বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে বুধবার বেদম মারধর করেছে ছাত্রলীগ নামধারী একদল তরুণ। তাদের হামলায় ছাত্র ফ্রন্টের পাঠচক্র সভা পন্ড হয়ে যায়। বুধবার পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে এ হামলা চালানো হয়। আহত দুই ছাত্রফ্রন্ট নেতা হচ্ছে, ইন্সটিটিউট শাখার সভাপতি নাসরিন আক্তার টুম্পা ও সাধারণ সম্পাদক রতন গাইন। তারা উভয়ে ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী।
বাসদের জেলা শাখার সদস্য সচিব ডা. মনীষা চক্রবর্তী জানান, বুধবার পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে ছাত্র ফ্রন্টের নিয়মিত আয়োজন পাঠচক্র সভা ছিল। সভা শুরুর আগে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্ধারিত স্থানে উপস্থিত হলে অন্যান্য কর্মীরা সেখানে আসতে শুরু করে। বেলা ১১টার দিকে ছাত্রলীগ পরিচয়ধারী সাজ্জাতুল ইসলাম রানা নামের এক তরুণ এসে টুম্পার হাতে থাকা খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এসময় টুম্পাকে শারীরিকভাবে নাজেহাল করে ওই তরুণরা। তাকে রক্ষায় সম্পাদক রতন গাইন এগিয়ে এলে তরুণরা তাকেও বেদম মারধর করে। ডা. মনীষা জানান, রানা ইন্সটিটিউটের অনিয়মিত ছাত্র। ছাত্রলীগ পরিচয়ে সে ছাত্রাবাসে অবৈধভাবে বসবাস করছে।
বরিশাল পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে দীর্ঘ বছর যাবত ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। একদল ছাত্র নিজেদের ছাত্রলীগ পরিচয় দিয়ে ক্যাম্পাসে আধিপত্য ধরে রেখেছে। হামলায় নেতৃত্ব দেওয়া রানা তাদেরই একজন বলে জানা গেছে। হামলার বিষয়ে রানার বক্তব্য জানা যায়নি। তবে ক্যাম্পাসে রানার সিনিয়র নেতা দাবীদার সাজ্জাদ আহমেদ শান্ত বলেন, ঘটনার সময় আমি সেখানে ছিলাম না। রানা সেখানে অন্য কর্মীদের নিয়ে দাঁড়ানো ছিল। ছাত্র ফ্রন্টের কর্মীরা হয়তো নেশাগ্রস্ত ছিল, তাই আবোল-তাবোল বলছে।
শান্ত দাবী করেন, এ ঘটনার সঙ্গে রানার নাম জড়ানোর কারণে তাকে কয়েকটি চর থাপ্পড়র দিয়ে এক সপ্তাহ কলেজে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। ছাত্রলীগের অপর গ্রুপের হাসিবুল হাসান শান্তর অনুসারীরা ছাত্র ফ্রন্টের ওপর হামলা করেছে বলে অভিযোগ করেন সাজ্জাদ আহমেদ শান্ত।