Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মেসির জোড়া গোলে বার্সার জয়

লা লিগা

স্পোর্টস ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩০ মার্চ, ২০১৯, ১১:২৪ পিএম | আপডেট : ১২:২৮ এএম, ৩১ মার্চ, ২০১৯

বলের দখল নিয়ে আধিপত্য দেখালেও গোলের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে হলো বার্সেলোনাকে। ঘরের মাঠে কাতালান ডার্বিতে শেষ দিকে ব্যবধান গড়ে দিলেন লিওনেল মেসি। দলীয় অধিনায়কের জাদুতে এস্পানিওলকে হারিয়ে লা লিগার শিরোপা দৌড়ে আরো এগিয়ে গেল বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

শনিবার ন্যু ক্যাম্পের ম্যাচে এস্পানিওলকে ২-০ গোলে হারায় আর্নেস্তো ভালভার্দের দল। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পর দ্বিতীয়ার্ধে দারুণ ফ্রি-কিকে দলতে এগিয়ে নেন মেসি। শেষ দিকে ম্যালকমের পাস থেকে ব্যবধান দ্বিগুন করেন দলীয় অধিনায়ক। রিয়াল বেটিসকে ৪-১ গোলে হারিয়ে আন্তর্জাতিক বিরতিতে যাওয়া বার্সা ফিরেই পেল দুর্দান্ত জয়ের দেখা।

সব প্রতিযোগিতা মিলে মৌসুমে মেসির গোল সংখ্যা দাঁড়ালো ৪১টি। এ নিয়ে টানা দশ মৌসুম চল্লিশোর্ধো গোল করলেন আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি।

সপ্তাহের মাঝপথে আর্জেন্টিনার হয়ে মরক্কোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ছিলেন না পাঁচবারের বর্ষসেরা, পুরোনো কুঁচকির চোটের কারণে ছিলেন বিশ্রামে। তবে ক্লাবে ফিরে ভালভার্দের শুরুর একাদশে ছিলেন ফুটবল জাদুকর। নেমেই জাদুকরী ফুটবল উপহার দিয়ে লিগে দলকে টানা ষষ্ঠ জয় উপহার দিলেন। এই জয়ে শিরোপা ধরে রাখার মিশনে ১৩ পয়েন্টে এগিয়ে গেল স্প্যানিশ জায়ান্টরা।

ম্যাচ শেষে হাসি নিয়ে ফিরলেও ৭০ মিনিট পর্যন্ত বেশ চিন্তায় কাটে বার্সা সমর্থকদের। এস্পানিওলও মন্দ খেলেছিল বলা যাবে না। ব্যবধান গড়ে দিয়েছে মূলত মেসির জাদুকরী দুটি মুহূর্ত।

শুরু থেকে বলের দখল রেখে আক্রমণ শানিয়ে যায় বার্সেলেনা। তাতে নেতৃত্ব ছিল মেসিরই। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে মৌসুমে মাত্র একটি জয় পাওয়া এস্পানিওল ছিল বেশিই রক্ষণাত্মক। তাছাড়া আক্রমণের শেষভাগে মেসি-সুয়ারেজদের মধ্যে বোঝাপড়ার অভাবটাও ছিল লক্ষণীয়। এরপরও সুযোগ যে আসেনি তা নয়। ২১তম মিনিটে ইভান রাকিটিসের শট বার ঘেঁসে বেরিয়ে যায়। খানিক বাদে মেসির ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে রুখে দেন গোলরক্ষক দিয়াগো লোপেজ।

৬২তম মিনিটে বদলি নেমেই গোলের ভালো সুযোগ পান ম্যালকম। কিন্তু মেসির রক্ষণচেরা পাস ধরে নেওয়া ব্রাজিলিয়ানের শট কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন গোলরক্ষক। খানিক বাদে ফাঁকায় বল পেয়ে লক্ষ্যভ্রষ্ঠ শট নেন ফিলিপ কুতিনহো।

৭১তম মিনিটে স্বস্তির নিঃশ্বাস ছাড়ে ন্যু ক্যাম্প। ডি বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া মেসির বাঁকানো ফ্রি কিক প্রাচীরের উপর দিয়ে জালের দিকেই যাচ্ছিল। গোললাইন থেকে মিডফিল্ডার ভিক্টোর সানচেস হেডের মাধ্যমে ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেন। বল তার মাথা স্পর্শও করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত বল জালেই আশ্রয় নেয়।

৮১তম মিনিটে পাল্টা আক্রমণ থেকে সমতায় ফিরতে যাচ্ছিল সফরকারীরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ ফরোয়ার্ড সার্জিও গার্সিয়ার বাড়ানো বল দারুণ স্লাইডে বিপদমুক্ত করেন লংলে।

৮৯তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে স্বাগতিকরা। মাঝমাঠ থেকে রাকিটিসের লম্বা করে বাড়ানো বল অনেকটা এগিয়ে নিয়ে কাট ব্যাক করেন ম্যালকম। সরাসরি গড়ানো শটে বল লক্ষ্যে পৌঁছে দেন মেসি। চলতি লিগ মৌসুমে সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ৩১তম গোল।

২৯ ম্যাচে ২১ জয় ও ছয় ড্রয়ে ৬৯ পয়েন্ট বার্সেলোনার। এক ম্যাচ কম খেলে ১৩ পয়েন্ট পিছনে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। তৃতীয় স্থানে থাকা রিয়াল মাদ্রিদের পয়েন্ট ৫৪।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ