Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

কুরুচিকর মন্তব্যের শিকার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

ভারতে চলমান লোকসভা নির্বাচনকে ঘিরে রাজনৈতিক মহলে বাকযুদ্ধ যখন তুঙ্গে তখন দেশটির উত্তরপ্রদেশের প্রাক্তন মন্ত্রী তথা সমাজবাদী পার্টির (এসপি) প্রভাবশালী নেতা আজম খানের বিরুদ্ধে আনা হয়েছে নারীদের বিরুদ্ধের ‘সম্ভ্রমহানি’র অভিযোগ। অভিনেত্রী ও বিজেপি প্রার্থী জয়া প্রদাকে নিয়ে অশালীন মন্তব্যের জেরে তার প্রার্থিতা বাতিলের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক ব্যক্তি ও দেশটির জাতীয় মহিলা কমিশন। খবর এনডিটিভি।
প্রতিবেদনে বলা হয়, রামপুর কেন্দ্রের প্রার্থী আজম খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেছে পুলিশ। রাজনৈতিক মহলের পর্যবেক্ষণ, নাম না করলেও এই বিতর্কিত মন্তব্য তার প্রতিদ্ব›দ্বী রামপুর কেন্দ্রেরই বিজেপি জয়াপ্রদাকে উদ্দেশ্য করেই বলেছিলেন। অন্য দিকে চাপে পড়ে এখন নানা সাফাই দিচ্ছেন আজম খান। বলছেন, তার টার্গেট জয়াপ্রদা নন, অন্য এক আরএসএস কর্মী। অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রার্থীপদ প্রত্যাহার করার কথাও বলেছেনএ
রোববার রামপুর এলাকায় একটি নির্বাচনী জনসভায় আজম খান বলেছিলেন, ‘আমি ওনাকে রামপুরে নিয়ে এসেছিলাম। আপনারা সাক্ষী আছেন, আমি কাউকে ছুঁতে পর্যন্ত দিইনি। আপনাদের তার প্রকৃত রূপ চিনতে ১৭ বছর লেগে গেল। কিন্তু আমি ১৭ দিনেই বুঝে গিয়েছিলাম, উনি খাকি অন্তর্বাস পরেন।’
রামপুরের বিজেপি প্রার্থী অভিনেত্রী জয়াপ্রদাকে লক্ষ্য করেই এই কুরুচিকর মন্তব্য করেছেন আজম খান। আর তার পর থেকেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়। নিন্দা ও সমালোচনার ঝড় ওঠে নানা মহলে। তার পরই সোমবার সকালে আজম খানের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে পুলিশ।
জয়াপ্রদা টুইটারে তার মন্তব্যে বলেন, ‘আমার কাছে এটা নতুন নয়। আপনারা জানেন, আমি ২০০৯ সালে ওর দলেরই প্রার্থী হয়েছিলাম। কিন্তু উনি যখন আমার বিরুদ্ধে মন্তব্য করেছিলেন, তখন কেউ আমার পাশে দাঁড়াননি।’ একই সঙ্গে তার টুইট, ‘ওকে ভোটে লড়তে দেয়াই উচিত নয়। কারণ, এই ব্যক্তি ভোটে জিতলে গণতন্ত্রের কী পরিণতি হবে? সমাজে মহিলাদের কোনও সম্ভ্রমই থাকবে না। আমরা তাহলে কোথায় যাব? আমি মরে গেলে আপনি খুশি হবেন?’
জয়াপ্রদাকে লক্ষ্য করে আজম খানের বিরুদ্ধে কুরুচিকর মন্তব্যের অভিযোগ অবশ্য নতুন নয়। বিজেপি জয়াপ্রদাকে প্রার্থী ঘোষণার পরই তাকে ‘নাচনেওয়ালি’ বলে কটাক্ষ করেছিলেন আজম। এ ছাড়া জয়াপ্রদার কুরুচিকর ছবি বানিয়ে সেগুলি ছড়ানোর অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি সেই বিষয়টি উল্লেখ করে একটি জনসভায় কেঁদেও ফেলেছিলেন জয়াপ্রদা। কিন্তু তার পরও থামেনি আজমের আক্রমণ।



 

Show all comments
  • Nurul Islam ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৪৩ এএম says : 0
    চোরকে চোর বলাটা দোষ নয় বরং সাধু বলাটাই দোষের।কারন এতে সাধারণ মানুষ ধোকা থেকে বেচে যাবে।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ