প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
একটি ট্যুরিজম কোম্পানির যাত্রা শুরুর ঘোষণা দেয়া হবে, এ নিয়ে করা হয়েছে আয়োজন। প্রধান অতিথি তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ তখননো মিলনায়তনে পৌঁছাননি তিনি। বিশেষ অতিথি র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদ মাত্রই বক্তব্য শেষ করে বেরিয়ে গেছেন। জনপ্রিয় চলচ্চিত্র তারকা জয়া আহসান, সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টি, মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ও ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) সভাপতি শমী কায়সারের উপস্থিতিতে চলছিল কেক কাটার আয়োজন। কিছুক্ষণ পরই শমী কায়সার চিৎকার করে উঠলেন, তার দুইটি ফোনই হারিয়ে গেছে!
বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী মিলনায়তনে এ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এসময় গোটা মিলনায়তনে হৈ হট্টগোল তৈরি হয়। মিলনায়তনে উপস্থিত সবাইকে তল্লাশি চালানোর উদ্যোগ নিলে উপস্থিত অনেকেই তার প্রতিবাদ জানান। এতে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি দেখা দেয়।
পরে মিলনায়তনের সিসিটিভি ফুটেজ থেকে ফোন চুরির ঘটনাটি নিশ্চিত হওয়া গেলেও ফোন চোরকে শনাক্ত করা যায়নি।
শমী কায়সার জানান, তার সঙ্গে দুইটি স্মার্টফোন ছিল। ট্যুরিজম কোম্পানির এর যাত্রা শুরু উপলক্ষে যখন কেক কাটছিলেন উপস্থিত অতিথিরা, ঠিক সেই সময়ই তার ফোন দু’টি চুরি হয়ে যায়। ক্ষুব্ধ শমী কায়সার বলেন, মিলনায়তনে উপস্থিত প্রত্যেকের পকেটে তল্লাশি চালিয়ে হলেও ফোন দুইটি খুঁজে বের করা হবে।
শমী কায়সারের এমন বক্তব্যের প্রতিবাদ করে ওঠেন উপস্থিত গণমাধ্যমকর্মীসহ অন্যরা। এসময় শমী কায়সারের সঙ্গে তাদের কয়েকজনের বাদানুবাদও হয়। পরে আয়োজন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাসহ অন্যদের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত হয়। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এসময় মিলনায়তনের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে ফোন চোর শনাক্ত করার উদ্যোগ নেয়া হয়।
সিসিটিভি ও উপস্থিত টিভি ক্যামেরাগুলোর ফুটেজে দেখা যায়, কেক কাটার সময় কেকের পাশেই থাকা শমী কায়সারের ফোন দুইটি চুরি করে নেয় সাদা টি-শার্ট পরিহিত এক তরুণ, ভিডিওতে তার মুখ দেখা যায়নি। আয়োজক প্রতিষ্ঠানের স্বেচ্ছাসেবীরা অনুষ্ঠানে ওই টি-শার্ট পরিহিত অবস্থায় ছিলেন। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, চেহারা দেখা না যাওয়ায় তারা নিশ্চিত হতে পারছেন না আদৌ ওই তরুণ তাদের স্বেচ্ছাসেবী ছিলেন কি না।
শমী কায়সার বলেন, ‘এটি অত্যন্ত বাজে একটি দৃষ্টান্ত হলো। অপ্রত্যাশিত ঘটনায় আমি খুব শকড। আবার ফোন তল্লাশির কথায় অনেকে কষ্ট পেয়েছেন, সাংবাদিকরা প্রতিবাদ করেছেন। আমি সত্যিই খুব দুঃখিত। এই ফোন দু’টিতে আমার সবকিছু ছিল। ফোন দুইটি হারিয়ে সত্যিই আমি কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়েছিলাম। আমরা চোর শনাক্ত করে ফেলেছি, ফোন খুব দ্রুত উদ্ধার হবে।’
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।