মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি সরকার জাতিগত সশস্ত্র গ্রুপগুলোকে যেভাবে ন্যাশনাল সিজফায়ার এগ্রিমেন্টে (এনসিএ) স্বাক্ষরের জন্য চাপ দিচ্ছে, তার তীব্র সমালোচনা করেছেন ইউনাইটেড ওয়া স্টেট আর্মির (ইউডাব্লিউএসএ) ভাইস চেয়ারম্যান। বুধবার পাংসাংয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ঝাউ গুও আন বর্তমান সরকারের প্রতি অভিযোগ করে বলেন, মিয়ানমারের সবচেয়ে বড় বিদ্রোহী গ্রুপ ইউডাব্লিউএসএ’র সাথে আগের সরকারের সময় যে চুক্তি হয়েছিল, এখনকার প্রশাসন সেটা বাস্তবায়ন করছে না। তিনি বলেন, “এই দ্বিমুখী নীতি আমাদের সমস্যা নয়। এটা সরকারের সমস্যা। আগের উ থিন সেনের সরকার এবং বর্তমানের অং সান সু চির সরকারের মধ্যে একটা বিরোধ রয়েছে। শান্তি প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের প্রশ্নে এনসিএ নিয়ে কিছুই করার নেই ওয়া গ্রুপের”। তিনি দাবি করেন যে, ইউডাব্লিউএসএ উ থিন সেনের সরকারের সাথে রাষ্ট্র ও ইউনিয়ন পর্যায়ে অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল, সেখানে এনএসি স্বাক্ষরের কোন বিষয় ছিল না। কিন্তু অং সান সু কির সরকার সেটা করতে বলছে। ইউডাব্লিউএসএ ১৯৮৯ সালের সামরিক সরকারের সাথে একটা চুক্তি করেছিল এবং ২০১১ সালে উ থিন সেনের সরকারের সাথে দুটো অস্ত্রবিরতি চুক্তি করেছিল – একটি পাংসাংয়ে এবং দ্বিতীয়টি পরে লাসিওতে। ঝাউ গুও আন বলেন, “আমরা দুটো পর্যায়ে চুক্তি করেছি। সরকার কেন সেগুলো দেখছে না? আমাদেরকে এনসিএ স্বাক্ষর করতে বলা হচ্ছে, সেটা নিয়ে আমাদের কিছুই করার নেই। আগের সরকারের সাথে আমরা বহু চুক্তি করেছি। আমরা রাজ্য ও ইউনিয়ন পর্যায়ে চুক্তি করেছি”। ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, তার সন্দেহ আছে যে, ২০২০ সালের সাধারণ নির্বাচনের পর ইউডাব্লিউএসএ যে চুক্তিগুলো করেছিল, সেগুলো কার্যকর থাকবে কি না। তিনি বলেন, “অন্যান্য জাতিগত গ্রুপগুলোর সাথে এনসিএ নিয়ে আলোচনা হয়েছে, কিন্তু ওয়া গ্রুপ তাতে অংশ নেয়নি”। ইউডাব্লিউএসএ অতীতে সরকারের সাথে নিজেদের শান্তি আলোচনায় অংশ নিয়েছে। কিন্তু ২০১৭ সালে তারা ফেডারেল পলিটিক্যাল নেগোসিয়েশান অ্যান্ড কনসালটেটিভ কমিটি (এফপিএনসিসি) গঠনের জন্য কাচিন ইন্ডিপেন্ডেন্স আর্মি, ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, শান স্টেট প্রগ্রেস পার্টি, মিয়ানমার ন্যাশনাল ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স আর্মি, তাং ন্যাশনাল লিবারেশান আর্মি এবং আরাকান আর্মির সাথে জোট বাঁধে। তখন থেকেই একটা ব্লক হিসেবে সরকারের সাথে আলোচনার দাবি জানিয়ে আসছে তারা। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।