Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

চেন্নাইকে উড়িয়ে মুম্বাইয়ের রেকর্ড

আইপিএল টি-২০

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:১৭ এএম

আইপিএলের চলতি আসরে অন্তত তিন ম্যাচ খেলা দলগুলোর মধ্যে একমাত্র অপরাজিত ছিল চেন্নাই সুপার কিংস। চতুর্থ ম্যাচে এসে তাদের হারিয়ে দিল টুর্নামেন্টের ইতিহাসের অন্যতম সেরা দল মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

ঘরের মাঠে চেন্নাইকে ৩৭ রানের ব্যবধানে হারিয়ে রেকর্ড গড়েছে রোহিত শর্মার দল। সুপার ওভারে পাওয়া একটি জয়সহ আইপিএলে ১০০ ম্যাচ জেতা প্রথম এবং একমাত্র দল এখন মুম্বাই। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৯৩টি জয় রয়েছে চেন্নাইয়ের ঝুলিতে।

বুধবার রাতে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে স্বাগতিকরা দাঁড় করায় ১৭০ রানের লড়াকু সংগ্রহ। যা তাড়া করতে নেমে কেদার যাদবের ফিফটির পরও নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৩ রানের বেশি করতে পারেনি চেন্নাই।

মুম্বাইয়ের মতো চেন্নাইয়ের দুই ওপেনারও ফিরে যান শুরুতেই। শেন ওয়াটসন ৫ রান করলেও আম্বাতি রাইডু আউট হন মুখোমুখি প্রথম বলেই। এছাড়া সুরেশ রায়না ১৫ বলে ১৬ এবং মহেন্দ্র সিং ধোনির ব্যাট থেকে ২১ বলে মাত্র ১২ রান।

দলের পক্ষে বলার মতো ইনিংস খেলেন কেবল কেদার যাদব। ৮ চার ও ১ ছয়ের মারে ৫৪ বলে ৫৮ রান করেন তিনি। এছাড়া শেষদিকে শার্দুল ঠাকুরের ৫ বলে ১২ রান ব্যতীত আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। মুম্বাইয়ের পক্ষে বল হাতে ৩টি করে উইকেট নেন লাসিথ মালিঙ্গা এবং হার্দিক পান্ডিয়া।

টস হেরে ব্যাট করতে নামে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। আগের তিন ম্যাচের মধ্যে দুটিতে হেরে এমনিতেই কিছুটা ব্যাকফুটে ছিল তারা। সে হিসাবে চেন্নাইয়ের বিপক্ষে ম্যাচটি ছিল সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ। এমন একটি ম্যাচে কি না টস হারতে হয় নিজেদের মাঠেই।

প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই হারাতে হয় কুইন্টন ডি কক আর রোহিত শর্মার উইকেট। ডি কক ৪ রান এবং রোহিত শর্মা করেন ১৩ রান। এরপর যুবরাজ সিংও ফিরে যান দ্রুত। মাত্র ৪ রান করে। ৫০ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স।

চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৬২ রান তোলেন সূর্যকুমার যাদব এবং ক্রুনাল পান্ডিয়া। দলীয় ১১২ রানের মাথায় ৩২ বলে ৪২ রান করে আউট হন ক্রুনাল। তখন চলছিল ১৭তম ওভারের খেলা। ৪৩ বলে ৫৯ রান করে আউট হয়ে যান সূর্যকুমার যাদবও। তিনিই করেন সর্বোচ্চ রান।

এরপরই মূলত তাণ্ডব চালায় হার্দিক পান্ডিয়া আর কাইরন পোলার্ড। শেষ দুই ওভারেই এ দু’জন তোলেন ৪৫ রান। বিশেষভাবে বললে, শেষ ওভারে ২৯ রান। ১৯তম ওভারে ২ ছক্কায় ১৬ রান তোলেন পোলার্ড আর হার্দিক। এরপর ২০তম ওভারে একাই চড়াও হন হার্দিক পান্ডিয়া।

ডোয়াইন ব্রাভোর বলে তিনটি ছক্কা, ১টি বাউন্ডারি, ৩ রানের একটি, দুটি নো, একটি ওয়াইড এবং ২টি সিঙ্গেল নেন পান্ডিয়া এবং পোলার্ড। হার্দিক পান্ডিয়া শেষ পর্যন্ত ৮ বলে ২৫ এবং পোলার্ড ৭ বলে ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ