Inqilab Logo

রোববার, ০৯ জুন ২০২৪, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ০২ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আসামের দলিতরা চায় ন্যায়বিচার

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

দুপুর মাত্র গড়িয়েছে। কিন্তু এরই মধ্যে অন্ধকার হয়ে এসেছে শান্তিপারা হরিজন কলোনির গলিগুলো। ঘিঞ্জি গলিগুলোর দুইপাশে গায়ে গা লাগিয়ে দাঁড়ানো কোয়ার্টার বিল্ডিংগুলোতে আকাশের বিরাট একটা অংশই ঢাকা পড়ে গেছে। খোলা জায়গা যেটুকু আছে, সেখানে কাপড় শুকাচ্ছে। সব কাপড়ই প্রায় অতি ব্যবহারে বিবর্ণ। “আমাদের কলোনিতো দেখলেন। আমার মনে হয়, এটাই আমাদের সত্যিকারের অতীত আর বর্তমান, সম্ভবত ভবিষ্যতও”, রাজু রবিদাসের অন্তর থেকে বেরিয়ে আসলো কথাগুলো। “নির্বাচন আর মিথ্যা আশ্বাসের চক্রের মতো, আমাদের যন্ত্রণা আর দুর্দশারও কোন শেষ নেই”। বেদনার সাথে কথাগুলো বললেন ৫৫ বছর বয়সী এই দলিত। বহু প্রজন্ম আগে তার পূর্বপুরুষরা পাঞ্জাব থেকে এখানে এসেছিল। আসাম জুড়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে প্রায় ২২ লাখ দলিত। নির্বাচনে তাদের প্রায় কিছুই করার নেই। ‘হারানো উপজাতি’ সাফাই কর্মচারিদের ব্যাপারে রাজনৈতিক দলগুলো যে আগ্রহ হারিয়েছে, এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। বিশ্বের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক নির্বাচনের প্রচারণায় যেখানে চারপাশ সরগরম, সেখানে দলিত কলোনি প্রায় নিঃশব্দ পড়ে আছে। রাজুর প্রতিবেশী গুড্ডি দাস মন্তব্য করলেন, “এখানে সবাই এখন সিটিজেনশিপ (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল আর এনআরসি নিয়ে কথা বলছে। এগুলো হয়তো রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোটে জিততে সাহায্য করবে, কিন্তু এগুলো আমাদের ইস্যু নয়”। সাউথ এশিয়ান মনিটর।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ