Inqilab Logo

শুক্রবার ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫ আশ্বিন ১৪৩১, ১৬ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

হামলার পাশাপাশি পুরো ঘটনা ভিডিও করার বিশেষ ক্ষমতা ছিল ক্ষেপণাস্ত্রের কোনো ভিডিও নেই

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৬ এএম

পুরো অভিযান পরিকল্পনামাফিক হয়নি। শেষ মুহূর্তে অভিযানের ছক বদলে ফেলতে হয়েছিল। তাই বালাকোটে জঙ্গি আস্তানায় হামলার ভিডিও নেই বলে জানিয়েছে ভারতীয় বিমান বাহিনী। গত ২৬ ফেব্রুয়ারি পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের বালাকোটে জয়েশ-ই-মোহাম্মদের ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো হয়েছে বলে দাবি করে বিমান বাহিনী। পুলওয়ামায় জঙ্গি হামলার জবাব দিতেই ওই ‘সার্জিকাল স্ট্রাইক’ চালানো হয়েছে বলে দাবি করেছিল নরেন্দ্র মোদি সরকার। কিন্তু তারপর থেকে বালাকোট নিয়ে বিতর্ক চলছেই। হামলার প্রমাণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধী দলগুলো। বিমান বাহিনীর এক রিপোর্টে সম্প্রতি এ বিষয়ে জবাব দেওয়া হয়েছে। দাবি করা হয়েছে, অভিযানের দিন বালাকোটের জঙ্গি শিবির ধ্বংস করতে ‘ক্রিস্টাল মেজ’ নামে একটি ইসরাইলি ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার কথা ছিল। হামলার পাশাপাশি পুরো ঘটনা ভিডিও করার বিশেষ ক্ষমতা রয়েছে এই ক্ষেপণাস্ত্রের। কিন্তু শেষ মুহূর্তে ওই ক্ষেপণাস্ত্রটি ছোড়া সম্ভব হয়নি। আর তাই সেনাদের হাতে ওই অভিযানের কোন ভিডিও নেই। কেবল উপগ্রহ চিত্র রয়েছে। কিন্তু গোপনীয়তা রক্ষার জন্য এই মুহূর্তে সেগুলোও প্রকাশ্যে আনা সম্ভব হচ্ছে না। ভবিষ্যতে আনা হবে কি না তাও স্পষ্ট করে জানানো হয়নি। বিমান বাহিনীর দাবি, ২৬ ফেব্রুয়ারি বালাকোটে ‘মিরাজ ২০০০’ যুদ্ধবিমান বেশ কিছুটা নীচে নেমে আসে। এরপর পাঁচটি ‘স্পাইস ২০০০’ পেনিট্রেটর গ্লাইড বোমা ফেলে। চারটি নিশানা ছিল ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তিনটিতে গিয়ে আঘাত হানতে সক্ষম হয়। একটিতে ফেলা হয়েছিল তিনটি বোমা। অন্য দু’টিতে একটি করে বোমা ফেলা হয়। কিন্তু ‘ক্রিস্টাল মেজ’-এর মতো লাইভ ভিডিও করার ক্ষমতা নেই ‘স্পাইস ২০০০’-এর। তাই আকাশপথে চালানো ওই অভিযানের কোন ভিডিও নেই। ওয়েবসাইট।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ