁড়িয়েছে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক কার্যক্রম। ১৩০টি সাংগঠনিক ইউনিট পরিচালনা করা দুই নেতার পক্ষে অনেকটা অসম্ভব। এর মধ্যে দীর্ঘ সময় কমিটি না হওয়ায় সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। সাধারণ নেতাকর্মীরা বলছেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি যেন বিএনপির ঈদের পরের আন্দোলনের মতো অবস্থা। বার বার কমিটি গঠনের কথা আলোচনায় এলেও তা আর হয়নি। ছাত্রলীগের ‘টপ টু বটম’ সবাই ক্ষুব্ধ বর্তমান কমিটির ওপর।
এ নিয়ে গত কমিটির কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে কথা হলে তারা জানান, আশার বাণী শুনতে শুনতে হতাশ আমরা। সম্মেলন, কমিটি, এরপর পূর্ণাঙ্গ কমিটির কথা শুনতে শুনতে দুই বছর পার হচ্ছে। তাই পূর্ণাঙ্গ কমিটির কাগজ হাতে না পাওয়ার আগ পর্যন্ত কমিটি আজ হচ্ছে বা কাল হচ্ছে তা নিয়ে কোন কথায় আগ্রহ নেই।
পূর্ণাঙ্গ কমিটির বিষয়ে ছাত্রলীগের সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন জানান, সবার সঙ্গে পরামর্শ করেই আমরা কমিটি প্রস্তুত করেছি। তারপরও বঙ্গবন্ধুর কন্যা দেশরত্ম প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।