মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যেন যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেওয়া না হয়, সে দাবি ক্রমেই জোরালো হচ্ছে। ইতোমধ্যেই অ্যাসাঞ্জকে যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ না করার আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাজ্যের বিরোধী দল লেবার পার্টি। দলটির নেতা জেরেমি করবিন থেকে শুরু করে ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়ান অ্যাবোট পর্যন্ত এ দাবিতে একাত্ম হয়েছেন। তাদের দাবি, মানবাধিকারের সুরক্ষার তাগিদে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে যেন কোনওভাবেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রত্যর্পণ না করা হয়। তবে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মে এখনও পর্যন্ত এই দাবি মেনে নেওয়ার কোনও ইঙ্গিত দেননি। উল্টো অ্যাসাঞ্জের গ্রেফতারকে স্বাগত জানিয়েছেন তিনি। লেবার পার্টির নেতা এবং যুক্তরাজ্যের ছায়া স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ডায়না অ্যাবোট বলেছেন, কম্পিউটার হ্যাকার গ্যারি ম্যাককিনোনের ক্ষেত্রে যেভাবে প্রত্যর্পণ রুখে দিয়েছিলেন টেরিজা মে, সেভাবেই যেন তিনি অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণও রুখে দেওয়া হয়। ২০১২ সালে মানবাধিকারের সুরক্ষার যুক্তিতে ম্যাককিনোনের প্রত্যর্পণে না করে দিয়েছিলেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী থেরেসা মে। অ্যাডওয়ার্ড স্নোডেনের দাবি, অ্যাসাঞ্জের প্রত্যর্পণ সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের সামিল। অপর এক খবরে বলা হয়, জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের হাতে তুলে দিতে আহ্বান জানিয়েছেন যদি সুইডেন অনুরোধ করে। ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের কাছে এমন আবেদন করেছেন কমপক্ষে ৭০ জন ব্রিটিশ এমপি। লিখিত ওই আবেদনের একটি কপি টুইটে পোস্ট করেছেন বিরোধী লেবার দলের স্টেলা ক্রেসি। এ খবর দিয়ে বিবিসি অনলাইন জানাচ্ছে, বৃহস্পতিবার ব্রিটেনে অবস্থিত ইকুয়েডরের দূতাবাস থেকে গ্রেপ্তার করা হয় অ্যাসাঞ্জকে। যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক হ্যাক করার অভিযোগ রয়েছে। তার প্রতিষ্ঠান মার্কিন সরকারের ক্লাসিফাইড বা গোপনীয় স্পর্শকাতর সব ডকুমেন্ট হ্যাক করে প্রকাশ করে দিয়েছিল। এ জন্য তাকে ফেরত চায় যুক্তরাষ্ট্র। অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে সুইডেনে এক নারীকে ধর্ষণের অভিযোগ আছে। ওই অভিযোগ অস্বীকার করে অ্যাসাঞ্জ দাবি করেছেন, তিনি স্কটহোম সফরের সময় দুজন নারীর সঙ্গে তাদের সম্মতিতে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছিলেন। অ্যাসাঞ্জ ব্রিটেনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অবস্থান করার কারণে তাকে আনুষ্ঠানিকভাবে নোটিশ দিতে পারে নি সুইডিশ প্রসিকিউশন। ফলে তারা ওই ধর্ষণ মামলার তদন্ত বাতিল করে ২০১৭ সালে। তবে তাকে গ্রেপ্তারের পর ওই দেশটির প্রসিকিউটররা বলেছেন, তারা নতুন করে ওই তদন্ত শুরু করবেন। এ অবস্থায় ব্রিটিশ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাজিদ জাভিদের কাছে কমপক্ষে ৭০ ব্রিটিশ এমপি চিঠি লিখেছেন। এতে স্বাক্ষরকারীদের বেশির ভাগই লেবার দলের। তাতে সাজিদ জাভিদের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে যৌন সহিংসতার শিকার ব্যক্তিদের পাশে দাঁড়াতে। তদন্ত যথাযথভাবে সম্পন্ন করার আহ্বান জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, আমরা শুরুতেই তাকে দোষী বলছি না। তবে বিশ্বাস করি যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া উচিত এবং অভিযোগটিতে সুবিচার দেয়া হয়েছে এটা দেখতে চাই আমরা। শুক্রবার সন্ধ্যায় বৃটেনের পররাষ্ট্র বিষয়ক ছায়ামন্ত্রী এমিলি থর্নবেরি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত পাঠানোর কোনো উদ্যোগ নেয়ার আগেই অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে পাঠিয়ে দেয়া উচিত। যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগের নিচে ধামাচাপা পড়ে যেতে পারে যৌন অপরাধের অভিযোগ। বিবিসি, দ্য টাইমস অব ইন্ডিয়া, আল-জাজিরা।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।