Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

অপকর্মের তথ্যফাঁস উৎসাহিত করতে ইইউ পার্লামেন্টে আইনি পদক্ষেপ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ২০ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সরকারি-বেসরকারি দুর্নীতি ও অপকর্মের তথ্যফাঁস উৎসাহিত করতে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছে ইউরোপীয় পার্লামেন্ট। তথ্য ফাঁসকারীদের সুরক্ষায় উদ্দেশ্যে পার্লামেন্টের অধিকাংশ সদস্যের ভোটে একটি খসড়া আইন অনুমোদন করা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী, প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি ও অপকর্মের ব্যাপারে অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রতিকার না পেলে তা জনম্মুখে ফাঁস করা বৈধ হবে। এমন সময় এই আইন অনুমোদন পেল, যখন তথ্যফাঁসের অপরাধে উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের বিরুদ্ধে একাধিক রাষ্ট্রের আইনি পদক্ষেপ জোরালো হয়েছে। খসড়া আইনটি চূড়ান্ত হতে এখন ইউরোপীয় ইউনিয়নের মন্ত্রীদের অনুমোদন পেতে হবে। এরপর দুই বছর মেয়াদের মধ্যে ইউরোপের দেশগুলো নিজ নিজ দেশের বাস্তবতায় আইনটিকে অঙ্গীভূত করবে। ২০১২ সালের জুন থেকে লন্ডনের ইকুয়েডর দূতাবাসে রাজনৈতিক আশ্রয়ে ছিলেন উইকিলিকস প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ। একজন হুইসেলব্লোয়ার নিপীড়নের মুখে পড়লে অন্য আরও অনেকে তথ্য প্রকাশ করায় উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন। ২০১৭ সালে দুর্নীতির এক জরিপে দেখা যায় ৮০ শতাংশেরও বেশি উত্তরদাতা দুর্নীতির শিকার হয়ে বা চোখের সামনে দুর্নীতি হতে দেখেও তা প্রকাশ করেনি। নতুন আইন সম্ভাব্য হুইসেলব্লোয়ারদের শক্তিশালী করবে বলে মনে করা হচ্ছে। নতুন আইনে তথ্যফাঁসকারীদের আইনি সুরক্ষা নিশ্চিত করা হয়েছে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের তথ্যফাঁসের আগে সংশ্লিষ্ট কর্মীকে অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। নতুন আইন অনুযায়ী অভ্যন্তরীণ কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিকার না পেলে জনসম্মুখে তথ্যফাঁস বৈধ হবে। আইনটি পাস হলে এমনকী সংবাদ সম্মেলন করে এমন তথ্য ফাঁস করা যাবে। অভ্যন্তরীণভাবেই তথ্যফাঁসের নিরাপদ চ্যানেল ব্যবহারের সুযোগ থাকবে। নতুন আইন অনুযায়ী তথ্য ফাঁস করার কারণে কোনও ব্যক্তি চাকরি হারানোর বা অন্য কোনও ধরনের শাস্তির ঝুঁকিতে থাকবেন না। মঙ্গলবার পার্লামেন্টের ৫৯১ জন আইন প্রণেতা এই আইনে সমর্থন দেন। বিরুদ্ধে ভোট দেন ২৯ জন আর অনুপস্থিত থাকেন ৩৩ জন। প্রাথমিকভাবে ইউরোপ জুড়ে এধরণের আইন প্রণয়নের বিষয়ে রাজি ছিল না ইউরোপীয় ইউনিয়ন। তবে ২০১৪ সালে লাক্সলিকস নামে পরিচিত কর ফাঁকি কেলেঙ্কারির পর নাগরিক সমাজ, সাংবাদিক ইউনিয়ন ও আইন প্রণেতাদের সম্মিলিত পদক্ষেপে আইন প্রণয়নে সম্মত হয় ইইউ। রয়টার্স।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ