Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

কারফিউ ভেঙে সুদানে বিক্ষোভ বেসামরিক সরকারের দাবি

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

সুদানে নতুন সামরিক পরিষদের দেয়া সান্ধ্য আইন (কারফিউ) অমান্য করে রাজধানী খার্তৃমের সড়কগুলোতে বিপুল সংখ্যক আন্দোলনকারী অবস্থান করছেন। তারা বলছেন, সামরিক সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলেও এটা আগের শাসনেরই ধারাবাহিকতা মাত্র। তাই নতুন করে বেসামরিক সরকারের দাবি তুলেছেন তারা। বিবিসির খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার প্রেসিডেন্ট ওমর আল বশিরকে সরিয়ে ক্ষমতা দখলের ঘোষণা দেয় সেনাবাহিনী। ক্ষমতাচ্যুত প্রেসিডেন্টের অনুগত প্রতিরক্ষামন্ত্রী আওয়াদ ইবনে আওফ সামরিক সরকারের নেতৃত্বে রয়েছেন। তিনি আগামী দুই বছরের মধ্যে নির্বাচনের মাধ্যমে বেসামরিক সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেন। সুদানে দীর্ঘ দিন ধরেই প্রেসিডেন্ট বিরোধী আন্দোলন চলছিল। কিন্তু প্রেসিডেন্টকে উৎখাত করে তারই অনুগত প্রতিরক্ষামন্ত্রী সামরিক সরকারের প্রধানের পদে বসায় আন্দোলনকারীরা নতুন সরকারের প্রতি আস্থা রাখতে পারছে না। খবরে বলা হয়, খার্তুমের সড়কগুলোতে কয়েক মাসের লাগাতার প্রতিবাদের পর বশিরকে ‘ক্ষমতা থেকে সরানো’র ঘোষণা আসে। সেনাবাহিনীকে বশির শাসনামলেরই অংশ অ্যাখ্যা দিয়ে আন্দোলনকারীরা রাস্তা ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছে বলে খবর বিবিসির। দুই পক্ষের এ মুখোমুখি অবস্থান দেশটিতে আরও সংঘাত উসকে দিতে পারে; নিরাপত্তা বাহিনীর বিভিন্ন অংশ এবং আধাসামরিক বাহিনী একে অপরের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতে পারে বলেও আশঙ্কা অনেকের। জাতিসংঘ ও আফ্রিকান ইউনিয়ন সুদানের সব পক্ষকেই শান্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসি বলছে, বৃহস্পতিবার ৭৫ বছর বয়সী বশিরকে গ্রেপ্তারের খবরে সড়কজুড়ে উল্লাস শুরু হলেও তা বেশিক্ষণ স্থায়ী হয়নি। সামরিক পরিষদের ক্ষমতা গ্রহণের ঘোষণায় ওই আনন্দ মিইয়ে যায়। আন্দোলনকারীরা পরে সামরিক বাহিনীর সদরদপ্তরের বাইরে অবস্থানের কর্মসূচি দেয়। “এটা আগের শাসনেরই ধারাবাহিকতা। তাই আমাদের প্রয়োজন লড়াইয়ের ধারাবাহিকতা ধরে রাখা এবং শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানানো,” বলেছেন সুদানের প্রফেশনাল অ্যাসোসিয়েশনের সারা আবদেলআজিজ। রাষ্ট্র-পরিচালিত গণমাধ্যম পরে এক ঘোষণায় সুদানজুড়ে স্থানীয় সময় রাত ১০টা থেকে ভোর ৪টা পর্যন্ত সান্ধ্য আইন জারির কথা জানায়। “নাগরিকদের তাদের নিরাপত্তার জন্যই এ আইন মেনে চলতে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে এবং নাগরিকদের জানমাল রক্ষায় সশস্ত্র বাহিনী ও সামরিক পরিষদ তাদের দায়িত্ব পালন করবে,” ঘোষণায় এমনটাই বলা হয়। এরপরও খার্তুমের রাস্তা ছাড়েনি আন্দোলনকারীরা। তাদেরকে সুদানের পতাকা নেড়ে ‘পতন, ফের’ স্লোগান দিতে দেখা গেছে; বশিরের পতন চেয়ে এর আগে তারা ‘পতন, এটাই সব’ স্লোগান দিত। ১৯৮৯ সাল থেকে গত ৩০ বছর ধরে প্রেসিডেন্ট হিসেবে দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন বশির। অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি এবং তীব্র অর্থনৈতিক সংকটের কারণে কয়েক মাস ধরেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠছিল। তিন দশকের ক্ষমতার মেয়াদে প্রেসিডেন্ট বশির এবারই প্রথম বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছিলেন। বিবিসি, রয়টার্স।

 



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ