বেসরকারি হেলিকপ্টারে ইয়াবা পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বেসরকারি ৮টি প্রতিষ্ঠানের হেলিকপ্টারের মালিক ও তাদের প্রতিনিধি, বিমান ও আইনশৃংখলারক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বুধবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ওই বৈঠকে মাদক পরিবহন প্রতিরোধে তাদের সহযোগিতা চাওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে বৈঠকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদক পাচারের বিষয়টি তদন্ত করতে বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওই কমিটিতে পুলিশ, র‌্যাব ও গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিনিধি রয়েছেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. শরীফ মাহমুদ অপু গত রাতে দৈনিক ইনকিলাবকে বলেন, গোয়েন্দা সংস্থাগুলো জানিয়েছে হেলিকপ্টার ব্যবহার করে মাদক পরিবহন হচ্ছে। এজন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হেলিকপ্টার মালিকদের নিয়ে বৈঠক করেছেন। বৈঠকে ৯ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী এক মাসের মধ্যে তদন্ত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে বলে তিনি জানান।
গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে জানা গেছে, মাদক ব্যবসায়ীরা কক্সবাজার থেকে হেলিকপ্টারে করে মাদক চোরাচালান করে আসছে দীর্ঘ দিন ধরে। মূলক ইয়াবাই পাচার হয় হেলিতপ্টারে। তবে মাঝে মধ্যে হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকও আসে। এ বিষয়ে গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। একই সাথে মাদক পাচারের সাথে জড়িত চক্রের সদস্যদের সম্পর্কেও তথ্য দেয়া হয়েছে গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে।
সূত্র জানায়, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেয়া একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যেহেতু হেলিকপ্টারের যাত্রীদের তেমন কোন নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে যেতে হয় না এবং পণ্য পরিবহনের সময় স্ক্যানিংয়ের যথাযথ ব্যবস্থা নেই, তাই সহজেই তারা ইয়াবাসহ বিভিন্ন ধরনে মাদক পাচার করতে পারে।
বিমান মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানান, এতদিন তারা খবর পেয়েছেন, অভ্যন্তরীণ রুটের বিমানে যাত্রীদের দিয়ে মাদক আনা-নেয়া করা হয়। কিন্তু এখন খবর আসছে তারা হেলিকপ্টার ব্যবহার করে ইয়াবা পাচার করছে। এ অভিযোগ যারা ভাড়ায় ফ্লাইট পরিচালনা করছে তাদের ক্ষেত্রে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে বলে ওই কর্মকর্তঅ জানান।