Inqilab Logo

শনিবার ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ১৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে হেরেই গেল রিয়াল

লা লিগা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১১:০৮ এএম | আপডেট : ১১:১৯ এএম, ৪ এপ্রিল, ২০১৯

রিয়াল মাদ্রিদে দ্বিতীয় অভিষেকে শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। নিজের দ্বিতীয় ম্যাচেই অবশ্য প্রায় হার দেখে ফেলেছিলেন জিনেদিন জিদান। করিম বেনজেমার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে সে যাত্রা বেঁচে যান এ ফরাসী। তৃতীয় ম্যাচেই বাস্তবতা টের পেলেন তিনি। ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি তার দল। ভ্যালেন্সিয়ার কাছে ১-২ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নরা।

জিদান ও ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো দল ছাড়ায় চলতি মৌসুমের শুরু থেকেই ধুঁকছে রিয়াল। জিদান ফেরায় স্বস্তি ফিরেছে দলে। তবে রোনালদোর অভাব এখনও পূরণ করতে পারেনি দলটি। তার প্রভাব মাঠে এবার টের পেলেন জিদান।

প্রতিপক্ষের মাঠে শুরু থেকেই বল দখলে এগিয়ে থেকে খেললেও পরিকল্পিত আক্রমণে যেতে পারেনি রিয়াল। ম্যাচের ২২ মিনিটে টনি ক্রুসের দূরপাল্লার শটটিই ছিল প্রথম অনটার্গেট। তবে গোলরক্ষক নেতোকে তেমন পরীক্ষায় ফেলতে পারেননি ক্রুস। ৩৫ মিনিটে উল্টো গোল খেয়ে বসে রিয়াল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বল পাঞ্চ করে ফিরিয়েছিলেন গোলরক্ষক কেইলর নাভাস। ডি বক্সের বাইরে সে বল পেয়ে যান গনজালো গেদিস। কার্লোস সোলারের সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে ডি বক্সে ঢুকে দারুণ এক শটে লক্ষ্যভেদ করেন এ মিডফিল্ডার।

গোল খেয়ে উল্টো খেই হারিয়ে বসে রিয়াল। পরের তিন মিনিটে তিনটি দারুণ আক্রমণ করে ভ্যালেন্সিয়া। তবে প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় সে যাত্রা বেঁচে যায় রিয়াল। ফলে প্রথমার্ধে পিছিয়ে থেকেই মাঠ ছাড়ে দলটি।

দ্বিতীয়ার্ধেও খেলা গোছাতে পারেনি রিয়াল। উল্টো ৫৩ মিনিটে প্রায় গোল হজম করে ফেলেছিল তারা। রদ্রিগোর বাড়ানো বল থেকে ডান প্রান্তে ডি বক্সের মধ্য থেকে শট নিয়েছিলেন সোলের। কিন্তু তার শট দারুণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন নাভাস। পরের মিনিটে কর্নার থেকে ফাঁকায় হেড দিয়েছিলেন জেফ্রি কোন্দোগবিয়া। লক্ষ্যে রাখতে পারেননি। ৬১ মিনিটে ডান প্রান্ত থেকে রদ্রিগোর নেওয়া শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

৭৪ মিনিটে এগিয়ে যেতে পারতো ভ্যালেন্সিয়া। পাল্টা আক্রমণ থেকে বল পেয়ে ডান প্রান্তে রদ্রিগোকে পাস দেন কেভিন গোমেইরো। ফিরতি পাস দিতে কিছুটা দেরি করে ফেলেন রদ্রিগো। তাই বল ঠিকভাবে নিয়ন্ত্রণে নিতে পারেননি গেমেইরো। পেছনের পায়ে নেওয়া দুর্বল শট তাই লুফে নিতে কোন সমস্যা হয়নি রিয়াল গোলরক্ষকের। তবে ৮৩ মিনিটে ঠিকই গোল আদায় করে নেয় ভ্যালেন্সিয়া। কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করে ব্যবধান বাড়ান ইজাকুয়েল গারাই।

ম্যাচের যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে ব্যবধান কমাতে পারতো রিয়াল। মার্সেলোর ক্রস থেকে একেবারে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন মারিয়ানো। তবে রামোসের সঙ্গে মুক্তার দিয়াখাবির সংঘর্ষে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি। ভিএআরে সে সিদ্ধান্ত বল করেন তিনি। দুই মিনিট পর ব্যবধান কমাতে পারে রিয়াল। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান বেনজেমা। তবে তা কেবল সান্ত্বনা জুগিয়েছে দলকে। হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।

৩০ ম্যাচে ১৮ জয় ও তিন ড্রয়ে তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৭।

মঙ্গলবার রাতে ভিয়ারিয়ালের মাঠে ৪-৪ গোলে ড্র করা বার্সেলোনা ৭০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা আতলেতিকো মাদ্রিদের পয়েন্ট ৬২।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ