মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর (তাতমাদাও) বিরুদ্ধে লড়াইরত আরাকান আর্মির (এএ) কমান্ডার ্র কমান্ডার ইন চিফ মেজর জেনারেল তুন তিয়াত নাইঙ বলেছেন, তারা শান্তির জন্য অনুনয় করবে না। তিনি বলেন, তার বাহিনী সংখ্যায় কম হলেও এবং তারা বিমান হামলার মুখে পড়লেও যুদ্ধ চালিয়ে যাবে। পশ্চিম রাখাইন রাজ্যে ক্রমবর্ধমান রক্তাক্ত যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েছে আরাকান আর্মি। তারা মিয়ানমারের অন্যতম দরিদ্র ও জাতিগত রাখাইন বৌদ্ধপ্রধান আরাকান রাজ্যের জন্য আরো স্বায়াত্তশাসন দাবি করছে। কঠোর কড়াকড়ি থাকায় এই যুদ্ধে ঠিক কতজন নিহত হয়েছে, তা জানা যায়নি। অবশ্য, মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বলেছে, জানুয়ারি থেকে আরাকান আর্মি তাদের ২০ জন সদস্যকে হত্যা করেছে। খবরে বলা হয়, আরাকানে সামরিক অভিযান নিয়ে বেশ জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। ২০১৭ সালে সেখানে নৃশংস সামরিক অভিযানের ফলে সাত লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম বাংলাদেশের পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। মিয়ানমার সামরিক বাহিনী বলছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) সদস্যদের উৎখাত করতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। আর রোহিঙ্গারা এলাকা ছাড়ার পর আরাকান আর্মি এখন সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে গুপ্ত হামলা ও গুপ্তহত্যা জোরদার করেছে। রাখাইনের বিভিন্ন এলাকা ও প্রতিবেশী চিন রাজ্যের সীমান্তেও যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর ২০ হাজার লোক বাস্তুচ্যুত হয়েছে। চলতি মাসের প্রথম দিকে একটি সামরিক হেলিকপ্টার অন্তত ছয় রোহিঙ্গাকে হত্যা করে। সেনাবাহিনী দাবি করে যে এসব রোহিঙ্গা আরাকান আর্মির সাথে কাজ করছিল। কিন্তু তুন তা ভিত্তিহীন বলে অস্বীকার করেছেন। তবে তিনি স্বীকার করেন যে মিয়ানমার সামরিক বাহিনীর হাতে রাখাইন ছাড়াও রোহিঙ্গারাও নির্যাতিত হচ্ছে। জাতিগত রোহিঙ্গাদের প্রতি এ ধরনের সহানুভূতি আরাকান আর্মির কাছ থেকে পাওয়া বেশ বিরল ঘটনা। তুন বলেন, তিনি ওয়ায় এক চীনা কর্মকর্তার সাথে সাক্ষাত করেছেন। উল্লেখ্য, মিয়ানমারের ঘটনাবলীর দিকে ঘনিষ্ঠ নজর রাখছে চীন। আরাকান আর্মির সেনাপ্রধান বলেন, তিনি আমাদেরকে আক্রমণ শুরু না করার অনুরোধ করেছেন। আর আমি তাকে উভয় পক্ষের মধ্যে মধ্যস্ততা করতে বলেছি। প্রসঙ্গত, বুধবার চীন সীমান্ত-সংলগ্ন পূর্বাঞ্চলীয় শান রাজ্যের ওয়া স্ব-চালিত বিভাগের নিরাপদ স্থানে সাংবাদিকদের এএ প্রধান মেজর জেনারেল তুন তিয়াত নাইঙ বলেন, সশস্ত্র সংগ্রাম ছেড়ে দেয়ার কোনো ইচ্ছা তার বাহিনীর নেই। তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধ ছাড়ব না। আমদের লড়াই করতেই হবে। আমরা শান্তির জন্য অনুনয় করব না। আরাকান আর্মি নেতা ইউনাইটেড ওয়া স্টেট পার্টির এলাকা পাঙ্গসাঙ্গে বক্তব্য রাখেন। এই গ্রুপটি স¤প্রতি তাদের ৩০ বছর স্বায়ত্তশাসন পূর্তি উপলক্ষে সাংবাদিক ও অন্যান্য জাতিগত নেতাকে তাদের এলাকায় আমন্ত্রণ জানায়। চীনা-সমর্থিত ওয়াদের সাথে মিয়ানমারের দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধবিরতি রয়েছে। তাদেরকে এখন পর্যন্ত আধা-স্বায়ত্তশাসন দেয়া হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সুসজ্জিত ওয়া সামরিক বাহিনীর ২৫ হাজার স্থায়ী যোদ্ধা রয়েছে। তারা মিয়ানমারের কেন্দ্রীয় শাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত অনেক সশস্ত্র গ্রুপকে প্রশিক্ষণ ও অস্ত্র দিচ্ছে। আরাকান আর্মি নেতার সেখানে উপস্থিতি এই অভিযোগ আরো জোরদার করল। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।