পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রাজধানীর স্কয়ার হাসপাতালের ভূল চিকিৎসার কারণে পঙ্গু হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করেছেন ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের মেহেদী হাসান শামীম নামে এক শিক্ষার্থী। এতে ঐ শিক্ষার্থীর বাম হাত সম্পূর্ণ অকেজো হয়ে গেছে এবং বাম পায়ের কারণে খোঁড়াতে হচ্ছে। তিনি বিশ^বিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলীম হলের আবাসিক শিক্ষার্থী। তার অভিযোগ, বাববার জিঙ্গেস করা স্বত্তে¡ও অপারেশনের পসিবল রিস্ক ও পোস্ট অপারেটিভ সিম্পটম সম্পর্কে না জানিয়ে বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে তার অপারেশন করানো এ অবস্থার জন্য দায়ী। গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। পরবর্তীতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অপারেশন সিডি চাইলে তা দিতে টালবাহানা ও দূর্ব্যবহার এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তার মৃত্যু না হয়ে পঙ্গু হাত নিয়ে বেঁচে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে বলেন বলে অভিযোগ তার।
শিক্ষার্থীর ভাষ্যমতে, রক্তনালীর ব্রেন টিউমার (ইনসুলার ক্যাভারনোমা) হওয়ায় ২০১৮ সালের ১৪ অক্টোবর স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। তার চিকিৎসা করেন ডা. কৃষ্ণা প্রভূ। ডা. কৃষ্ণা প্রভূ শিক্ষার্থীকে দ্রæত অপরেশন করতে বলেন এবং না করলে স্ট্রোক করে যে কোন সময় মারা যেতে পারেন বলে জানান। এবং তার আন্ডারে অপারেশন করালে তিনি সহজেই এই অপরেশন করে দিবেন। ২০১৯ সালের ২৩ জানুয়ারি ডাক্তারের পরামার্শে তিনি অপারেশন করান। যখন তিনি আইসিইউতে ছিলেন তখন তার এটেন্ডেন্টকেও (ছোট ভাই) তার শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে জানানো হয়নি। তিনি বলেন, ২৫ জানুয়ারি যখন তিনি ওয়াশরুমে যেতে চেয়েছিলেন তখন ডিউটি ডাক্তার তার ভাইকে জানায় তার বাম পাশ আর কাজ করছে না।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ, অপারেশনের আগে ডাক্তারকে বারবার পসিবল রিস্ক এবং পোস্ট অপারেটিভ সিম্পটম সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলেও উনি সব কিছু সচেতনভাবে এড়িয়ে যান। পরবর্তীতে তিনি উন্নত চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে তার অপারেশনের সিডি চাইলে ডাক্তার এবং হাসপাতাল কৃর্তপক্ষ টালবাহনা শুরু করে এবং সংশ্লিষ্ট ডাক্তার ও তার সহযোগীরা তার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে। এতে অপারেশনে ডাক্তারের ভূল ছিল এবং স্কয়ার হাসপাতালের ভূল চিকিৎসার শিকার বলে সন্দেহ হয় তার।
ভূক্তোভূগী শামীম বলেন, গত ১ এপ্রিল স্কয়ার হাসপাতালের সিইও ইউসুফ সিদ্দিকীর কাছে অপারেশনের সিডির জন্য গেলে তিনি গোজামিল হিসাব দেন। এরপর তিনি গত ৭ তারিখ স্কয়ার হাসপাতালের সিইও বরাবর তার অপারেশনের সিডি ও পেশেন্ট ফাইল চেয়ে লিখিত আবেদন করেন। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার আবেদন গ্রহণ করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে তিনি ডা. কৃষ্ণা প্রভুর সঙ্গে ১৫ এপ্রিল সাক্ষাৎ করলে তিনি অপারেশনের সময় তার মস্তিষ্কের কয়েকটি নার্ভ কাটা যায় বলে জানান। এবং উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে থাইল্যান্ড বা সিঙ্গাপুর যাওয়ার পরামার্শ দেন। সাক্ষাতে শামীম তার অপরেশনের রিস্কের বিষয়ে কেন জানানো হয়নি সে ব্যাপারে জিঙ্গেস করলে তার উত্তরে ডা. কৃষ্ণা প্রভু বলেন, তার কারণেই তিনি (শামীম) পঙ্গু হলেও বেঁচে আছে। অন্যকেউ অপারেশন করলে সেটাও হতো না। তিনি পঙ্গু হাত নিয়ে বেঁচে থেকে সন্তুষ্ট থাকতে বলেন।
শিক্ষার্থীর অভিযোগ, স্কয়ার হাসপাতালের অবহেলা, স্বেচ্ছাচারিতা ও অর্থ লালসার জন্য তার পঙ্গুত্ববরণ করে নিতে হচ্ছে। স্কয়ারের ব্যবসায়িক স্বার্থ হাসিল করাই ছিল ডাক্তারের মূখ্য উদ্দেশ্য। তার পক্ষে এখন কোনভাবেই দেশের বাইরে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা করানো সম্ভব নয়। তিনি এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে ঢাকা বিশ^বিদ্যালয় প্রশাসন, ডাকসু ও সংশ্লিষ্ট সবার সহযোগিতা চান। এদিকে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে হাসপাতালের চিফ এডমিনিস্ট্রেটি অফিসার ইউসুফ সিদ্দিককে তার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি পরে জানাবেন বলে জানান। ডা. কৃষ্ণা প্রভুকে মোবাইলে কল দেয়া হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে মোবাইলে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান। কিছুক্ষণ পর আবার ফোন দেয়া হলে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।