গুডিসন পার্কে রোববার রাতে ৪-০ গোলে জিতে স্বাগতিকরা। প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে ইউনাইটেডের বিপক্ষে এভারটনের এটাই সবচেয়ে বড় জয়।
রিচার্লিসন ও গিলফি সিগুর্দসনের গোলে প্রথমার্ধেই ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় এভারটন। বিরতির পর লুকাস দিগনে ও থিও ওয়ালকটের লক্ষ্যভেদে অতিথিদের উড়িয়ে দেয় তারা।
এই পরাজয়ে দলটির শীর্ষ চারে থেকে লিগ শেষ করাটা দুরূহ হয়ে পড়ল। ৩৪ ম্যাচে ১৯ জয় ও সাত ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে ষষ্ঠ স্থানে আছে ম্যানইউ। এক ম্যাচ বেশি খেলা এভারটন ৪৯ পয়েন্ট নিয়ে আছে সাত নম্বরে।
একই রাতে অঘটনের শিকার হয়েছে আর্সেনালও। লিগের প্রথম পর্বে ক্রিস্টাল প্যালেসের মাঠে পয়েন্ট হারানোর প্রতিশোধ নিতে পারল না আর্সেনাল। উল্টো ফিরতি দেখায় হেরে বসেছে উনাই এমেরির দল।
এমিরেটস স্টেডিয়ামের ম্যাচটি ৩-২ গোলে জিতেছে প্যালেস। গত অক্টোবরে দলটির মাঠে ২-২ ড্র করেছিল আর্সেনাল।
ক্রিশ্চিয়ান বেনতেকের গোলে শুরুতেই পিছিয়ে পড়া আর্সেনালকে সমতায় ফেরান মেসুত ওজিল। তবে সেটি স্থায়ী হয়নি, ৮ মিনিটের ব্যবধানে উইলফ্রেদ জাহা ও জেমস ম্যাকআর্থার দুই গোল করলে এমিরির দল আর পেরে ওঠেনি। শেষ দিকে পিয়েরে-এমেরিক আউবামেয়াংয়ের গোল ব্যবধান কমিয়েছে মাত্র।
তবে একটি জায়গায় নিজের ব্যক্তিগত এক অর্জন সমুদ্ধ হয়েঝে গ্যাবনের এই ফরোয়ার্ডের। ১৯ গোল নিয়ে চলতি লিগের গোলদাতাদের তালিকায় আগে থেকে শীর্ষে থাকা সার্জিও আগুয়েরো ও মোহামেদ সালাহর পাশে বসলেন আর্সেনাল ফরোয়ার্ড।
৩৪ ম্যাচে ২০ জয় ও ছয় ড্রয়ে চার নম্বরে থাকা আর্সেনালের পয়েন্ট ৬৬। সমান পয়েন্ট নিয়ে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে চেলসি।
দিনের আরেক ম্যাচে কার্ডিফ সিটির মাঠে ২-০ গোলে জেতা লিভারপুল ৩৫ ম্যাচে ৮৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ফিরেছে। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে লিভারপুলকে এগিয়ে নেন জর্জিনিয়ো ভিনালডাম। শেষ দিকে স্পট কিক ব্যবধান দ্বিগুণ করেন জেমস মিলনার। কার্ডিফ সিটির মাঠে জিতে ম্যানচেস্টার সিটিকে পেছনে ফেলে প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষে ফেরে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল।
দুই পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে যাওয়া ম্যানচেস্টার সিটি অবশ্য লিভারপুলের চেয়ে এক ম্যাচ কম খেলেছে। লিগের প্রথম পর্বে অ্যানফিল্ডে কার্ডিফকে ৪-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছিল লিভারপুল।
৬৭ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে টটেনহ্যাম হটস্পার।