বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
রাজধানীর মিরপুর এলাকার পানিবদ্ধতা নিরসনে আগামী দুই মাসের মধ্যে বাউনিয়া খালের সঙ্গে আরেকটি ড্রেন যুক্ত করার ঘোষণা দিয়ে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেছেন, খাল দখল করে বিল্ডিং গড়ে উঠেছে। ডিএনসিসির জায়গায় অবৈধ যা কিছুই থাকুক না কেন, তা ভেঙ্গে দেয়া হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার মিরপুরের কালশী এলাকার খাল পরিস্কার কার্যক্রম পরিদর্শনে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
গত মঙ্গলবারের কয়েক ঘণ্টার বৃষ্টিতে রাজধানীর মিরপুরের কালশী এলাকার অধিকাংশ রাস্তা তলিয়ে যায়। এর কারণ সরেজমিন দেখতে গতকাল বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন মেয়র। এসময় মেয়র সাংবাদিকদের বলেন, আমরা পরিষ্কার করা ছাড়া আর কিছুই করতে পারছি না। আমরা ওয়াসাকে বলেছি, ঢাকা জেলা প্রশাসনকে বলেছি, দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে খালের ওপর থেকে সব অবৈধ স্থাপনা ভেঙ্গে দিন। পরে আতিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের নিয়ে আবাসিক এলাকার সামনে থেকে খাল দেখে মদিনানগর এলাকা পর্যন্ত যান। সেখানে গিয়ে দেখা যায় ৩০ ফুট খালের মধ্যে মাত্র দুই থেকে তিন ফুট জায়গায় পানি চলাচল করতে পারছে। যা দিয়ে পুরো এলাকার পানি নেমে যেতে পারছে না।
আতিকুল ইসলাম বলেন, ওয়াসার খাল আমরা পরিষ্কার করছি। খালের ওপর গড়ে ওঠা বহুতল ভবনগুলো ভাঙতে না পারলে স্থায়ী সমাধান হবে না। পানিবদ্ধতার কারণে এখানকার জনগণ দুর্ভোগে আছে, সমস্যায় আছে। খাল দখলকারী কয়েকজনের জন্য এ এলাকার সব মানুষ কষ্ট পাচ্ছে। খালের ওপরে গড়ে তোলা বিল্ডিং প্রয়োজনে সবার সঙ্গে কথা বলে ভেঙ্গে দেয়া হবে।
মেয়র বলেন, এখানে বাইশটেকি ও বাউনিয়া খাল রয়েছে। বাইশটেকি খাল মদিনা নগরে গিয়ে ৩০ ফুটের জায়গায় দুই ফুট হয়ে গেছে। খালের ওপরে বহুতল ভবন গড়ে উঠেছে। আমরা যতটুক পারি আমাদের যন্ত্র দিয়ে খালের ময়লা পরিষ্কার করে দেব। ডিএনসিসির অধীনে অবৈধ যা কিছু থাকবে তা ভেঙ্গে দেব। আগামী দুই মাসের মধ্যে বাইশটেকি খালের সঙ্গে পূর্ব দিক দিয়ে আরেকটি ড্রেন নিয়ে দক্ষিণে বাউনিয়াতে সংযুক্ত করে দেয়া হবে।
কালশী এলাকার বাড়ির মালিকদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন, আপনারা কীভাবে খালটিকে ডাস্টবিন হিসেবে ব্যবহার করছেন? কীভাবে আপনার খালপাড়ে বাড়ি করেন? আপনারা আমাদের দোষ দিচ্ছেন। এসব দখলদারীদের বিরুদ্ধে জনগণকে অবশ্যই সচেতন হতে হবে।
এ সময় ডিএনসিসির প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ যুবায়ের সালেহীন, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপক কমডোর আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী সৈয়দ কুদরত উল্লাহ, পাঁচ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আব্দুর রউফ নান্নু প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।