Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

বিবিএস ও ডিএইর মধ্যে তথ্য ঘাটতি দূর করা হবে সাংবাদিকদের সঙ্গে সংলাপে কৃষিমন্ত্রী

অর্থনৈতিক রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৪ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:২০ এএম

 


 কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেছেন, বিবিএস ও ডিএইর মধ্যে কৃষি বিষয়ক তথ্য ঘাটতি দূর করতে উদ্যোগ নেওয়া হবে। পাশাপাশি নির্দয় ও নিষ্ঠুরভাবে নিয়ন্ত্রন হবে কীটনাশকের ব্যবহার। বাড়ানো হবে পুষ্টি ও খাদ্য নিরাপত্তা। আগামী পাচ বছরের মধ্যে কৃষিকে সত্যিকারের বাণিজ্যিক রুপ দেওয়া হবে। আধুনিক কৃষি ও যান্ত্রিক কৃষির প্রবর্তনই এখন মূল চ্যালেঞ্জ। গতকাল প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁ হোটেলে আয়োজিত ‘কৃষিভিত্তিক মিডিয়া সংলাপ ২০১৯’ এ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। কৃষি তথ্য সার্ভিস (এআইএস) এর উদ্যোগে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এআইএস পরিচালক ড. মো. নুরুল ইসলাম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য কৃষিবিদ আব্দুল মান্নান এমপি ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. নাসিরুজ্জামান। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রধান তথ্য অফিসার ড. মো. খালেদ কামাল।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, যে কোন মন্ত্রণালয়ের উন্নয়নর জন্য মিডিয়া অপরিহার্য। কারণ মন্ত্রণালয়ে কি কাজ হচ্ছে তার গঠন মূলক সমালোচনা হলে সংশ্লিষ্টরা তা সুধরে আরো ভালো ভাবে কাজ করতে পারে। মিডিয়া শুধু এটুকুই নয়, বিদেশীরা এ দেশে বিনিয়োগ করতে পারবে কি না, বিনিয়োগ করার মতো পরিবেশ আছে কিনা। মিডিয়ার মাধ্যমে তা তুলে ধরতে পারে এবং এ বিষয়ে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে পারে।
তিনি বলেন, আগামী ৫ বছরে কৃষিকে সত্যিকার অর্থে বাণিজ্যিক কৃষিতে রুপান্তর করা হবে। সেই সঙ্গে আমরা নিরাপদ খাদ্যের নিশ্চয়তাও দিতে পারবো। আগামীতে কৃষির গুরুত্ব আরো বাড়বে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ধানের দাম নেই। কৃষকের নিকট থেকে কোন মিলার ধান কিনতে চাচ্ছে না। কৃষকরা বলছে বাজারে ধান নিয়ে গেলে কেউ কিনতে চাচ্ছে না। এটার কারনে গত অর্থ বছরে অবাধে চালের আমদানি।
ভর্তুকির বিষয় উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, সরকার যদি কৃষিতে ভর্তুকি না দিত তাহলে এত পরিমান খাদ্য উৎপাদন কখনই সম্ভব হতো না। স্বাধীনতার বছরে বাংলাদেশে খাদ্যে উৎপাদন ছিল ১০ লাখ টন। সেখানে বর্তমানে দেশে খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে ৪ কোটি ১৩ লাখ টন। এবার খাদ্য উৎপাদনের যে টার্গেট নির্ধারণ করা হয়েছিল তার চেয়ে ১৩ লাখ টন খাদ্য বেশী উৎপাদন হয়েছে। আমরা বিদেশী বিনিয়োগকারীদের আমাদের দেশে বিনিয়োগের প্রস্তুত করছি। কৃষির সকল ক্ষেত্রেই স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনের চেষ্টা করবো বলে জানান কৃষি মন্ত্রী।
ড. রাজ্জাক বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার আগে পশ্চিমা সাংবাদিক, অর্থনীতিবিদ ও বুদ্ধিজীবীরা নানা কটুক্তি করেছিল। শেখ হাসিনার সরকার বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ং সম্পূর্ণ করে এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নের মাধ্যমে তাদের সমস্ত আশংকা মিথ্যা প্রমাণ করেছে। বর্তমানে কৃষিকে যান্ত্রিকীকরণ করার চেষ্টা করছি। আশা করছি দ্রæত আমরা এ কাজও করতে পারবো।
সংলাপে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণসংযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগি অধ্যাপক ড. শামীম রেজা। মূল প্রবন্ধ ওপর আলোচনা করেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের বার্ষিক কর্ম সম্পাদন চুক্তি (এপিএ) এর সদস্য মো. হামিদুর রহমান। মুক্ত আলোচনায় কৃষি বিষয়ক সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে তথ্যের অভাবের কথা তুলে ধরেন। এ ছাড়া তারা নিরাপদ খাদ্য, খাদ্যের পুষ্টি মান, সমন্বিত কৃষি, ভর্তুকির অর্থের ব্যবহার, ডিএইর স¤প্রসারণ কর্মীদের এবং কৃষি গবেষনার ক্ষেত্রে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখছে তার বিষয়ে মূল্যায়ন প্রযোজন বলে মতামত দেন সাংবাদিকরা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: কৃষিমন্ত্রী


আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ