Inqilab Logo

শনিবার, ০৮ জুন ২০২৪, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আপিল বিভাগ বললেন উচ্ছেদে বাধা নেই

কর্ণফুলী তীরের অবৈধ স্থাপনা

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১৬ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর তীরে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের বিষয়ে হাইকোর্টের দেয়া আদেশের বিরুদ্ধে করা আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ। গতকাল সোমবার কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের দায়ের করা আবেদন খারিজ করে প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন বেঞ্চ এই আদেশ দেন। ফলে কর্ণফুলীর অবৈধ স্থাপনা অপসারণ করতে আর কোন বাধা নেই বলে জানিয়েছেন রিটকারী আইনজীবী। কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্সের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন ব্যারিস্টার ফজলে নুর তাপস ও এএম আমিন উদ্দিন। রিটের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ।
পরে মনজিল মোরসেদ বলেন, কর্ণফুলী নদীর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর পক্ষ থেকে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসন থেকে একটি জরিপ প্রতিবেদন দেয়। সেখানে প্রায় ২১শ অবৈধ স্থাপনা ছিল। এরপর ২০১৬ সালে একটি রায় হয় যেখানে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশ দেন আদালত। ওই রায়ের আলোকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে। এ সময় কর্ণফুলী শিপ বিল্ডার্স নামে একটি প্রতিষ্ঠান গত ৬ ফেব্রুয়ারি চেম্বার জজ আদালতে আবেদন করে স্থগিতাদেশ নিয়ে যায়। তাদের ওই আবেদনটি আপিল বিভাগে শুনানি হয়। আদালত শুনানি শেষে তাদের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন।
মনজিল মোরসেদ সাংবাদিকদের বলেন, আপিল শুনানির সময় তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, নদীর মধ্যে তাদের কোন অবৈধ জায়গা নেই। সুতরাং তাদের ভবন না ভাঙতে নির্দেশনা চান। তবে তার বিরোধীতা করে আমরা আদালতে বলেছি, জেলা প্রশাসনের সঙ্গে তাদের কোন ব্যক্তিগত সম্পর্ক নাই। জরিপে যতটুকু এসেছে ততটুকুই ভাঙ্গবে। তার বেশি ভাঙার কোন সুযোগও নাই। আদালত শুনানি শেষে তাদের আবেদনটি খারিজ করে করে দিয়েছেন। এদিকে কর্ণফূলী নদীর পাড়ে চট্টগ্রাম বন্দরের পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৩০ দিনের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে গত ৯ এপ্রিল নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও বন্দরের চেয়ারম্যানকে এ নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। নদীর তীরে অবৈধ দখল সংক্রান্ত খবর ২০১০ সালে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়। হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন। চূড়ান্ত শুনানি শেষে ২০১৬ সালে আদালত কর্ণফুলী নদীর তীরে থাকা দুই হাজার ১৮৭টি অবৈধ স্থাপনা সরানোর পাশাপাশি রায়ে ১১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়। এ রায়ের অনুলিপি বিবাদীদের কাছে পাঠানো হলেও সংশ্নিষ্টরা তা বাস্তবায়নে কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় রায় বাস্তবায়নের বিষয়ে গত বছর ২৫ জুন সংশ্লিষ্টদের লিগ্যাল নোটিশও পাঠানো হয়। কিন্তু বিবাদিদের কাছ থেকে কোনো জবাব নাম পেয়ে তাদের আদালত অবমাননার আবেদন করা হয়। সে আবেদনের শুনানি শেষে গত বছর ৩ জুলাই আদালত অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে কর্ণফুলী নদী রক্ষায় উচ্চ আদালতের নির্দেশনার বাস্তবায়ন না করায় চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনেরমেয়রসহ আটজনের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার রুল জারি করেন। এরপরই জেলা প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নদী

২৬ অক্টোবর, ২০২২

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ