পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সরকারের মেয়াদের প্রথম ১০০ দিনে ৫৮ মন্ত্রণালয় ও বিভাগের মধ্যে যে কয়টি মন্ত্রণালয়ে কাজের গতি বেড়েছে ভূমি মন্ত্রণালয় তার অন্যতম। এই স্বল্প সময়ে স্বল্প মেয়াদী, মধ্যমেয়াদী ও দীর্ঘমেয়াদী কিছু কর্মসূচি গ্রহণ করায় মানুষ সুফল পেতেও শুরু করেছে। জমির ই-মিউটেশন কার্যক্রম যুগান্তকারী পদক্ষেপ। এছাড়াও ভূমি অফিসকে দুর্নীতি মুক্ত করতে নিয়মিত মনিটরিং করা হচ্ছে। ভূমি অফিস দালাল মুক্ত, ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে নামজারী, জমাভাগ ও জমা একত্রীকরণ এবং রেকর্ড সংশোধন, সরকারি খাস জমি ও অকৃষি জমি ব্যবস্থাপনা, সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ সর্বোপরি ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু মন্ত্রণালয়ের গতি বৃদ্ধি করেছে। ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ভুমি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব গ্রহণের পর ২০টি পদক্ষেপ নিয়েছেন। এর মধ্যে মেয়াদের প্রথম দেড় বছর ‘স্বল্প মেয়াদী’, পরবর্তী দেড় বছর ‘মধ্যম মেয়াদী’ এবং শেষ দুই বছরকে ‘দীর্ঘ মেয়াদী’ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তার পুরো পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনার ডেলাইন ঘোষণা দিয়ে কাজ করছেন। এতে ভোগান্তি কিছুটা কমছে। ভুক্তোভোগীদের অভিমত এক সময়ের দুর্নীতির আখড়া ভূমি মন্ত্রণালয়ের সারাদেশের অফিসগুলোতে আগের চেয়ে কিছুটা হলেও দুর্নীতি নিম্নমুখি।
২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় অপ্রতিরোধ্য বাংলাদেশ’গড়তে ইশতেহারে উন্নয়ন-সমৃদ্ধির ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় করে সরকার। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ইশতেহারের মূল বিষয় ছিল তারুণ্য এবং গ্রামের উন্নয়ন। ইসতেহারে ২১ দফা অঙ্গীকার করে বাস্তবায়নের প্রতিশ্রুতি দেয়া হয়। নির্বাচনী ইশতেহারে একটি সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও আধুনিক বাংলাদেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে জাতির সামনে তারুণ্য এবং গ্রামের উন্নয়ন তুলে ধরা হয়।
সারাদেশের ভূমি অফিস দালাল মুক্ত করতে মাঠ পর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে নামজারী, জমাভাগ ও জমা একত্রীকরণ এবং রেকর্ড সংশোধন, সরকারি খাস জমি ও অকৃষি জমি ব্যবস্থাপনা, সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা পরিচালনা ও নিষ্পত্তি তথা সর্বোপরি ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করা, ভূমি মন্ত্রণালয় ও এর অধীন সংস্থার তৃতীয ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারীর ১৭ হাজার ৫৭৬ জন এর মধ্যে ১৭ হাজার ২০৮ জন সম্পদ বিবরণী নিয়েছেন। ৩৬৮ জন কর্মকর্তা-কর্মচারী বিভাগীয় মামলায় সাময়িক বরখাস্ত এবং দীর্ঘমেয়াদি ছুটিতে থাকায় সম্পদ বিবরণী নিতে পারেনি। সম্পদ বিবরণী যাচাইয়ের মধ্য দিয়ে ভূমি মন্ত্রণালয়ে শক্তভাবে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।
ভূমি সেবা গ্রহীতাগণের সুবিধার্থে অভিযোগ কেন্দ্র গঠনের জন্য হটলাইন। হাতের মুঠোয় খতিয়ান এই প্রতিপাদ্যকে সামনে নিয়ে দেশব্যাপী আর এস খতিয়ান অনলাইনে অবমুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু করেছেন। প্রায় ৩২ হাজার জরিপ-কৃত মৌজার ১ কোটি ৪৬ লক্ষ আর এস খতিয়ানের জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে দেশব্যাপী ই-মিউটেশন কার্যক্রম পুরোদমে চালু হচ্ছে। গত ১০ই এপ্রিল সারা দেশে ভূমি সপ্তাহ এবং ভূমি উন্নয়ন কর মেলা চালু করেছেন। এছাড়া ভূমি ব্যবস্থাপনা রিফ্রেশার্স কোর্সে’র বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারের ৩৩ এবং ৩৪ ব্যাচের ৩৫ জন এসিল্যান্ডদের প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। মন্ত্রণালয়ের সমন্বয় সভা ও দিক নির্দেশনায় বিভিন্ন কর্মকান্ডের স্থবিরতা কাটিয়ে গতিশীল অবস্থা সৃষ্টি করা। গতানুগতিক কাজের বাইরে এসে বিভিন্ন বিভাগের কাজকে মনিটর করা, অকারণে বা ক্ষুদ্র বিপত্তি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা কাজকে গতিশীল করে সম্পন্ন করা।
জলমহাল ইজারা প্রদান সংক্রান্ত কমিটির ৫৩ তম সভায়, ১৪২৬-১৪৩১ বাংলা সন মেয়াদে উন্নয়ন প্রকল্পে ইজারার জন্য চুয়াডাঙ্গায় ৪টি, রাজশাহীতে ১টি, ঝিনাইদহতে ৫টি, কিশোরগঞ্জে ১১টি, সুনামগঞ্জে ৩১টি, রংপুরে ২টি, জামালপুরে ৩টি, মেহেরপুরে ৩টি, খুলনাতে ৪টি এবং বরগুনাতে ১টি সহ মোট ৬৫টি জলমহাল ইজারা প্রদান করা হয়েছে।
ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী ইনকিলাবকে বলেন, আমি ফুল মন্ত্রী হওয়ার পরে ৯০ দিনের প্রাথমিক কর্মসূচী ঘোষণা করেছি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ-এতো দ্রুত সময়ে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ তার একটি প্রমাণ।সে টা আমি করেছি। এখন নিয়মিত মনিটরিং করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভূমি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করা। ভূমি অফিস দালাল মুক্ত করতে মাঠ পর্যায়ে ভূমি রাজস্ব প্রশাসনে নামজারী, জমাভাগ ও জমা একত্রীকরণ এবং রেকর্ড সংশোধন, সরকারি খাস জমি ও অকৃষি জমি ব্যবস্থাপনা, সায়রাত মহাল ব্যবস্থাপনা, অবৈধ দখলদার উচ্ছেদ, রেন্ট সার্টিফিকেট মামলা পরিচালনা ও নিষ্পত্তি তথা সর্বোপরি ডিজিটাল ভূমি ব্যবস্থাপনা চালু করেছি। তিনি বলেন, পুরো পাঁচ বছরের কর্মপরিকল্পনার ডেলাইন’ করেছি। প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ- এতো দ্রুত সময়ে কর্মচারীদের সম্পদের হিসাব গ্রহণ তার একটি প্রমাণ। সে টা আমি করেছি। এখন নিয়মিত মনিটরিং করার মাধ্যমে পর্যায়ক্রমে ভূমি অফিস দুর্নীতিমুক্ত করা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।