Inqilab Logo

বুধবার ২০ নভেম্বর ২০২৪, ০৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাখাইনে তীব্র হয়ে উঠেছে লড়াই হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন

চলতি সপ্তাহের হামলায় হতাহতদের সবাই রোহিঙ্গা মুসলমান

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মিয়ানমারে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন রাজ্যে গত কয়েক সপ্তাহে জাতিগত আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে সেনাবাহিনীর লড়াই তীব্র হয়ে ওঠায় ২০,০০০-এর বেশি মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছে। জাতিসংঘ মানবাধিকার সংস্থাগুলো এই তথ্য দিয়েছে। ওই এলাকায় সেনাবাহিনী নির্বিচারে বেসামরিক জনগণের উপরও হামলা চালাচ্ছে বলে জাতিসংঘ মনে করছে। পাশাপাশি রাখাইন রাজ্যের সশস্ত্র যোদ্ধারাও সহিংসতা ঘটাচ্ছে। জাতিসংঘ এসব সহিংসতার নিন্দা করেছে। জাতিসংঘ জানায় যে তাদের কাছে বেসামরিক লোকজনকে হত্যা, বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া, নির্বিচানে গ্রেফতার, অপহরণ ও অন্যান্য ধরনের নিপীড়ন চালানোর বিশ্বাসযোগ্য রিপোর্ট রয়েছে। গত বুধবার জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক মুখপাত্র রাভিনা সামদাসানি বলেন, মাঠে গরু চড়ানো ও ধান কাটার কাজে নিয়োজিত থাকা বেসামরিক লোকজনের উপর দুটি সামরিক হেলিকপ্টার গুলি বর্ষণ করে। এতে অন্তত সাতজন নিহত ও ১৮ জন আহত হয়ছে। মুখপাত্র বলেন, আগের বছরগুলোতে বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে যে অপারাধ করা হয়েছে সেগুলোর জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যখন মিয়ানমার সেনাবাহিনীকে জবাবদিহিতার আওতায় আনাতে কাজ করছে, তখন তারা আবারো নিজেদের জনগণের উপর হামলা করছে, যা যুদ্ধাপরাধ। এই অপরাধ থেকে দায়মুক্তির পরিণতি হবে ভয়াবহ। সামদাসানি বলেন, চলতি সপ্তাহের হামলায় হতাহতদের সবাই রোহিঙ্গা মুসলমান। তবে রাখাইন ও প্রতিবেশি চিন রাজ্যে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর বেসামরিক লোকজনও গুলির লক্ষ্যবস্তু হচ্ছে। তিনি ভিওএ-কে বলেন, রাখাইনে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করছে আরাকান আর্মি। গ্রুপটি মূলত রাজ্যের সংখ্যাগুরু বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের সদস্যদের নিয়ে গঠিত। তিনি জানান যে, এই গ্রুপ এবং তাদের ইস্যুগুলো রোহিঙ্গা মুসলিম সম্প্রদায় থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। মুখপাত্র বলেন, আমি যতদূর জানি এই সশস্ত্র গ্রুপটি এক দশক আগে গঠিত হয়। সুশাসন, সংবিধানসহ নানা ইস্যুতে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে তাদের ক্ষোভ রয়েছে। তাদের অর্থনৈতিক ক্ষোভও রয়েছে- সেখানে সব ধরনের অন্যায়ের পেছনে সরকারের হাত রয়েছে। ফলে তারা বছরের পর বছর ধরে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। সামদাসানি বলেন, একই অঞ্চলে বসবাস করলেও তাদের অভিযোগগুলো রোহিঙ্গা মুসলিমদের থেকে একেবারে আলাদা। রোহিঙ্গারা বহু দশক ধরে নিয়মতান্ত্রিকভাবে অবিচারের শিকার হয়ে আসছে। অবিলম্বে যুদ্ধ বন্ধ করে বেসামরিক জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং উত্তর রাখাইন রাজ্যের সবখানে মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে যুদ্ধরত গ্রুপগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে জাতিসংঘ মানবাধিকার দফতর। এসএএম।



 

Show all comments
  • Hasan Islam ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
    মুসলমানের বিজয় সামনে আসছে ইনশাআল্লাহ। সময়ের ব্যাপার।
    Total Reply(0) Reply
  • Fyn Fen ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৬ এএম says : 0
    কাপুরুষরাই নীরিহ নিরস্ত্র মানুষের ওপর গুলি চালিয়ে বাহাদুরি দেখায়।
    Total Reply(0) Reply
  • Saha Ashis ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
    বাংলাদেশের সেনাবাহিনী মায়ানমার আক্রমন করুক।
    Total Reply(0) Reply
  • কাজী রাসেলুজ্জামান রাসেল ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৭ এএম says : 0
    আর কবে টনক নড়বে মুসলিম বিশ্বের
    Total Reply(0) Reply
  • Sabbir Rahman ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
    তোদের বিচার আল্লাহ করবে, বার্মিজ এর দল
    Total Reply(0) Reply
  • ابو مكنون محمد عزيزي ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 0
    জীহাদের বিকল্প নেই ৷ মুসলিম যখন জিহাদ ছেড়ে দিবে তখন তাদের উপর নেমে আসবে আজাব গজব ,লাঞ্চনা আর অপমান ৷
    Total Reply(0) Reply
  • Saiful Islam Rony ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৮ এএম says : 1
    আমরা বাংলাদেশে এখনো কেন চাকমাদের উপর হামলা চালাচ্ছি না?
    Total Reply(1) Reply
    • Mason Williams ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ৯:৩৭ এএম says : 4
      Eivabe bolte nai.. Bhai amader dormo shantir dormo... otoab shanti diyei joy asbe ekdin amader. InshaAllah
  • Sushantoo Kumar ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:২৯ এএম says : 0
    ভাই না মেরে বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিন।আমাদের হৃদয় অনেক বড়।১১লক্ষ পালন করতে পারলে বাকি গুলোও পারবো।
    Total Reply(0) Reply
  • Mohammed Kowaj Ali khan ৭ এপ্রিল, ২০১৯, ১:৪৫ এএম says : 0
    জাতিসংঘ নয় এইটা হচ্ছে জাতি ঢং। গুড়িয়ে দাও উড়িয়ে দাও বারমার সকল অবিশ্বাসী। বিশ্বের বড় খোনী বারমার হারামি এই অবিশ্বাসী অং ঢং খোনি। আমার ক্ষমতা হইলে যুদ্ধ করিতাম বারমা খোনির বীরুদ্বে। ইনশাআল্লাহ।
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ