বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
পাবনা সদর উপজেলাধীন টেবুনিয়া ওয়াছিম পাঠশালার নবম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছেন স্কুলের শরীরচর্চা শিক্ষক জবিহুল¬াহ। বুধবার (১০ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটলেও প্রধান শিক্ষক ও সংশি¬ষ্ট শিক্ষক এই ঘটনাটি তড়িঘড়ি করে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করতে গিয়েও ব্যর্থ হন। ঘটানটি জানাজানি হয়ে পড়ে।
আহত নবম শ্রেণির ছাত্রী পাপিয়া খাতুন অনন্যা (১৩) সদর উপজেলার মালিগাছা ইউনিয়নের রাণীগ্রাম পূর্বপাড়া গ্রামের শফিকুল ইসলামের কন্যা। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষক জবিহুল¬াহ আহত ছাত্রীকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করেন। এ ঘটনার পর থেকে প্রতিষ্ঠানের অন্যান্য শিক্ষক, অভিভাবক, এলাকাবাসী ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছে।
আহত পাপিয়ার সহপাঠিরা নাম প্রকাশ না করে জানায়, ঘটনার সময় শ্রেণীকক্ষে ছাত্রীরা ‘দুষ্টুমি’ কেউ না থাকায় শিক্ষার্থীরা খেলা ও হৈচৈ করছিলো। এ সময় হঠাৎ ওই শিক্ষক হাতে থাকা লাঠি হাতে ক্লাসে আসেন এবং পাপিয়াসহ ৭/৮ জনকে এলোপাথারী ভাবে বেদম মারপিট করে। পাপিয়া জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে বিদ্যালয়েই পানি ঢেলে পাপিয়াকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু পাপিয়ার অবস্থার অবনতি হওয়ায় শরীরচর্চা শিক্ষক জবিহুল¬াহ পাপিয়াকে কোলে করে একটি সিএনজিতে তুলে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়।
আরেক শিক্ষার্থী জানান, শরীরচর্চা শিক্ষক খুব বদমেজাজী। সবসময় উত্তেজিত মেজাজে কথা বলেন। ঘটনার দিন তিনি পাপিয়াসহ কয়েকজনকে ক্লাসের মধ্যেই ‘গাছের ডাল’ দিয়ে পিটিয়েছেন। অবশ্য সদরের ইউএনও দাবী করছেন, শিক্ষার্থীকে গাছের ডাল দিয়ে পেটানো নয়, থাপ্পর মেরে শাসানো হয়েছে। পাপিয়ার পিতা শফিকুল ইসলাম বলেন, সরকারি ভাবে শিক্ষার্থীদের গায়ে হাত দেওয়া বা পেটানো নিষেধ রয়েছে, এমনটি জানি। কিন্তু একজন শিক্ষক ৯ম শ্রেণির ছাত্রীর গায়ে হাত তোলে কিভাবে? তিনি এই ঘটনার বিচার দাবী করেন। এ রিপোর্ট লেখা (১১ এপ্রিল) পর্যন্ত পাপিয়া চিকৎধীন রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।