প্রাক্তন প্রেমিকের নির্যাতনের শিকার অভিনেত্রী
মালায়ালাম সিনেমার অভিনেত্রী আনিকা বিক্রমন। প্রাক্তন প্রেমিক অনুপ পিল্লাই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেছেন বলে অভিযোগ
ফেরদৌসের পর গাজি নূর। তৃণমূল কংগ্রেসের হয়ে প্রচার করায় এবার ভারতীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের কোপে বাংলাদেশী অভিনেতা গাজি আবদুল নূর। জনপ্রিয় বাংলা ধারাবাহিক ‘করুণাময়ী রাণী রাসমণি’ রাজচন্দ্রকে অবিলম্বে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এছাড়া তাঁর ভিসার মেয়াদ ইতোমধ্যে শেষ হয়ে গিয়েছে।
দমদম লোকসভা কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী অধ্যাপক সৌগত রায়ের হয়ে নির্বাচনী প্রচারে অংশ নিয়েছিলেন নূর ওরফে রাজচন্দ্র। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা মদন মিত্রের সঙ্গে একটি প্রচার সভাতেও দেখা গিয়েছে নূরকে। রাজ্য বিজেপি এবিষয়ে সরব হয় এবং নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ জানায়। এরপরই বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের এই নির্দেশ সামনে এল।
উল্লেখ্য, এর আগে রায়গঞ্জের তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী কানহাইয়া লাল আগরওয়ালের হয়ে প্রচারে অংশ নিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোপের মুখে পড়েছেন বাংলাদেশের ফেরদৌস। আশঙ্কা ছিল নূরের ক্ষেত্রেও। মদন মিত্রের সঙ্গে হুডখোলা গাড়িতে সৌগত রায়ের হয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন অভিনেতা।
তবে সূত্রের খবর, মদন মিত্রের সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্কের জেরেই প্রচারে গিয়েছিলেন তিনি। ফেরদৌসের ঘটনার পর নিজের জন্য উদ্বিগ্ন ছিলেন অভিনেতা। অবশেষে আশঙ্কা সত্যি হল। তাঁর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
রাণী রাসমণি ধারাবাহিকের সৌজন্যেই জনপ্রিয় হয়েছিলেন তিনি। বিগত দু’বছর ধরে অনস্ক্রিন মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। ধারাবাহিকে তাঁর জনপ্রিয়তা এতটাই ছিল যে, রাজচন্দ্রের প্রস্থানের পর দর্শক আবারও ফিরিয়ে আনার অনুরোধ করেছিলেন। এমতবস্থায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এই সিন্ধান্ত সরাসরি নূরের অভিনয় জীবনে প্রভাব ফেলতে পারে বলেই মত টলিপাড়ার একাংশের।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।