বিএনপির মানববন্ধন আজ, পাল্টা কর্মসূচি আওয়ামী লীগ
সারা দেশের মহানগর ও জেলা পর্যায়ে আজ মানববন্ধন করবে বিএনপি ও তার মিত্ররা। আর এ
অবশেষে বহুল আলোচিত ও চাঞ্চল্যকর নওগাঁর পত্নীতলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নজিপুর পৌরসভার সাবেক প্রথম মেয়র ইসহাক হোসেন (৭৫) হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন হয়েছে। এ হত্যার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত থাকার প্রধান খুনিকে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে মোবাইল নম্বর ট্যাকিংয়ের সূত্র ধরে আটক করেছেন থানা পুলিশ।
পত্নীতলা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) পরিমল কুমার চক্রবর্তী সাংবাদিকদের জানান, গত ০৪/১২/২০১৮ ইং রাত্রি সাড়ে ৯টার দিকে নিজ বাড়িতে খুন হয়েছিলেন উপজেলা সদর নজিপুর পৌর এলাকার মামুদপুর গ্রামের মৃত মুন্সি খয়রুল্লাহ পুত্র উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ইসহাক হোসেন (৭৫)।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে ঘটনার দিন রাতেই সন্দেহমূলক ভাবে নিহতের প্রতিবেশি ও নজিপুর পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ অরফে লিটু ফকিরসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেন। পরে আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণ করে। এরপর ইলেকট্রিক ডিভাইসের মাধ্যমে ও তথ্য এবং প্রযুক্তির ব্যবহারে ওই হত্যার রহস্য উদঘাটনে জেলা পুলিশ সুপার ইকবাল হোসেনের দিক নির্দেশনায় ও পত্নীতলা থানা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) জহুরুল হকের নেতৃত্বে এসআই রবিউল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সের সহযোগিতায় ৮দিন ধরে অভিযান চালিয়ে রাজধানী ঢাকার গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলার ডাইনকিনি এলাকা হতে এ হত্যার প্রধান খুনী নওগাঁ জেলার রাণীনগর উপাজেলার ভিটি উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত আহম্মেদ আলীর পুত্র হারুন প্রমাণিক (৪৮) কে শনিবার আটক করা হয়। এরপর আসামী হারুণ গত ৬ এপ্রিল সেচ্ছায় এ হত্যাকান্ডের সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত বলে ফৌজদারি কার্যবিধি ১৬৪ ধারা মোতাবেক স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী প্রদান করেন বিজ্ঞ আদালতে।
জবানবন্দীতে সে উল্লেখ করেন, ভিকটিম ইসাহাক হোসেনের সহিত আবুল কালাম আজাদ এর জমিজমা সংক্রান্ত পূর্ব বিরোধের জের ধরে হত্যাকান্ডের প্রায় ৩মাস পূর্বে নওগাঁ জেলহাজতে থাকাকালীন তারা এ হত্যার পরিকল্পনা করেন। হাজতে জামিন পাবার পর আবুল কালাম আজাদ মুঠেফোনের মাধ্যমে যোগাযোগ করে তার নিজ বাড়িতে ডেকে নেয় ও ২ লাখ ৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে ইসাহাক হত্যার চুক্তিপত্র হয়। আসামী হারুণ কবিরাজ বেশে আবুল কালাম আজাদের বড়িতে প্রায় দেড় মাস পূর্ব থেকে যাতায়াত করতে থাকেন। পরে গত বছরের ৪ ডিসেম্বর আবুল কালাম আজাদের মুঠোফোনের বিভিন্ন সংকেত মোতাবেক রাত ৯টার দিকে উপজেলা সদর নজিপুর বাসস্ট্যান্ড আ’লীগ দলীয় কার্যালয় হতে মিটিং শেষে নিজ বাড়িতে প্রবেশ করেন। ইসাহাক হোসেনকে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারালো অস্ত্র দিয়ে বাড়ির ভিতরের রুমে প্রবেশের আগেই ওঁত পেতে থাকা ৬/৭ জনের দুর্বৃত্ত দল ইসহাককে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে রক্তান্ত জখম করে খুনিরা পালিয়ে যায়। পরে পরিবার ও স্থানীয়রা ইসাহাককে পত্নীতলা সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওইদিন রাত্রি পৌণে ১০টার দিকে তিনি মারা যান। পরে নিহতের শ্যালক উপজেলা আ’লীগের অন্যতম সদস্য আবুল কালাম আজাদ অরুণ অজ্ঞাতনামা আসামী করে একটি হত্যা মামলার অভিযোগ দায়ের করেন পত্নীতলা থানায়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।