Inqilab Logo

শনিবার ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৬ আশ্বিন ১৪৩১, ১৭ রবিউল আউয়াল ১৪৪৬ হিজরী

কুতুবদিয়ার এক তৃতীয়াংশ বেড়িবাঁধ অরক্ষিত

আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই বেড়িবাঁধ সংস্কারের দাবী

বিশেষ সংবাদদাতা কক্সবাজার | প্রকাশের সময় : ২৫ এপ্রিল, ২০১৯, ২:৫৪ পিএম

দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়ার একতৃতীয়াংশ বেড়িবাঁধ সম্পূর্ণ অরক্ষিত। দ্বীপের মোট ৪০ কিমি বেড়িবাঁধের সাড়ে ১৩ কিমি বেড়িবাঁধই এখন অরক্ষিত। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের আগেই এই বেড়িবাঁধ সংস্কার করা না হলে গোটা কুতুবদিয়া সাগরের পানিতে তলীয়ে যাওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। এনিয়ে চরম উদ্বিগ্ন দ্বীপবাসী।

জানা গেছে, কুতুবদিয়া দ্বীপের উত্তর-পশ্চিমাংশে টেকসই বাড়িবাঁধ না থাকায় গত বছর বর্ষা মৌসুমে সাগরের ঢেউয়ের তোড়ে ব্যাপক এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিশেষ করে কায়সার বাপের পাড়া এলাকা থেকে দুই পাশের প্রায় ১৩ কিলোমিটার বেড়িবাঁদ একেবারেই বিলীন হয়ে যায়।
এ সময় সাগরের পানির সাথে একাকার হয়েগিয়েছিল কুতুবদিয়া।

গত অর্ত বছরে এই বেড়িবাঁধ সংস্কারে একশত কোটি টাকা বরাদ্দ দেয় সরকার। রাষ্ট্রীয় একটি বিশ্বস্থ সংস্থা নৌবাহিনী নামে এই কাজটি নেয়া হলেও কিছু অদক্ষ এবং অনভিজ্ঞ লোক এখন এই কাজটির ঠিকাদারীতে নিয়োজিত।

অর্থবছর শেষ হয়ে যাওয়ার সময় হলেও কাজের অগ্রগতি তেমন হয়নি খোঁজ নিয়ে জানা গেছে এক থেকে দেড় কিলোমিটার এলাকায় মাত্র কাজের অগ্রগতি হয়েছে। তাতেও কাজের মান মোটেই ভাল নয়।

সম্প্রতি এই কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন এবং তদারকিতে গিয়ে জলবায়ু
ফোরামের সোশ্যাল অডিট টিম এর একটি প্রতিনিধি দল সেখানে ব্যাপক অনিয়ম দেখতে পান বলে জানাগেছে।

২৪ এপ্রিল বুধবার উপজেলার সবচেয়ে ঝুকিপূর্ণ উত্তর ধুরুং কাইচার বাপের পাড়া পয়েন্টে অডিটটিম ভিজিট করেন। এসময় টিমের সাথে উপস্থিত ছিলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা অফিসার (এসও) এলটন চাকমা, কোস্ট ট্রাস্ট্রের সিএফটিএম প্রকল্পের ককসবাজার জেলা কো-অর্ডিনেটর মকবুল আহমদ, জলবায়ু ফোরামের সহ-সভাপতি সাংবাদিক এম.এম.হাছান কুতুবী, কার্যনির্বাহী সদস্য নেচার আহমদ চৌধুরী, মাহবুবা আখতার এমইউপি, সাবেক এমইউপি দিলশাদ আরজুম হ্যাপী ও এনি আখতার।
ওই অডিটটিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংশ্লিষ্ট মহলের সিমাহীন অনিয়ম ও দায়সারা কর্মকান্ডের কারণে সাড়ে ১৩ কি.মি. এলাকায় টেকসই বাঁধে জন্য ২০১৭-১৮ অর্থ সনে বরাদ্দকৃত প্রায় ১০০ কোটি টাকার নির্মাণ প্রকল্প কাজের মাত্র এক/দেড় কি.মি. এলাকায় কাজ হয়েছে। অবশিষ্টকাজ এখনো শেষ না করায় সামনের বর্ষায় গোটা উত্তর ধুরুংসহ দ্বীপের বিস্তীর্ণ এলাকার মানুষ আবারো নোনা পানিতে হাবু-ডুবু খাওয়ার আশঙ্কার করা হচ্ছে।

স্থানীয় জনগণের নিকট থেকে এই অভযোগ অডিট দলের কাছে তুলে ধরা হয় বলেও জানান তারা। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মহলের দৃষ্টি আকর্ষণ করে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান 'জলবায়ু ফোরামের সোস্যাল অডিটটিম'।

খোঁজ নিয়ে জানাগেছে,সাগরের করাল গ্রাসে ভাঙতে ভাঙতে ছোট হয়ে আসছে দ্বীপ উপজেলা কুতুবদিয়া। একনো এখানে পৌনে দু লাখ জনগণের বসবাস। দু'টি কলেজ একটি ফাজিল মাদরাসাসহ সরকারী বেসরকারী ১১৫ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছাড়াও এখানে রয়েছে ২০ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়।

দ্বীপের মানুষের দাবী সরকারের বিশাল টাকার অপচয় বাঁচিয়ে বর্ষার আগেইকাঙ্খিত মানের টেকসই বেড়িবাঁধ নির্মাণ করে কুতুবদিয়া বাসীকে রক্ষা করা হউক।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কুতুবদিয়া
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ