Inqilab Logo

শুক্রবার, ০৫ জুলাই ২০২৪, ২১ আষাঢ় ১৪৩১, ২৮ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

নগর ভবনে নেই অগ্নি নিরাপত্তা

আগে সতর্ক পরে ব্যবস্থা : আতিকুল

স্টাফ রিপোর্টার : | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

রাজধানীর গুলশানে অবস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন (ডিএনসিসি) ভবনেই নেই পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা। খোদ সিটি কর্পোরেশনের ভবন পরিদর্শন দল গতকাল শনিবার পরিদর্শন শেষে এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সিটি কর্পোরেশনের কর্তারা বলছেন, নগর ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তায় যত দ্রুত সম্ভব ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অগ্নি-নিরাপত্তা বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ডিএনসিসির মেয়র আতিকুল ইসলাম গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান নগর ভবনে ‘ভবন পরিদর্শন দলের’ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।
উদ্বোধনের পর শুরুতেই মেয়রের নেতৃত্বে ‘ভবন পরিদর্শন দল’ নগর ভবন এবং নগর ভবনের বেইজমেন্টে অবস্থিত সুপারশপ ইউনিমার্ট পরিদর্শন করে। দুটি স্থানেই পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা নেই বলে পরিদর্শন দল উদ্বেগ প্রকাশ করে। ডিএনসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা এএসএম মামুন বলেন, নগর ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তার ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র বলেন, ভবন পরিদর্শন দলগুলো ডিএনসিসি এলাকায় বিভিন্ন বহুতল ভবনে গিয়ে পর্যাপ্ত অগ্নি-নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে কি না, যেমন: নির্গমন সিঁড়ি, ফায়ার এলার্ম, নিরাপত্তা প্রহরীদের অগ্নি-নির্বাপণ প্রশিক্ষণ, নিয়মিত মহড়া, আগুন নেভানোর যন্ত্র ইত্যাদি আছে কি না পরীক্ষা করে দেখবে।

মেয়র বলেন, কোনো ভবনের ফায়ার সেফটি পর্যাপ্ত না হলে ভবন মালিককে আগে সতর্ক করা হবে। তাতে কাজ না হলে নেওয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। যে ভবনে যারা চাকরি করেন তারা নিজেরাই সচেতন হয়ে দেখবেন, সে ভবনটিতে ফায়ার সেফটি আছে কিনা। যদি না থাকে তাহলে আমাদের কাছে অভিযোগ জানান। অভিযোগকারী ব্যক্তির পরিচয় গোপন রাখা হবে। অভিযোগ জানালে আমরা সেই ভবনে তাৎক্ষণিক টিম পাঠাবো, সতর্ক করবো। তাতে কাজ না হলে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এসময় মেয়র আরও বলেন, ভবন পরিদর্শন দলগুলো ডিএনসিসি এলাকায় অবস্থিত বহুতল ভবনে গিয়ে আগেই তৈরি করা একটি চেকলিস্টের মাধ্যমে ভবনের অগ্নিঝুঁকি পরীক্ষা করবে। কোনো ভবনে অগ্নি-নিরাপত্তা যথেষ্ট না থাকলে সে ভবনের প্রবেশস্থলে ওই ভবনটির অগ্নি-প্রতিরোধ ব্যবস্থা পর্যাপ্ত নয়, সতর্ক থাকুন লেখা স্টিকার লাগিয়ে দেওয়া হবে। তাছাড়া ভবনে বসবাসকারী বা ভবন মালিককে দ্রুততম সময়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য আহ্বান জানানো হবে। ডিএনসিসির পাঁচটি অঞ্চলের প্রতিটিতে আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে দু’টি করে দল গঠন করা হয়েছে। ডিএনসিসি, ফায়ার সার্ভিস, বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন কমিউনিটির সদস্য সমন্বয়ে প্রতিটি দলে ১০ থেকে ১৫ জন সদস্য থাকবেন। আতিকুল ইসলাম বলেন, ঢাকা উত্তরের ২০টি ভবনকে এ কার্যক্রমে মডেল ভবন হিসেবে উপস্থাপন করা হবে, যাতে অগ্নি নিরাপত্তার সব বন্দোবস্ত থাকবে। প্রথম পর্যায়ে সিটি কর্পোরেশন ভবনগুলোতে ফায়ার এক্সিট, ফায়ার ডোর ও নিরাপত্তাকর্মীদের ফায়ার ড্রিল (প্রশিক্ষণ) রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবে। এসময় জানানো হয়, প্রথম ধাপে ত্রুটি পেলে ভবন মালিকদের সতর্ক করবেন তারা।
এরপরও কেউ ত্রুটির সমাধান না করলে সিটি কর্পোরেশনের ম্যাজিস্ট্রেট তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান হলে তার ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করে দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল হাই, সচিব রবীন্দ্র শ্রী বড়–য়া, আরবান রিজিলিয়েন্স প্রজেক্ট ডিরেক্টর ড. তারিক বিন ইউসুফসহ কর্পোরেশন এবং ফায়ার সার্ভিসের প্রতিনিধি দল উপস্থিত ছিলো।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: অগ্নি নিরাপত্তা
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ