Inqilab Logo

সোমবার, ০৮ জুলাই ২০২৪, ২৪ আষাঢ় ১৪৩১, ০১ মুহাররম ১৪৪৬ হিজরী

কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহার প্রকাশ

মোদি-মমতার প্রচার শুরু আজ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩ এপ্রিল, ২০১৯, ১২:০৫ এএম

ওয়েল অ্যান্ড ওয়েলফেয়ার। নিজেদের তৈরি করা নির্বাচনী ইশতেহারকে এই শব্দেই ব্যাখ্যা করল ভারতের রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। সেই দাবির সঙ্গে সঙ্গতি রেখেই গতকাল মঙ্গলবার দেশের ২২ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে চাকরি এবং গরিব কৃষকদের অ্যাকাউন্টে বছরে সরাসরি ৭২,০০০ টাকা করে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। এদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সভা দিয়ে আজ থেকে পশ্চিমবঙ্গে নির্বাচনী প্রচার শুরু করছে বিজেপি। এ দিনই তার নির্বাচনী প্রচার শুরু করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। শিলিগুড়ি ও ব্রিগেডে সভায় মোদি যা বলবেন তার জবাব দিতেই মমতা সভার জন্য বেছে নিয়েছেন কোচবিহারের দিনহাটা। খবর এনডিটিভি ও ইন্ডিয়া টাইমস।
নয়াদিল্লিতে কংগ্রেসের ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন সোনিয়া গান্ধী, মনমোহন সিংহ, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী সহ কংগ্রেসের অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারাও। কর্মসংস্থান, কৃষি এবং মহিলাদের সুরক্ষা, গত পাঁচ বছরে এই তিনটি বিষয়ে পিছিয়েছে ভারত। তাই দেশকে আবার উন্নতির রাস্তায় ফিরিয়ে নিয়ে যেতে গত এক বছর ধরে তৈরি করা হয়েছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইশতেহার, এমনটাই জানিয়েছেন কংগ্রেস নেতা এবং প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরম।
ক্ষমতায় এলেই বেহাল কর্মসংস্থানের হাল ফেরাতে দেশের ২২ লক্ষ সরকারি শ‚ন্যপদে চাকরি দেওয়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেন রাহুল। পাশাপাশি নিজের ‘ন্যায় প্রকল্প’র মাধ্যমে দেশের গরিবদের অ্যাকাউন্টে বছরে ৭২ হাজার টাকা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি। কংগ্রেসের দাবি, এর ফলে উপকৃত হবে দেশের প্রায় পাঁচ কোটি দরিদ্র মানুষ। রাহুলের প্রতিশ্রুতি, ক্ষমতায় এলে দেশের কৃষকরা কৃষিঋণ শোধ করতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হবে না, তাদের নিয়ে আসা হবে দেওয়ানি মামলার আওতায়। একই সঙ্গে ক্ষমতায় এলে পুরো জিএসটি ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হবে বলেও দাবি করা হয়েছে কংগ্রেসের নির্বাচনী ইস্তাহারে। মোদি সরকারের জিএসটিকে ‘গব্বর সিংহ ট্যাক্স’ বলেও কটাক্ষ করেন রাহুল। তার কথায়, ‘তুলে দেওয়া হবে গব্বর সিংহ ট্যাক্স’। জিএসটিতে বর্তমানে চালু পাঁচটি স্তরকে একটি স্তর বা স্ল্যাবে নিয়ে আসা হবে, এবং সেই স্তরেও করের হার কম করা হবে।’ দেশের গড় জাতীয় উৎপাদনের ৬ শতাংশ শিক্ষাক্ষেত্রে বরাদ্দ করা হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন কংগ্রেস সভাপতি। ক্ষমতায় এলে দেশের উন্নয়নের পরিকল্পনায় মোদি সরকারের তৈরি নীতি আয়োগ তুলে দিয়ে ফের প‚র্ববর্তী জমানার যোজনা কমিশন ফিরিয়ে আনা হবে বলেও এদিন জানিয়েছেন রাহুল।
এদিকে, আজ বুধবার দুপুরে মোদির কথা, বিকেলে মমতার জবাব, উত্তরবঙ্গের মাটি থেকেই শুরু দু’জনের ‘বক্তৃতা-যুদ্ধ’। গত ক’দিনে মমতা একাধিকবার বলেছেন, প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে বসতে তিনি রাজি। রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির সভার ‘একতরফা’ প্রচার আটকাতেই মমতার এই ‘কৌশল’। তৃণমূল সূত্রে খবর, মোদির সভা শেষ হলেই যাতে মমতার সভা শুরু হয়, দল সচেতন ভাবে সেই মতো প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ, নেত্রী মনে করেন প্রধানমন্ত্রী যা বলবেন, উত্তরবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়েই তার ‘যোগ্য’ জবাব দেওয়া উচিত। যার অর্থ, দুই শীর্ষ নেতার ‘বক্তৃতা-যুদ্ধ’ শুরু হবে উত্তরবঙ্গ থেকে। রাজনৈতিক মহলের মতে, প্রধানমন্ত্রীর সভার ‘একতরফা’ প্রচার আটকাতেই মুখ্যমন্ত্রীর এই সমান্তরাল ‘কৌশল’।
এখনও পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর যে সফর-স‚চি জানা যাচ্ছে, তাতে শিলিগুড়িতে দুপুর ১টায় সভার পরে বিকেল তিনটেয় ব্রিগেডে সভা হওয়ার কথা মোদির। অন্যদিকে, মমতা কলকাতা থেকে বাগডোগরা হয়ে দিনহাটা পৌঁছে বিকেল চারটে নাগাদ সভা করতে চান। তৃণমূল সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি এবং ব্রিগেডে মোদি যা বলবেন, প্রকাশ্য সভামঞ্চে তৎক্ষণাৎ তার ‘জবাব’ দেবেন মমতা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এই ভাবে সময় স্থির করা হচ্ছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ