মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
ভারতীয় জনসংখ্যার দুই-তৃতীয়াংশের বয়স ৩৫ বছরের নীচে। তাই আসন্ন নির্বাচন এই তরুণদের ভোটারই গেম চেঞ্জার হিসেবে প্রমাণিত হতে পারে। আর ভারতীয় তরুণরাও এই দায়িত্বকে হালকাভাবে নিচ্ছে না। তবে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বৈধতা নিয়ে বিতর্ক নির্বাচনী প্রক্রিয়া নিয়ে অনেকের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করেছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী এক-চতুর্থাংশ বলেছে যে ইভিএম নিয়ে তাদের সন্দেহ রয়েছে। তাছাড়া, জরিপে অংশ নেয়া ৪৬%-এর বেশি ভোটার মনে করেন নোটা (নান অব দ্যা এভাব-কেউ না) অপশনটি থাকার কোন মানে হয় না। এই অপশনে ভোটদাতা সকল প্রার্থীকে প্রত্যাখ্যান করতে পারেন। তারা বলছেন নোটা অপশনের কোন নির্বাচনী মূল্য নেই, এটা প্রতীকী। কারণ, যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি ভোট পান তিনিই বিজয়ী হন। ইংরেজি নিউজএ্যাপ ইনশর্টস পরিচালিত এক নতুন জরিপে দেখা গেছে, ভারতীয় তরুণদের চারভাগের তিনভাগই ভোট দেয়ার আগে তাদের নির্বাচনী এলাকার প্রত্যেক প্রার্থীকে চুলচেরা বিশ্লেষণ করে দেখবে। ২৮ মার্চ এক সাংবাদিক সম্মেলনে ইনশর্টস-এর সিইও আজহার ইকবাল বলেন, যখন ভোট দেয়াকে ঝামেলাপূর্ণ মনে করা হতো সেই দিন গত হয়েছে। নির্বাচনের ব্যাপারে মনোভাব কিভাবে বদলে গেছে তার উপর আলোকপাত করা এই জরিপে নজিরবিহীন সাড়া পাওয়া গেছে। এখন জনগণ তাদের অধিকারের ব্যাপারে সচেতন এবং ভোট দেয়াকে নাগরিক দায়িত্ব বলে তারা মনে করে। মার্চ মাসে ২০০০,০০০ ভারতীয়ের মধ্যে জরিপ চালায় ইনশর্টস। এদের বেশিরভাগের বয়স ১৮ থেকে ৩৫ বছরের মধ্যে। উত্তরদাতাদের বেশিরভাগ ছিলো রাজধানী নয়া দিল্লি, মুম্বাই, বেঙ্গালুরু, পুনে, হায়দ্রাবাদ ও চেন্নাইয়ের মতো বড় বড় শহরগুলো থেকে। নির্বাচনের ব্যাপারে তরুণ ভারতীয়রা খুবই আন্তরিক। তাদের ১০ জনের মধ্যে ৮ জনই ভোট দেয়াকে বাধ্যতামূলক করার পক্ষে। দুই-তৃতীয়াংশ জানিয়েছে যে তারা প্রতিটি ভোটে অংশ নিয়েছে। ১১ এপ্রিল থেকে শুরু হয়ে ১৯ মে পর্যন্ত ভারতের সাধারণ নির্বাচনে সারা দেশের এক মিলিয়নের বেশি ভোট কেন্দ্রে ৯০ কোটির বেশি ভোটার ভোট দেবে। ভোটের ফল প্রকাশিত হবে ২৩ মে। ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে ভোট পড়েছিলো ৬৬.৩৮%, যা ছিলো রেকর্ড। এরপরও তখন থেকে হারানো ভোট ভারতীয় নির্বাচনের জন্য একটি ইস্যু হিসেবে বিরাজ করছে। পাঁচ বছর আগে ১০ জনের মধ্যে ৯ জন ভোটারই ভোট দিতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তারা তা পারেননি। এর অনেকগুলো কারণের মধ্যে এলাকার বাইরে থাকা, বিদেশে পড়তে যাওয়া, ইত্যাদি রয়েছে। এবারও একই কারণে অনেক ভারতীয় ভোট দিতে পারবেন না। ইনশর্টস জানায়, নির্বাচনে ভোট প্রদানের ডিজিটাল মাধ্যমের ঘাটতি থাকায় বিপুল সংখ্যক ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারবেন না। কারণ তাদের অনেকেই চাকরি, ব্যবসায় বা শিক্ষা সূত্রে নিজের এলাকায় থাকেন না। আর যাতায়াতের ঝক্কি এড়ানোর জন্য তারা ভোট মিস করবেন। জরিপে অংশ নেয়া ৪৫% ভারতীয়ই বলেছেন যে তারা এলাকার বাইরে থাকলে শুধু ভোট দেয়ার জন্য নিজের শহরে ফিরে যাবেন না। সাউথ এশিয়ান মনিটর।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।