Inqilab Logo

শুক্রবার ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ২৩ কার্তিক ১৪৩১, ০৫ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

যৌন হয়রানি থেকে রেহাই পাননা পুরুষরাও

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ মার্চ, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

ইউরোপে পাড়ি জমাতে গিয়ে লিবিয়ায় অভিবাসন প্রত্যাশীরা যৌন নিপীড়নের শিকার হন বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে। উইমেন্স রিফিউজি কমিশন-এর এই গবেষণায় বলা হয়েছে, নারীদের পাশাপাশি এমনকি রেহাই পাননা পুরুষরাও যৌন হয়রানির শিকার থেকে। যারা লিবিয়া হয়ে ইউরোপে পাড়ি জমায় তাদের পরিস্থিতি অনুসন্ধান করাই ছিল গবেষণার মূল লক্ষ্য। বর্তমানে এই পথ ধরে আসা অভিবাসীদের ঠেকাতে নতুন নীতি বাস্তবায়ন করছে ইউরোপ। তাদের অর্থায়নে লিবিয়ার কোস্ট গার্ড সদস্যরা অভিবাসীদের ভূমধ্যসাগর থেকে উদ্ধার করে দেশটির সরকার পরিচালিত আটক কেন্দ্রে পাঠিয়ে দিচ্ছে। সেখানেও যৌন নিপীড়নের শিকার হচ্ছে বলে তারা অভিযোগ করেছে। ইউরোপে পাড়ি জমানো অভিবাসীদের নিয়ে নতুন এই গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায়ে পাচারকারীরা অভিবাসীদের নির্যাতন করে এবং সেই দৃশ্য ধারণ করে রাখে। এর আগের আরেক গবেণায় দেখা যায়, উত্তর আফ্রিকা হয়ে আসা অভিবাসী নারীদের প্রায় সবাই তাদের যাত্রাপথে যৌন নিপীড়নের শিকার হয়। নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষরাও সেখান থেকে রেহাই পায় না। এই পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ তা অনুমান করাও কষ্টকর। একজন মানসিক স্বাস্থ্যকর্মী বলেছেন, সেখানকার গণকবরগুলোতে যত পুরুষ রয়েছে তাদের প্রত্যেকের জননাঙ্গ কাটা ছিল। একই বর্ণনা দিয়েছেন এমন পরিস্থিতি থেকে বেঁচে ফেরাদের একজনও। গবেষকদের কাছে অভিবাসীরা ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের বিভিন্ন বর্ণনা দিয়েছেন। গুপ্ত কারাগারের জন্য লিবিয়ার বানি ওয়ালিদের কুখ্যাতি রয়েছে। সেখানে মাসের পর মাস, এমনকি বছরের পর বছর ধরে সূর্যের আলো পৌঁছে না, এমন স্থানে বন্দিদের অর্থের জন্য আটকে রাখা হয়। গত বছরের মে মাসে এমন এক বন্দিশালা থেকে শতাধিক অভিবাসী ও শরণার্থী পালানোর চেষ্টা করে। অপহরণকারীদের গুলিতে এ সময় কমপক্ষে ১৫ জন মারা যায়। ৪০ জন শেষ পর্যন্ত পালাতে সক্ষম হয় বলে জানিয়েছে সাহায্যকারী সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডার। তাদের পরে আবার লিবিয়ার সরকারের একটি আটক কেন্দ্রে পাঠানো হয়। কঠোর নীতির কারণে সমুদ্র পথে আসা শরণার্থীদের ভূমধ্যসাগর দিয়ে এখন ইউরোপে ঢুকতে দেওয়া হয় না। এজন্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন ২০১৪ সাল থেকে লিবিয়াকে ৩৮ কোটি ডলারের বেশি দিয়েছে, যার বড় একটি অংশ খরচ হয়েছে দেশটির কোস্ট গার্ডকে শক্তিশালী করা ও আটক কেন্দ্রেগুলোর পেছনে। গবেষক দলের প্রধান সারাজ চিনোয়েথ বলেছেন, জাতিসংঘ ও সাহায্যকারী সংস্থাগুলো এসব আটক কেন্দ্রে তেমন একটা যেতে পারে না। বন্দিরা চাইলেও তাদের অভিযোগ বলার সুযোগ পায় না। একটি সরকারি আটক কেন্দ্রে ১৯ বছরের একজন নাইজেরীয় বন্দি নারী এক স্বাস্থ্যকর্মীকে জানান, নারীরা সেখানে সব সময় ধর্ষণের হুমকিতে থাকে। পুরুষরাও বাদ যায় না। ঘুষ দিয়ে অনেক সময় অভিবাসীরা এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তি পায়। ডয়চে ভেলে বাংলা।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ