বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
দ্বিতীয় দফায় ব্রেক্সিট কার্যকরের মেয়াদ বাড়ালো ইউরোপীয় ইউনিয়ন৷ জোট থেকে ব্রিটেন কীভাবে বেরিয়ে যাবে তা নির্ধারণে আরও ছয় মাস সময় পেয়েছে তারা৷
ব্রাসেলসে দীর্ঘ ৫ ঘণ্টার বৈঠকের পর ব্রেক্সিট কার্যকরে ব্রিটেনকে আরো ছয় মাস বাড়তি সময় দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের সদস্য দেশগুলোর নেতারা৷ ১২ এপ্রিলের পরিবর্তে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত মেয়াদ বাড়িয়েছেন তারা৷ এই সময়ের ভেতরেই ব্রিটেনকে তার রাজনৈতিক অচলাবস্থা ভেঙে একটি চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে৷ বেরিয়ে যাওয়ার পরে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী টেরিজা মেকে সংসদে চুক্তি পাস করাতে হবে৷ কোনো সিদ্ধান্ত না হলে আবারও চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের ঝুঁকিতে পড়তে হবে৷ এমনকি ব্রেক্সিট বাতিলের সুযোগও থাকবে ব্রিটেনের সামনে৷
প্রথম দফার বর্ধিত সময়সীমা অনুযায়ী এই শুক্রবার ইউরোপ থেকে ব্রিটেনের আনুষ্ঠানিক বিচ্ছেদ ঘটার কথা ছিল৷ কিন্তু পার্লামেন্টে কোনো চুক্তি পাস করাতে ব্যর্থ হয়ে ইইউর কাছে ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা বাড়ানোর আবেদন করেন টেরিজা মে৷ বুধবার ব্রাসেলসে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতেই জরুরি সম্মেলনে বসেন জোটভুক্ত ২৭ দেশের নেতারা৷ ৫ ঘণ্টা ধরে চলে আলোচনা, তর্ক-বিতর্ক৷ সময় বৃদ্ধির বিষয়ে সবাই একমত হলেও তা কতটা দীর্ঘ হবে তা নিয়েই বিরোধ তৈরি হয়৷ টেরিজা মে ১২ এপ্রিল থেকে সময়সীমা বাড়িয়ে ৩০ জুন করার আবেদন করেছিলেন৷ কিন্তু ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টুস্ক, জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা ম্যার্কেল থেকে শুরু করে বেশিরভাগ নেতাই এটি এক বছরের জন্য বৃদ্ধির পক্ষে ছিলেন৷ তারা চেয়েছিলেন কোনো ঝুঁকি ছাড়াই ব্রিটেন ধীরে সুস্থে তার সিদ্ধান্ত নিক৷ কিন্তু টেরিজা মেকে তা রাজনৈতিকভাবে কিছুটা বিপাকে ফেলে দিত৷ এমনকি ব্রেক্সিট না হওয়ার পক্ষে জনমতও বেড়ে যেতে পারে এ সময়ের মধ্যে৷ তাই তিনি চান দ্রুত বিচ্ছেদ কার্যকর করতে৷ মের মতো স্বল্প সময়ের জন্য মেয়াদ বৃদ্ধির পক্ষে ছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাখো৷ তার জোরাজুরিতেই শেষ পর্যন্ত নিজেদের অবস্থান থেকে সরে আসেন অন্যরা৷ দুই প্রস্তাবের মাঝামাঝি সময় ৩১ অক্টোবর ব্রেক্সিট কার্যকরের সময়সীমা নির্ধারণে সম্মত হন সবাই৷
সময় বাড়ানোর মাশুল হিসেবে টেরিজা মেকে অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের কিছু শর্তও মেনে নিতে হয়েছে৷ তিনি চেয়েছিলেন ইউরোপীয় সংসদের আসন্ন নির্বাচন এড়াতে৷ কিন্তু সেটি অনেকটাই কঠিন হয়ে পড়েছে৷ বুধবারের সম্মেলনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, ৩১ অক্টোবরের আগে যে-কোনো সময় ব্রেক্সিটকার্যকর করতে পারবে ব্রিটেন৷ সেক্ষেত্রে ইউরোপীয় পার্লামেন্টের নির্বাচনে তাদের অংশ নিতে হবে৷ তবে মে যদি নির্বাচন এড়াতে চান তাহলে ১ জুনের ভেতর তাকে ব্রেক্সিট কার্যকর করতে হবে৷ সেক্ষেত্রে এই সময়ের মধ্যে কোনো চুক্তি পাস করাতে না পারলে চুক্তিহীন ব্রেক্সিটের পথে হাঁটতে হবে ব্রিটেনকে৷ গত বছর মে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে ব্রেক্সিট নিয়ে যে চুক্তি করেছেন তাতে আর কোনো পরিবর্তন আনা হবে না বলেও সম্মেলন থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে৷
এদিকে ছয়মাসের জন্য মেয়াদ বাড়লেও ইইউ'র সাথে বিচ্ছেদ যত দ্রুত সম্ভব কার্যকর করতে চান মে৷ ব্রিটেনের পার্লামেন্টে এখনও কোনো চুক্তি পাস করতে না পারায় অনুশোচনাও প্রকাশ করেন তিনি৷ ‘আমি জানি সময় বৃদ্ধির আবেদন করায় অনেকেই হতাশ হয়েছেন,’ বলেন মে৷
ইইউর নির্বাচন এড়াতে আগামী মাসের প্রথম তিন সপ্তাহের মধ্যেই সংসদে ব্রেক্সিট চুক্তি পাস করাতে চান তিনি৷ সেক্ষেত্রে জুনের মধ্যেই ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যেতে চায় ব্রিটেন৷ বৃহস্পতিবার সম্মেলনের ফলাফল দেশটির সংসদকে অবহিত করার কথা মে’র৷ সূত্র: রয়টার্স, এএফপি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।