স্টাফ রিপোর্টার, সাভার থেকে

আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠেয় সাভারে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রচারণার শুরুতেই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে সহিংসতার ঘটনা ঘটছে। আর প্রতিটি ঘটনার মধ্যেই থাকছে বৈধ-অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার। এসব নানা কারণে ভোটারদের মধ্যে ভোটের আগেই আতঙ্কের ছাপ দেখা যাচ্ছে। রক্তপাতের ভয়ে সভা-সমাবেশে সাধারণ মানুষের উপস্থিতি চোখে পড়ছে না উপজেলার কোথাও। সকলের চোখে মুখে শুধুই আতঙ্ক। গত শুক্রবার প্রতীক বরাদ্দের শেষদিন থেকেই শুরু হয় নির্বাচনী সহিংসতা। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী সরকারদলীয় মনোনীত প্রার্থীরা ভোটযুদ্ধে অংশগ্রহণ করে পেশিশক্তি ও দলীয় প্রভাব খাটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী, বিএনপি মনোনীত দলীয় প্রার্থীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। সাভার সদর ইউনিয়নে বিএনপি মনোনীত প্রার্থী গোলাম মোস্তফা অভিযোগ করে বলেন, এ ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোীনত প্রার্থী সোহেল রানার সমর্থকরা প্রতি রাতেই তা-ব চালায় কলমা এলাকাসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডে। বিএনপির সমর্থিত লোকজন পেলেই পিটিয়ে আহত করে, গত মঙ্গলবার বিকালে সাত আটজনকে পিটিয়ে আহত করে হাসপাতালে পাঠিয়েছে, আবার হুমকি দিয়েছে সাংবাদিক জানলে আহতদের আর এলাকায় ঢুকতে দেয়া হবে না ও তাদের আত্বীয়স্বজনের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা হবে। আওয়ামী লীগ মনোনীত দলীয় প্রার্থী সোহেল রানা ও তার সমর্থকরা রাতের আঁধারে বিএনপি প্রার্থীর পোস্টার ছিঁড়ে ফেলারও অভিযোগ করেন। তিনি আরো জানান, নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে ক্ষমতাসীন দলের সমর্থকরা প্রতিনিয়ত নানান হুমকি দিয়ে আসছে। গত শুক্রবার রাতে সাভারের কাউন্দিয়ায় বিদ্রোহী প্রার্থীর পথসভায় সরকারদলীয় প্রার্থীর নেতৃত্বে এলোপাতাড়ি গুলিবিনিময়ে ঘটনাস্থলেই শহিদুল ইসলাম নামে বিদ্রোহী প্রার্থীর এক সমর্থক নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরো ২০ জন ও নিখোঁজ রয়েছে দুইজন। এঘটনায় সরকারদলীয় চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল আলম খান ও তার বডিগার্ড মশিউর রহমানকে আটক করেছে সাভার মডেল থানা পুলিশ। একই দিন সন্ধ্যায় আশুলিয়ার ধামসোনা ইউনিয়নের বগাবাড়ি বাজারে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী গফুর মিয়া প্রচারণা চালাতে যায়। এসময় সে জনগণের কাছে ধানের শীষে ভোট চাওয়ার সময় পেছন থেকে ধামসোনা ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী সাইফুল ইসলামের লোকজন বিএনপির নেতাকর্মীদের লাঠিসোঁটা দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। ফাঁকা গুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এব্যাপারে সাভার মডেল থানার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) রাসেল শেখ জানান, নির্বাচন নিয়ে আইনশৃঙ্খলার যাতে অবনতি না ঘটে সেদিকে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে অপরাধী যেই হোক কাউকে ছাড় দেয়া হচ্ছে না।