পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক এলডিরি সভাপতি সভাপতি কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের যারা ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে আছেন তাদের অনেকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময় সরকারের কাছ থেকে পয়সা নিয়েছেন। কোন বাসায় পয়সা নিয়েছেন, কে নিগোসিয়েট করেছেন এই তথ্যগুলো আমার কাছে আছে। গত শনিবার রাজধানীর তেজগাঁওস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, আমাদের ২০ দলীয় জোটের অনেক নেতাও সরকারের কাছ থেকে পয়সা নিয়েছেন। এলডিপি মহাসচিব ড. রোদোয়ান আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর নেজারেল (অব) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শাহাদাৎ হোসেন সেলিম, বিএনপি নেতা ব্যারিস্টার এম সরোয়ার হোসেন প্রমূখ।
সাবেক মন্ত্রী অলি আহমদ বলেন, পুলিশ-প্রশাসন এখন দেশ চালাচ্ছে। এজন্যই তারা (পুলিশ) এমপি-মন্ত্রীদের কথা শুনছে না। কারণ পুলিশ বলে, তোমরা নির্বাচিত এমপি না। এমপি তো আমরা তোদের বানিয়েছি, জনগণ তো তোদের এমপি বানায়নি। তিনি আরও বলেন, সরকার জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন। আমরা ঐক্যবদ্ধ হলে আগামী এক বছরের মধ্যে এই সরকারকে নির্বাচন দিতে বাধ্য করতে পারবো। এটা কোনো কঠিন কাজই নয়। ১৬০ জন লোকও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নেমে সংগ্রাম করলে অচিরেই এ দেশে পুনরায় নির্বাচন অসম্ভব নয়। ১৯ বার মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েও এখন বেঁচে আছি। নিশ্চয়ই কোনও কাজ আল্লাহ আমাকে দিয়ে করাবেন। সেই অপেক্ষায় আছি।
মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখা এই রাজনীতিক বলেন, রাজনৈতিক নেতৃত্বে নয়, সামরিক বাহিনীর নেতৃত্বে স্বাধীনতা এসেছে। নতুন নতুন লোকেরা বই লিখছেন যারা যুদ্ধ দেখেননি, ভয়ে যুদ্ধের মাঠ থেকে পালিয়ে গেছেন তারাও এখন বই লিখছেন। অনেক শিক্ষকেরা যারা মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে কিছুই জানেন না, তারাও মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে বই লিখেছেন। সত্য কথা হলো, মুক্তিযুদ্ধে সামরিক বাহিনীর সদস্যরাই নেতৃত্ব দিয়েছে। তাদের সঙ্গে প্রথমে যোগদান করেছে তৎকালীন ইপিআরের সদস্যরা, পুলিশ, ছাত্র। বিশেষ করে ছাত্র-শ্রমিক সেদিন যদি না আসতো তাহলে আমদের পক্ষেও এ দেশ স্বাধীন করা সম্ভব হতো না। একপর্যায়ে কিছুসংখ্যক লোক ছাড়া সমগ্র বাংলাদেশের লোক এই স্বাধীনতা সংগ্রামের জন্য পরিশ্রম করেছেন। শুধু কয়েকজন রাজনীতিবিদের কারণে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। তিনি বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের জন্য যে অবদান রেখেছেন, আমি বলবো না বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের চেয়ে বেশি রেখেছেন। দুইজনই বাংলাদেশের জনগণের জন্য কাজ করেছেন। দুইজনকে সম্মান করা উচিত। তাদের বিরুদ্ধে কোনও বক্তব্য রেখে মিথ্যা কথা বলে দেশের লোককে বিভ্রান্ত করা ঠিক না।
উপজেলা নির্বাচনের চিত্র তুলে ধরে অলি আহমদ বলেন, আওয়ামী লীগ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো উপজেলা নির্বাচনেও রাতে ভোট করছে। এই অবস্থা থেকে অবশ্যই আমাদের মুক্ত হতে হবে। সাহসী লোকের প্রয়োজন। দেশের মানুষের ভোটাধিকার হরণ হয়েছে। সেটা পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এখানে অমুকের দ্বারস্থ, তমুকের দ্বারস্থ হলে চলবে না। নিজের যেটা আছে সেটাকে কাজে লাগাতে হবে ঐক্যবদ্ধভাবে। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।