Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

মালেয়শিয়ায় সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত ফরিদগঞ্জের আল আমিনের বাড়িতে শোকের মাতম

স্টাফ রিপোর্টা, চাঁদপুর থেকে | প্রকাশের সময় : ৮ এপ্রিল, ২০১৯, ৫:২৩ পিএম

মালেয়শিয়ার কুয়ালালমপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৫ বাংলাদেশীর মধ্যে একজনের বাড়ি চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে। নিহত আল আমিন উপজেলার গোবিন্দপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চরভাগল গ্রামের মাওলানা আমির হোসেনের ছেলে। তিন ভাইয়ের মধ্যে আল আমিন সবার বড়। মাত্র ৭ মাস আগে পাশের বাড়ির মিলন গাজীর ছেলে রাসেলের সাথে আল আমিন জীবিকার সন্ধানে মালেয়শিয়ার কুয়ালামপুরে যায়।

রোববার রাতে দূর্ঘটনার পর সোমবার সকালে আল আমিনের মৃত্যুর খবর তার গ্রামের বাড়িতে পৌঁছায়। এসময় স্বজনরা কান্নায় ভেঙে পড়েন। আশপাশের প্রতিবেশিরা তাদের সান্তনা দিতে ছুটে আসেন। পুরো এলাকায় শোকের মাতম ছড়িয়ে পড়ে।
পরিবারের সদস্যরা জানান, একটু স্বচ্ছলতার জন্য বিভিন্ন জনের কাছ থেকে ধার-দেনা করে আল আমিনকে বিদেশ পাঠান তারা। এমন পরিস্থিতিতে তার অকাল মৃত্যুতে পরিবারের ওপর এখন যেনো আকাশ ভেঙে পড়ার উপক্রম হলো। নিহতের বাবা মাওলানা আমির হোসেন বলেন, গত বছরের ৮ সেপ্টেম্বর ছেলে আল আমিনকে মালেয়শিয়া পাঠান। এরমধ্যে বেশকিছু টাকাও পাঠিয়েছে আল আমিন। তিনি আরো বলেন, তিন লাখ টাকা অন্যের কাছ থেকে ধার করে ছেলেকে সেখানে পাঠিয়েছি। নিহতের মা আমেনা বেগম কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আমার আল আমিনকে তোমরা নিয়ে আসো। প্রতিবেশি মিলন গাজী বলেন, তার ছেলে রাসেলের সঙ্গে আল আমিন মালেয়শিয়া যায়। তিনি আরো জানান, সোমবার ভোরে দুর্ঘটনার খবর পান তারা।
এদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে আল আমিনের মরদেহ দেশে নিয়ে আসার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন স্বজন ও প্রতিবেশিরা। একই সঙ্গে ক্ষতিপূরণের দাবিও জানান।
খোঁজ নিয়ে জানাগেছে, মালেয়শিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুর বিমানবন্দরের কাছের একটি সড়কে বাংলাদেশিসহ আরো কয়েকটি দেশের শ্রমিকরা কর্মস্থলে যাবার পথে বাস দুর্ঘটনার শিকার হয়। এসময় ৫ বাংলাদেশিসহ ১১জন নিহত হয়। এতে আরো বেশ কয়েকজন আহত হয়।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ