পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
টানা দরপতনের কবলে দেশের শেয়ারবাজার। দেখা দিয়েছে লেনদেনের খরা। আগের কার্যদিবসের ধারাবাহিকতায় গতকালও প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) সবকটি মূল্যসূচকের বড় পতন হয়েছে। নিঃস্ব হাবার দুশ্চিন্তা আর আস্থাহীনতায় এই দরপতনের প্রতিবাদে ডিএসইর সামনে গতকাল বিক্ষোভ করেছে সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে পুঁজিবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান খায়রুল হোসেনের পদত্যাগের দাবি করেছেন বিনিয়োগকারীরা। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স এক দিনেই ৬০ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট কমেছে। আর ২৬৯ কোটি ৯১ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় ২৭ কোটি টাকা কম। শেষ চার কার্যদিবসে লেনদেনের পরিমাণ তিন’শ কোটি টাকার ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। আর চট্টগ্রাম স্টক একচেঞ্জের সার্বিক সূচক সিএএসপিআই হারিয়েছে ১৮৭ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট। হাতবদল হয়েছে ১১ কোটি ৫৫ লাখ টাকার শেয়ার, যা আগের দিনের চেয়ে প্রায় আড়াই কোটি টাকা বেশি। দুই বাজারেই লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দরপতন হয়েছে। দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে ৫৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বাড়ার তালিকায় নাম লেখায়। বিপরীতে দাম কমেছে ২৫৩টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ৩২টির দাম। সিএসইতে লেনদেন হওয়া ২১৮টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৩৯টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৪৯টির। আর দাম অপরিবর্তিত রয়েছে ৩০টির। শেয়ারবাজারের এমন দূরবস্থার কারণে একটু একটু করে পুঁজি হারাচ্ছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। লেনদেন ও সূচকের এমন পতনের প্রতিবাদে দুপুরের দিকে ব্রোকারেজ হাউজ ছেড়ে ডিএসইর সামনে অবস্থান নেয় সাধারণ বিনিয়োগকারীরা। সেখানে বাংলাদেশ পুঁজিবাজার বিনিয়োগকারী ঐক্য পরিষদের ব্যানারে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।
ওই বিক্ষোভ ও মানববন্ধন থেকে সংগঠনটির সভাপতি মিজানুর রশীদ চৌধুরী বলেন, ঊর্ধ্বমুখী শেয়ারবাজারের জন্য এখন বিনিয়োগকারীদের আস্থা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। আর এই আস্থা ফিরে আসবে একমাত্র খায়রুল হোসেন পদত্যাগ করলে। যে পর্যন্ত শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান হিসেবে একজন নীতিবান বিনিয়োগবান্ধব মানুষ দায়িত্ব না নেবে, সে পর্যন্ত সাধারণ বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরবে না, তাদের নীরব কান্না শেষ হবে না।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।