Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

শরীরে আগুন জ্বালিয়ে রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মীর আত্মহত্যা

স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে : | প্রকাশের সময় : ২৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

নিজের শরীরে কেরোসিন দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে আত্মহত্যা করেছে সাভারের আলোচিত রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী নওশাদ হাসান হিমু।
বুধবার রাত আনুমানিক সাড়ে নয়টার দিকে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত উদ্ধারকর্মী নওশাদ হাসান হিমু (২৮) বরিশাল জেলার উজিরপুর থানা এলাকার সরদার আবুল হোসেনের ছেলে। সে সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নের শ্যামপুর এলাকায় আব্দুল হক মোল্লার বাড়িতে একটি কক্ষ ভাড়া নিয়ে মায়ের সাথে থাকতো।
সাভার মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আজগর আলী জানান, নওশাদ হাসান হিমু নামে এক যুবক রাতে শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তিনি আরও জানান, হিমু মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। বাড়িতে দুটি কুকুর পুষতো। রাতে এক সাথে কুকুরের সাথে ঘুমাতো। কোন লোকজনের সাথে মিশতো না। সবসময় একা একা থাকতো। তবে হিমু রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মী ছিলো কিনা সে সম্পর্কে তিনি কিছুই জানেন না বলে জানিয়েছেন। ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি ঢাকার শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় গতকাল সাভার মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গার্মেন্ট শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল মামুন মিন্টু বলেন, রানা প্লাজা ধসের সময় উদ্ধারকর্মী হিসেবে হিমুর যথেষ্ঠ অবদান ছিল। সে ধ্বংসস্তুপের অনেক গভীরে গিয়েও আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করেছিল। তবে ওই ঘটনার পর থেকে হিমু মানুষিকভাবে বিপর্যস্ত ছিলেন। সে ছাত্র ফেডারেশনের একজন সদস্যও ছিল।
সাভার রানা প্লাজা সারভাইভারস এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এর সভাপতি মাহমুদুল হাসান হৃদয় জানান, বুধবার রানা প্লাজা ধসের ৬ষ্ঠ বর্ষপূতি অনুষ্ঠানে তাদের সাথে হিমুও উপস্থিত ছিল।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রানা প্লাজার উদ্ধারকর্মীর আত্মহত্যা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ