মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
কৃষ্ণগহ্বরের প্রথম ছবি লেন্সবন্দি করার পিছনে অসামান্য অবদান রেখেছেন ২৯ বছর বয়সি কম্পিউটার বিজ্ঞানী কেটি বাউম্যান। সারা বিশ্বেই প্রসংশিত হচ্ছেন তিনি। এর মধ্যেই বৃহষ্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ার তার শেয়ার করা একটি ছবি ভাইরাল হয়ে গিয়েছে। ছবিতে দেখা যায়, সামনে খোলা ল্যাপটপ। তাতে আপলোড করা হচ্ছে কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি। তার সামনে চোখেমুখে বিস্ময় আর সাফল্যের উচ্ছ্বাস নিয়ে বসে আছেন কেটি। ফেসবুকে পোস্ট করা এই ছবিতে তিনি লিখেছেন, ‘বিশ্বাস হচ্ছে না, কৃষ্ণ গহ্বরের যে ছবি প্রকাশ করা হচ্ছে, সেটা আমার সৃষ্টি।’
কেটির ছবি পোস্ট হতেই সাড়া পড়ে গিয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়গুলোতে। টুইটারে নিউইয়র্কের ডেমোক্র্যাট নেত্রী আলেকজান্দ্রিয়া ওকাশিয়ো-কর্টেজ লিখেছেন, ‘ইতিহাসে নিজের জায়গা করে নিলেন মিস বাউম্যান।’ আরও লিখেছেন, ‘বিজ্ঞান ও মানবসভ্যতায় আপনার অবদানের জন্য ধন্যবাদ এবং শুভেচ্ছা। #উইমেনইনস্টেম!’ ইংরাজিতে সায়েন্স, টেকনোলজি, ইঞ্জিনিয়ারিং ও ম্যাথেমেটিকস-এর আদ্যোক্ষর নিয়ে ‘স্টেম’। কেটিকে শুভেচ্ছা জানিয়েছে এমআইটি এবং স্মিদসোনিয়ানও। সোশ্যাল মিডিয়ায় তারা লিখেছে, ‘তিন বছর আগে এমআইটি স্নাতকের ছাত্রী কেটি নতুন অ্যালগরিদম তৈরিতে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। কৃষ্ণ গহ্বরের প্রথম ছবি তৈরিতে সেটিই সাফল্য এনে দিয়েছে।’
কেটি অবশ্য সমস্ত কৃতিত্ব নিতে রাজি নন। সংবাদ সংস্থাকে বলেন, ‘কারও একার পক্ষে এ কাজ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন শিক্ষাক্ষেত্রের একাধিক মানুষের চেষ্টায় এই সাফল্য মিলেছে।’
বর্তমানে ক্যালিফর্নিয়া ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি’র কম্পিউটিং অ্যান্ড ম্যাথেমেটিক্যাল সায়েন্স-এর অ্যাসিস্ট্যান্ট প্রফেসর কেটি। তিন বছর আগে ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি (এমআইটি) থেকে স্নাতকের পড়াশোনা করার সময়েই এ নিয়ে অ্যালগরিদম শুরু করেন কেটি। পরে এমআইটি’র কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড আর্টিফিসিয়াল ইনটেলিজেন্স ল্যাবরেটরি, হার্ভার্ড-স্মিদসোনিয়ান সেন্টার ফর অ্যাস্ট্রোফিজিক্স এবং এমআইটি হেস্ট্যাক অবজারভেটরির কিছু বিজ্ঞানী মিলে একটি দল গঠন করে। কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি-শিকারি সেই দলটির নেতৃত্ব দিয়েছেন কেটি।
অ্যান্টার্টিকা থেকে চিলি, পৃথিবীর আটটি প্রান্তে আটটি রেডিও টেলিস্কোপ বসানো হয়েছিল। টেলিস্কোপের তথ্যগুলিকে কয়েকশো হার্ড ড্রাইভে জমানো হয়। সেগুলো পাঠানো হয় আমেরিকার বস্টন এবং জার্মানির বনে। এর পরে ওই তথ্যগুলি অ্যালগরিদমের সাহায্যে বিশ্লেষণ করে পাওয়া যায় কৃষ্ণ গহ্বরের ছবি। কেটি ও তার দলবল অ্যালগরিদমের ওই সিরিজটি তৈরি করেছেন, যা টেলিস্কোপের তথ্যগুলি থেকে ঐতিহাসিক ছবিটির জন্ম দিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।