বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
মৌলভীবাজার শহরে নিয়ন্ত্রণহীনভাবে গ্যাসচালিত টমটমের দৌরাত্ম্যে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। দিন দিন এ সমস্যা লাগামহীনভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। যত্রতত্র পার্কিং, স্ট্যান্ড, আবার কখনও রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাত্রী উঠানামা। ফলে নিয়মিত শহরে ঘটছে দুর্ঘটনা।
মৌলভীবাজার শহরে দিন দিন টমটমের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা না করে সড়কে চলাচল করা এ যানবাহনটির যন্ত্রণায় লোকজন অতিষ্ঠ। শহরের চাঁদনীঘাট স্ট্যান্ড থেকে চৌমুহনা কোর্ট রোড হয়ে ওয়াপদা পয়েন্ট, ঢাকা বাসস্ট্যান্ড, বেড়ীরপার পয়েন্ট, পশ্চিমবাজার মাছের আড়ৎ ও কুসুমবাগ পয়েন্ট হয়ে বড়হাট এলাকা।
এসব এলাকায় যাতায়াতে যে সড়কগুলো ব্যবহার করা হয় তা হচ্ছে কোর্ট রোড, শাহ মোস্তফা সড়ক, সেন্ট্রাল রোড, সিলেট রোড, শমসেরনগর সড়ক ও পুরাতন হাসপাতাল সড়ক ইত্যাদি। এ সড়কগুলো এমনিতে খুবই ব্যস্ততম। এসব সড়কে টমটমের উপদ্রব থাকে সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘ সময় যানজট থাকে সড়কগুলোতে। তবে বছরখানেক আগে শহরের সেন্ট্রাল রোডে টমটম চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়।
বিশেষ করে চাঁদনীঘাট থেকে চৌমুহনা পর্যন্ত, চৌমুহনা থেকে কোর্ট-কলেজ এলাকা, শমসেরনগর রোডে শাহ মোস্তফা কলেজ এবং শাহ মোস্তফা রোড হয়ে বেড়ীরপার পয়েন্ট, সিলেট-শ্রীমঙ্গল রোড হয়ে সদর হাসপাতাল, বাসস্ট্যান্ড, কুসুমভাগ পয়েন্ট সর্বক্ষণ থাকে টমটমের দখলে। সরেজমিন দেখা যায়, শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এবং মোড়ে অধিকাংশ গ্যাসচালিত টমটম জটলা করে দাঁড়িয়ে থাকে যাত্রীর আশায়। এই বিশৃঙ্খল অবস্থা এখন মৌলভীবাজার শহরের প্রধান সড়কগুলোতে। অথচ এ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নেই কোন তৎপরতা।
মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের ছাত্রী সুমাইয়া বলেন, অদক্ষ চালকরা গাড়ি নিয়ন্ত্রণ না করতে পেরে মানুষের উপর তুলে দেয়। একদিন টমটমের ধাক্কায় আমি গুরুতর আহত হই। মুস্তাকিম আহমদ নামে অপর একজন বলেন, অনেক কিশোরদের এই গ্যাসচালিত টমটম চালাতে দেখা যায়। শহরের বিভিন্ন মোড়ে পুলিশ নিয়মিত গাড়ির কাগজপত্র দেখলেও কোন টমটমের কাগজপত্র দেখতে দেখা যায়না।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স না থাকায় মোটরসাইকেল নিয়ে বের হতে পারি না। কিন্তু বেশিরভাগ টমটম চালকরা ড্রাইভিং লাইসেন্স ও গাড়ির কাগজ ছাড়া রাস্তায় গাড়ি চালায়। শুধু মোটরসাইকেল ও প্রাইভেট যানবাহন রাস্তায় আটকে কাগজপত্র দেখার নামে হয়রানি করা হচ্ছে। পাশাপাশি তিনি টমটম, অটোরিক্সাসহ ভাড়ায় চালিত সকল গাড়ির কাগজপত্র দেখার দাবি করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন টমটম চালক বলেন, তাদের গাড়ি পুলিশ ধরবে না। মাসোহারা দিয়েই টমটম চালাতে হয়। সেজন্য কাগজপত্র ছাড়াও শহরে গাড়ি চালাতে অসুবিধা হয় না। এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক সালাউদ্দিন কাজল বলেন, এটা দেখার দায়িত্ব আমার একা নয়। এ ব্যাপারে কি করা যায় সে সিদ্ধান্ত নীতি নির্ধারণী পর্যায় থেকে আসতে হবে। শহরের অনেক হর্তা-কর্তা আছেন তারা দেখবেন। আর টমটম চালকরা যে মাসোহারা দেয় সে প্রসঙ্গটি তিনি এড়িয়ে যান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।