মাত্র ৪৮ ঘণ্টায় দেউলিয়া হলো যুক্তরাষ্ট্রের ২য় বৃহত্তম ব্যাংক
চলতি সপ্তাহের বুধবারও আর দশটি সাধারণ ব্যাংকের মতো বাণিজ্যিক ও আর্থিক লেনদেন সম্পন্ন করেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক (এসভিপি), যা দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম বাণিজ্যিক ব্যাংক
মিয়ানমারের পূর্বাঞ্চলীয় কায়াহ রাজ্যের জাতিগত সংখ্যালঘু অধিকার কর্মী ডি দে সেই মুহূর্তের কথা বলছিলেন, যখন ৫ হাজার মানুষের সমাবেশের উপর গুলি চালাতে শুরু করেছিল পুলিশ। রাজ্যের রাজধানীতে একটি সোনালী মূর্তি স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছিল ওই জনতা। আল-জাজিরাকে তিনি জানালেন, “তারা আমাদের দিকে টিয়ার গ্যাস আর পানিকামান ছুড়ছিল। এরপর তাদেরকে গুলি করার নির্দেশ দেয়া হয়। পুলিশ এরপর আকাশের দিকে গুলি ছুড়তে শুরু করে। কিন্তু তাদের কিছু কর্মকর্তা পুলিশের বন্দুক বাগিয়ে নিয়ে জনতার দিকে গুলি করতে বলে, ওভাবে নয়, এভাবে গুলি করো”। যে মূর্তি স্থাপন নিয়ে এই বিক্ষোভ সেই মূর্তিটা হলো মিয়ানমারের বর্তমান নেতা অং সান সু চির বাবা জেনারেল অং সানের। অং সানকে স্বাধীনতার বীর মনে করা হয়। বিভিন্ন বাড়ি এবং চায়ের দোকানে অং সানের ফ্যাকাশে ছবি ঝুলতে দেখা যায় এখনও। কিন্তু অং সানের সম্মানজনক স্ট্যাটাস থাকলেও তার সোনালী মূর্তি তৈরির সরকারি সিদ্ধান্তে জাতিগত সম্প্রদায়ের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা বলছে, এই মূর্তিগুলো কোন বীরত্বের প্রতীক নয়, বরং দেশের নীতির প্রতীক, যে নীতিতে দেশের জাতিগত সংখ্যালঘুদের অধিকারকে ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বার্মাতে জেনারেলদের সম্মান দেখিয়ে বোগইয়োক বলা হয়। অং সানের একটা নিক নেম হয়ে গেছে এটা এখন। বার্মাতে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের জন্য লড়েছিলেন তিনি। দলের নেতারা ভেবেছিলেন এই মূর্তিগুলো দেশের জাতিগত সংখ্যালঘুদের কাছে একটা আবেদন তৈরি করবে, যাদের সংখ্যা সম্মিলিতভাবে দেশের এক-তৃতীয়াংশ। কারণ অং সানই সেই ব্যক্তি যিনি ১৯৪৬ সালে প্যাংলং এগ্রিমেন্ট স্বাক্ষর করেছিলেন, যেটার কারণে মিয়ানমারের জাতিগত রাজ্যগুলো উল্লেখযোগ্য মাত্রায় স্বায়ত্বশাসন পেয়েছিল এবং ওই চুক্তির মধ্য দিয়েই জাতিগত সঙ্ঘাতের অবসান করে একটা ফেডারেল রাষ্ট্রের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু ওই স্বপ্ন স্থায়ী হয়নি। ১৯৪৭ সালে অং সান ঘাতকের হাতে নিহত হন। পরবর্তী বছরগুলোতে কেন্দ্রের শাসন ক্রমেই শক্তিশালী হয়ে ওঠে। সামরিক বাহিনীর আধিপত্য বাড়ে যেখানে সংখ্যাগুরু বামারদের প্রভাব ছিল সবেচেয়ে বেশি। সমস্ত জাতিগত সংখ্যালঘু গোষ্ঠিগুলোর সাংস্কৃতিক চর্চা – ভাষা, উৎসব, সাহিত্য- সবকিছু নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১৫ সালে এনএলডি যখন দেশে প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক নির্বাচনে বিজয়ী হয়, অনেক জাতিগত গোষ্ঠিরই তখন অং সানের সেই প্রতিশ্রুতির কথাগুলো মনে পড়েছিল এবং তাদের আশা জন্মেছিল যে, সেগুলো পূরণ হবে। কিন্তু শিগগিরই তারা বুঝতে পারে যে, সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না। এসএএম।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।