Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

স্বস্তি নেই নিত্যপণ্যে

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

রাজধানীর কাঁচাবাজারে দু-একটি সবজির দাম কিছুটা কমলেও প্রায় সব ধরনের সবজির দাম বেশ চড়া। হঠাৎ করেই বেড়েছে বেশ কিছুদিন তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হওয়া পাকা টমেটো, কাঁচা পেঁপে ও শসার দাম। টানা দুই সপ্তাহ বেড়ে এ তিনটি পণ্যের দাম প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। ফলে স্বস্তি পাচ্ছেন না ক্রেতারা।
গতকাল শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, মালিবাগ হাজীপাড়া, খিলগাঁও রামপুরা, শান্তিনগর, এলাকার বিভিন্ন বাজার সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। এদিকে সবজির পাশাপাশি দুই মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে মুরগি, গরু ও খাসির গোশত।
কাঁচা পেঁপে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। পাকা টমেটো মানভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি, যা গত সপ্তাহে ছিল ৩০-৪০ টাকা। আর দুই সপ্তাহ আগে ২০-২৫ টাকা কেজিতে বিক্রি হওয়া শসার দাম বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫০-৭০ টাকা।
ব্যবসায়ীদের দাবি, প্রতিবছরই রোজার সময় পেঁপে, শসা ও পাকা টমেটোর দাম বাড়ে। কারণ রোজার সময় পণ্যগুলোর চাহিদা অন্য সময়ের তুলনায় অনেক বেশি থাকে। ক্রেতাদের দাবি, রোজা আসতে এখনও প্রায় একমাস সময় বাকি। অথচ এখনই রোজায় যেসব পণ্যের চাহিদা থাকে সেগুলোর দাম বেড়ে গেছে। আসলে বাজারে কার্যকরি মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় ব্যবসায়ীরা এভাবে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। এজন্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ জনগণের। ব্যবসায়ীরা পরিকল্পিতভাবে এ দাম বাড়াচ্ছেও বলেও তাদের অভিযোগ।
এদিকে দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে ব্যাপক চড়া দামে বিক্রি হওয়া পটল ও সজনে ডাটার দাম কিছুটা কমেছে। বাজার ভেদে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ৬০-৮০ টাকা কেজি। আর সজনে ডাটা পাওয়া যাচ্ছে ৬০-৭০ টাকা কেজির মধ্যে, যা গত সপ্তাহে ছিল ৮০-১০০ টাকা।
চড়া দামের পটল ও সজনে ডাটার দাম কিছুটা কমলেও অপরিবর্তিত রয়েছে বরবটি, কচুর লতি, শিম, লাউ, ধুন্দুল ও বেগুনের দাম। বরবটি গত সপ্তাহের মতো ৭০-৮০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। একই দামে বিক্রি হচ্ছে ঢেঁড়স, কচুর লতি ও করলা।
শিম বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা কেজি। লাউ ৭০-৮০ টাকা, ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা পিস। আর ধুন্দুল বিক্রি হচ্ছে ৭০-৮০ টাকা কেজি। বেগুন বিক্রি হচ্ছে ৪০-৬০ টাকা। মুলা বিক্রি হচ্ছে ৪০-৫০ টাকা কেজি। সপ্তাহের ব্যবধানে দাম অপরিবর্তিত থাকা গাজর বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকা কেজি।
অপরদিকে, ব্রয়লার মুরগির কেজি আগের সপ্তাহের মতো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৭৫ টাকা। লাল লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ থেকে ২২০ টাকা কেজি। আর পাকিস্তানি কক বিক্রি হচ্ছে ২৭০-২৮০ টাকা কেজি। মুরগির মত দাম অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির গোশতের দাম। বাজার ভেদে গরুর মাংস ৫৩০-৫৬০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭৫০-৮৫০ টাকা কেজি।
মাংসের মতো সপ্তাহের ব্যবধানে অপরিবর্তিত রয়েছে মাছের দাম। তেলাপিয়া মাছ বিক্রি হচ্ছে ১৬০-১৮০ টাকা কেজি। পাঙাশ বিক্রি হচ্ছে ১৫০-১৮০ টাকা কেজি। রুই ৩৫০-৬০০, পাবদা ৬০০-৭০০, টেংরা ৭০০-৮০০, শিং ৩০০-৫০০ এবং চিতল মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫০০-৮০০ টাকা কেজি।
চড়া দামের বাজারে বেশ কিছুদিন ধরে ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে পেঁয়াজ ও কাঁচা মরিচ। বাজার ভেদে দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৫-৩০ টাকা কেজি। আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ আগের মতই ২০-২৫ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: নিত্যপণ্যে

২৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ