Inqilab Logo

মঙ্গলবার ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ২০ কার্তিক ১৪৩১, ০২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

দাউদকান্দিতে নৌকার প্রচারণায় বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা আহত ১০

প্রকাশের সময় : ২৪ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

কুমিল্লা উত্তর সংবাদদাতা
কুমিল্লার দাউদকান্দির সুন্দলপুর ইউনিয়নের গোয়ালী গ্রামে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী মাসুদ আলমের সমর্থকদের ওপর আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসলাম মিয়াজীর নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়েছে। এতে ১০ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনার পর থেকে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতি এলাকাবাসী চরম বিক্ষুব্ধ হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী অবিলম্বে আসলাম মিয়াজীকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে। এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোনো মুহূর্তে বড় ধরনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের আশঙ্কা করা হচ্ছে। জানা যায়, গত রোববার বিকেলে ইউনিয়ন আ.লীগের সেক্রেটারি অলীউল্লাহ অলী মেম্বার, ছাত্রলীগ সভাপতি মাহাবুব, যুবলীগ নেতা শরীফ ও মুরছালিনের নেতৃত্বে নৌকার মার্কার প্রচার-প্রচারণা চালাতে গেলে আ.লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী আসলাম মিয়াজীর নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসী আসলাম অনবরত ফাঁকাগুলি ছুড়ে এলাকায় আতঙ্ক সৃষ্টি করে। গুলির আওয়াজে পুরো এলাকার প্রকম্পিত হয়ে উঠে। এসময় দিকবিদিক ছোটাছুটি করতে থাকে। পরে সন্ত্রাসীরা রামদা দিয়ে কুপিয়ে অলীউল্লাহ অলী মেম্বার, মাহাবুব, শরীফ ও মুরছালিনসহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১০ নেতাকর্মীকে গুরুতর আহত করে। তাদের স্থানীয় গৌরীপুর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে অলিউল্লাহকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। এদিকে, আসলাম মিয়াজীকে গ্রেফতারের দাবিতে আ.লীগ ও অঙ্গদলগুলোর নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এ সময় নেতৃবৃন্দ সন্ত্রাসী আসলাম মিয়াজীকে গ্রেফতার করে তার অবৈধ অস্ত্র ভা-ার উদ্ধারের দাবি জানান। আ.লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, সন্ত্রাসী আসলাম প্রকাশ্যে রামদা ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে এলাকার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে এবং নৌকার মার্কার প্রার্থী এলাকার গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব মাসুদ আলমকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে বেড়াচ্ছে। ফলে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে।
বিদ্রোহী প্রার্থীর হাত-পা কেঁটে দিলে ৪ লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণার ভিডিও নিয়ে তোলপাড়
কুমিল্লার মেঘনা উপজেলা যুবলীগের সভাপতি এবং রাধানগর ইউনিয়নের বিদ্রোহী প্রার্থী স্বতন্ত্র (আনারস) মুজিবুর রহমানের দুটি হাত ও দুটি পা কেটে এনে দিতে পারলে তাকে ৪ লাখ টাকা পুরস্কারের ঘোষণা দিয়েছে প্রতিপক্ষ নৌকা মার্কা প্রার্থী আব্দুল বাতেনের দুই সহোদর এরশাদ ও নওশাদ। এছাড়াও মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে তার লাশ এনে দিলে আরোও বড় ধরনের পুরস্কার দেয়ার ঘোষণা দিয়ে ওই দুই সহোদর। গত ১৯ মে ইউনিয়নের মুগারচর গ্রামে এলাকার দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী এরশাদ ও নওশাদের নেতৃত্বে শতাধিক সশস্ত্র সন্ত্রাসী গরু জবাই করে ভুরিভোজনের পর এক সভার মাধ্যমে এ ঘোষণা দেয়। এর ঘণ্টাখানেক পর এই ঘোষণার ভিডিওচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। তোলপাড়ের সৃষ্টি হয় পুরো মেঘনা আ.লীগ নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের ভোটারের মাঝে। এদিকে বিদ্রোহী প্রার্থী মুজিবুর রহমান এ ভিডিও চিত্র মেঘনার উপজেলা নির্বাচন অফিসার ও মেঘনা থানা ওসিকে দেখিয়ে অবহিত করেছেন। তারা বিষয়টিকে গুরুত্বের সাথে দেখেন এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন ওই বিদ্রোহী প্রার্থীকে। এদিকে এ ঘটনায় এলাকার বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মী ও নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ অবিলম্বে সন্ত্রাসী এরশাদ ও নওশাদকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: দাউদকান্দিতে নৌকার প্রচারণায় বিদ্রোহী প্রার্থীর নেতৃত্বে হামলা আহত ১০
আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ