রামগতিতে আ.লীগ নেতাকে বহিষ্কার
লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চরআলগী ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে বিদ্রোহী প্রার্থী হওয়ায় ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহেদ আলী মনুকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। গত
দিরাই (সুনামগঞ্জ) উপজেলা সংবাদদাতা
নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রকাশিত নির্বাচনী আচরণবিধি প্রকাশ্যে লঙ্ঘিত হলেও স্থানীয় প্রশাসনের কোন ভূমিকা না থাকায় জনমনে ব্যাপক সমালোচনা-আলোচনার ঝড় বইছে। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আসন্ন ইউনয়ন পরিষদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী আওয়ামী লীগ মনোনীত সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার ৩ নং রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী নৌকা প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন সৌম্য চৌধুরী (সমু)। তার পোস্টারের বাম পার্শ্বে শেখ মুজিবুর রহমান ও দলীয় প্রধান শেখ হাসিনার ছবি রয়েছে। একই পোস্টারের ডান পার্শ্বে রয়েছে দিরাই-শাল্লার নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত এমপির। যা সরাসরি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণবিধিমালার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রচারিত ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ খ্রিস্টাব্দের ‘ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন আচরণ বিধিমালা’-এর ৮ নং ধারার (৫)-এর অনুচ্ছেদে উল্লেখ আছে যে, ‘নির্বাচনী প্রচারণায় কোন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী নিজ ছবি ও প্রতীক ব্যতীত কাহারো নাম, ছবি বা প্রতীক ছাপাইতে কিংবা ব্যবহার করিতে পারিবেন না। তবে শর্ত থাকে যে, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী কোন রাজনৈতিক দলের মনোনীত হইলে সেই ক্ষেত্রে তিনি কেবল তাহার দলের বর্তমান দলীয় প্রধানের ছবি পোস্টারে বা লিফলেটে ছাপাইতে পারিবেন।’ এ ব্যাপারে ৩ নং রাজানগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী সৌম্য চৌধুরী সমুর মোবাইল নাম্বারে বার বার ফোন দিয়ে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে দিরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ হাফিজুর রহমান বলেন, এখন পর্যন্ত কোন প্রার্থীর পক্ষ থেকে লিখিত অভিযোগ না পাওয়ার কারণে আমরা পরিদর্শনে বের হইনি। তাছাড়া নির্বাচন পরিচালনা সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ সবেমাত্র শেষ হয়েছে। শীঘ্রই আমরা মোবাইলকোর্ট পরিচালনায় বের হবো।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।