পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ফেসবুকে এক সুন্দরী নারীর সাথে পরিচয়। মাঝে মধ্যে চ্যাটিংয়ে নানা কথা হতো। একসময়ে কথাবার্তা গিয়ে গড়ায় প্রেমের সম্পর্কে। যদিও এরমধ্যে দু’জনের কেউ কাউকে দেখেনি। মাসখানিকের মধ্যেই কথিত প্রেমিকা ডেটিংয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে ২৪ বছর বয়সী প্রেমিক রায়হানকে। ব্যাকুল প্রেমিকও ছুটে যায় প্রতীক্ষিত প্রেমিকার ডাকে। কিন্তু প্রেমের এই আহবান যে গলার কাটা হবে তা গুণাক্ষরেও বুঝতে পরেননি প্রেমিক। কথিত প্রেমের নামে ফেইক আইডির ফাঁদে পড়ে অপহরণকারীদের হাতে ধরা পড়েন রায়হান। তাকে নির্যাতন করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে প্রেমিকা কাজল বেগমসহ চক্রটি।
অপহরণের ৬ দিনের মাথায় গত বুধবার রাতে অভিযান চালিয়ে সাভারের আমিন বাজার থেকে কথিত প্রেমিকাসহ অপহরণ চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে র্যাব। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টায় কারওয়ান বাজারে র্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাব-৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির। তিনি বলেন, অপহরণের পর ৬ দিন আটকে রেখে রায়হানকে শারীরিক নির্যাতনের পর এক লাখ টাকা মুক্তিপণ পেয়েও বাকি টাকার জন্য হত্যার হুমকি দিতে থাকে অপহরণকারীরা।
গ্রেফতার অপহরণ চক্রের সদস্যরা হলোÑ কথিত প্রেমিকা কাজল বেগম (২৬), আজিজুল হাকিম (৪০), লিটন মোল্লা (২৬), নজরুল ইসলাম বাবু (৪২) ও নুরু মিয়া মোল্লা (৬২)। এর মধ্যে নুরু মিয়া ও কাজল বেগম বাবা-মেয়ে পরিচয়ে বাসা ভাড়া নিত এবং সে বাসাতেই অপহৃতকে এনে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবি করতো।
চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির বলেন, রাজধানীর কলাবাগান থেকে গত ১২ এপ্রিল রাত সোয়া ১১টার দিকে অপহরহণকারীরা রায়হানকে অপহরণ করে সাভারের আমিন বাজারে নিয়ে আটকে রাখে। ৬ দিন ধরে তাকে নির্যাতনের পর পরিবারের কাছে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয়। রায়হানের মোবাইল থেকে তার বাবা ও বোনের নম্বর সংগ্রহ করে ৫ লাখ টাকায় দফা রফা করে অপহরণকারীরা।
তিনি আরও বলেন, রায়হানের পরিবারের সঙ্গে অপহরণ চক্রের গাড়ি চালক বাহার যোগাযোগ করে মিরপুরের ষাট ফিট ভাঙা ব্রিজের কাছে দেখা করতে বলে। সেখানে সিগারেটের বক্সের ভেতরে করে এক লাখ টাকা নেয় বাহার। বাকি ৪ লাখ টাকার জন্য কল করে রায়হানকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় চক্রটি। পরবর্তীতে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বুধবার রাতে সাভারের আমিন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে চক্রের পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপহরণকারীরা জানায়, তারা ১০ বছর ধরে ব্যবসায়ী, পেশাজীবী ও চাকরিজীবী এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের টার্গেট করে মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন ও কৌশলে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। সাধারণত লোকলজ্জার ভয়ে এবং মান-সম্মানের কথা চিন্তা করে প্রতারণার শিকার ব্যক্তিরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে এসব বিষয়ে জানাতে দ্বিধাবোধ করতেন।
র্যাব জানায়, গ্রেফতার নুরু মিয়া ও কাজল বেগম বাবা-মেয়ে পরিচয়ে বাসা ভাড়া নেয়। ভাড়া বাসাতেই তারা অপহরণ করে নিয়ে এসে নির্যাতন ও মুক্তিপণ দাবি করতো। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী টের পাওয়ার ভয়ে এক মাস কিংবা দুই মাস পর পর তারা বাসা পরিবর্তন করতো। তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।