চতুর্থ ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভাইস-চেয়ারম্যান প্রার্থীর ভোট করার জের ধরে প্রতিপক্ষের লোকজন কর্তৃক ছয় সন্তানের জননী (৩৫) কে গণধর্ষণের ঘটনায় নির্যাতিতার মেডিকেল পরীক্ষা শেষে ধর্ষণের আলামত পেয়েছে চিকিৎসকরা। ঘটনার এপর্যন্ত প্রধান আসামীসহ ৬জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার সৈয়দ মহি উদ্দিন আব্দুল আজিম। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, মেডিকেল অফিসার শাহানারা আক্তার লিপি’র নেতৃত্বে একটি মেডিকেল টিম নির্যাতিতার শারীরিক পরীক্ষা সম্পন করেন। আজ স্বাস্থ্য পরীক্ষার প্রতিবেদনটি তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যাহর কাছে জমা দিলে তিনি তা নোয়াখালী পুলিশ সুপার কার্যালয়ে প্রেরণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ৩১ মার্চ রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভিকটিম ও তার স্বামী মোটরসাইকেল যোগে নিজেদের বাড়িতে যাচ্ছিলেন। পথে উত্তর বাগ্যা এলাকায় তালা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থক ইউসুফ মাঝির নেতৃত্বে ১০/১২জন তাদের গতিরোধ করে মারধর করে। এসময় বেচু মাঝি, বজলু ও আবুল বাসার ওই নারীর স্বামীকে আটকে রেখে তাঁকে পার্শ্ববর্তী রুহুল আমিনের মৎস্য খামারে নিয়ে গিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। পরে তার স্বামীর চিৎকারে এলাকার লোকজন ছুঁটে আসলে ধর্ষকরা পালিয়ে যায়। রাতেই ভিকটিমকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে স্থানীয়রা।