ইতিহাদ স্টেডিয়ামে বুধবার রাতে ২-০ গোলে জিতে পেপ গুয়ার্দিওলার দল। আর স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে ৩-০ গোলে জিতেছে চেলসি।
কেভিন ডি ব্রুইনের নৈপুণ্যে ম্যাচের শুরুটা দারুণ হয় সিটির। ষষ্ঠ মিনিটে এমেরিক লাপোর্তের পাস ডি-বক্সে পেয়ে দুরূহ কোণ থেকে জোরালো শটে দলকে এগিয়ে দেন বেলজিয়ামের মিডফিল্ডার।
৪৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন লেরয় সানে। ডান দিক থেকে রিয়াদ মাহরেজের বাড়ানো ক্রসে গাব্রিয়েল জেসুস বল বুক দিয়ে বাড়ান ডি-বক্সের মুখে। আর প্রথম ছোঁয়ায় নিচু শটে বল লক্ষ্যে পাঠান জার্মান ফরোয়ার্ড।
৩২ ম্যাচে ২৬ জয় ও দুই ড্রয়ে শীর্ষে ফেরা ম্যানচেস্টার সিটির পয়েন্ট ৮০। ১ পয়েন্ট কম নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে নেমে গেছে লিভারপুল।
আরেক ম্যাচে ক্রিস্টাল প্যালেসকে ২-০ গোলে হারানো টটেনহ্যাম হটস্পার ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে ফিরেছে। চার নম্বরে নেমে যাওয়া আর্সেনালের পয়েন্ট ৩১ ম্যাচে ৬৩।
ম্যাচের শুরু থেকে বল দখলে রাখার পাশাপাশি আক্রমণেও আধিপত্য করা চেলসি ৩৮তম মিনিটে এগিয়ে যায়। ডান দিক দিয়ে ডি-বক্সে ঢোকা ইংলিশ ফরোয়ার্ড ক্যালাম হাডসন-ওডোইয়ের গোলমুখে বাড়ানো বল ফ্লিকে জালে পাঠান অলিভিয়ে জিরুদ।
দ্বিতীয়ার্ধে তিন মিনিটের ব্যবধানে আরও দুবার জালে বল পাঠিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নেয় চেলসি।
৬০তম মিনিটে রুবেন লোফ্টাস-চিকের ছোট পাস পেয়ে একজনকে কাটিয়ে ডি-বক্সে ঢুকেই জোরালো শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন এদেন আজার। আর তিন মিনিট পর বেলজিয়ান ফরোয়ার্ডের ছোট পাস ধরে দূরপাল্লার উঁচু শটে জাল খুঁজে নেন ইংলিশ মিডফিল্ডার লোফ্টাস-চিক।
৩২ ম্যাচে ১৯ জয় ও ছয় ড্রয়ে চেলসির পয়েন্টও আর্সেনালের সমান ৬৩। তবে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পঞ্চম স্থানে আছে মাওরিসিও সাররির দল। ষষ্ঠ স্থানে নেমে যাওয়া ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পয়েন্ট ৬১।